ম্যানহোলের ঢাকনা খোলা। বাতাসে ময়লা দুর্গন্ধের ছড়াছড়ি। একটু পরপর ময়লার স্তুপ। কিছুদূর পরপর বাঁশের ব্যারিকেট দেয়া। স্কুল পড়–য়া অসংখ্য শিশু যাতায়াত করে প্রতিদিন।
রাস্তার মাঝে ছোট,বড়, মাঝারি অনেক গর্ত। মুহূর্তেই ঘটে যেতে পারে যে কোন ধরণের ভয়াবহ দুর্ঘটনা। এছাড়া কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, গার্মেন্টসকর্মী, চাকুরীজীবী থেকে শুরু করে হাজার হাজার মানুষের যাতায়াততো আছেই। সরেজমিনে, মধ্য বাড্ডার আদর্শনগর সড়কটিতে গিয়ে এরকমই চিত্র দেখা গেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বাড্ডার আদর্শনগরের এই রাস্তাটির সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছিল প্রায় তিনমাস আগে।
কিন্তু এখনো রাস্তাটির সংস্কারের কাজ শেষ না হওয়ায় এলাকাবাসী মারাতœক অসুবিধার মধ্যে আছে। তাদেরকে পোহাতে হচ্ছে নানান দুর্ভোগ আর দুর্দশা। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তার মধ্যে পানি জমে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। যার ফলে পথচারীদের চলাচলের অসুবিধা হয়। তখন পানিতে সবকিছু একাকার হয়ে যায়।
কোনটি গর্ত কোনটি ভরাট কিছুই বুঝার উপায় থাকেনা। রাস্তার হাঁটার উপযোগী জায়গাটি দখলে থাকে হকারদের। হকারেরা রাস্তার মাঝখানে তাদের পণ্য বিক্রি করে। দেখলে এটাকে আর রাস্তা বলে মনেই হবে না। ফলমূল,শাকসবজি, হাড়িপাতিল,শাড়িচুড়ি,মাছ,মাংশসহ প্রায় সব ধরণের পণ্যই পাওয়া যাচ্ছে রাস্তার উপর।
এক কথায় রাস্তাটি এখন আর রাস্তা নেই; এটি যেন এক পরিপূর্ণ বাজারে। রাস্তার দু’পাশে প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্ডারগার্টেন, মসজিদ, মাদরাসা রয়েছে। তাই প্রতিদিন কষ্ট করে হলেও শিশুদেরকে শিক্ষা গ্রহণের জন্য বিদ্যালয়ে যেতে হয়। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে মুসল্লিদেরকে দৈনিক পাঁচবার বাসা থেকে যাতায়াত করতে হয় মসজিদে। কিছুদিন পূর্বে রাস্তাটির সংস্কার কাজ ধীরগতিতে চললেও বর্তমানে এটির কাজ বন্ধ রয়েছে।
এ অবস্থায় এলাকাবাসীকে প্রতিদিন নানান সসম্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। স্থানীয় অধিবাসী ছিদ্দিক মিয়া জানান, রাস্তাটির জন্য আমাদেরকে অনেক কষ্ট করতে হচ্ছে। কবে যে বাস্তাটির কাজ শুরু হবে সেটা আল্লাহ জানে। এই এলাকায় বসবাসরত স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ছাত্র নাইম হোসেন জানায়, রাস্তাটির জন্য আমরা ঠিকমত যাতায়াত করতে পারিনা। একটু বৃষ্টিতে কাদাপানিতে ভরে যায় রাস্তা।
এ অবস্থায় অতি তাড়াতাড়ি রাস্তাটির কাজ শেষ করা প্রয়োজন। রাস্তার পাশের চা দোকানদার জয়নাল আবেদীন জানায়, রাস্তাতো এখন হকারদের দখলে চলে গেছে। শুনছি কিছুদিন পর নাকি কাজ শুরু হবে এবার কে জানে। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি তো ভালা না। কখন কি হয় বলা তো যায় না।
গার্মেন্টসকর্মী রিজিয়া জানায়, প্রতিদিন সকালে এ রাস্তা দিয়ে আমাদেরকে অফিসে যেতে হয়। একটু দেরি করলে মালিক বকা দেয়। আর রাস্তাটির অবস্থা এতই খারাপ যে আমরা ঠিকমত হাঁটতেও পারিনা। তাড়াতাড়ি হাঁটতে গিয়ে হোছড় খেয়ে পড়তে হয়। আমরা চাই রাস্তাটির কাজ যেন দ্রুত সমাধা হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।