মেট্রিক পদ্ধতিতে বস্তুর ভর মাপার আন্তর্জাতিক মানদণ্ড হিসেবে যে ধাতব সিলিন্ডারটি ব্যবহার করা হয়, তার উপর আশপাশের দূষণে জমেছে কয়েক মাইক্রোগ্রামেরও বেশি বাড়তি পদার্থ। আর এতেই বেড়ে গেছে সিলিন্ডারটির ভর।
বিজ্ঞানীরা কিলোগ্রামকে বস্তুর ভর মাপার আন্তর্জাতিক মানদণ্ড হিসেবে গ্রহণ করেন ১৮৭৫ সালে, মিটারা কনভেনশনে। ১ কিলোগ্রামের ধাতব সিলিন্ডারটি তৈরি করা হয় প্লাটিনাম এবং প্লাটিনিয়াম-ইরিডিয়াম অ্যালয় ব্যবহার করে। ১৮৮০ সালে এরকম আরো ৪০টি সিলিন্ডার বানিয়ে মিটার কনভেনশনে অংশ নেয়া দেশগুলোর মধ্যে বিতরণ করা হয়।
সিলিন্ডারগুলো নিয়ন্ত্রিত আবহাওয়ায় সংরক্ষণ করা হলেও দীর্ঘদিন ধরে সিলিন্ডারগুলোর ওপর জমেছে কয়েক মাইক্রোগ্রাম কার্বন আর মার্কারি কণা। এর ফলে একেক দেশের কিলোগ্রাম মাপার মানদণ্ডটি এখন একেক রকম। আর এতেই বিপাকে পড়েছেন বিজ্ঞানীরা। বস্তুর ভরের একদম নিঁখুত মাপটি দরকার এমন বৈজ্ঞানিক গবেষণা বা তেজস্ক্রিয় পদার্থের আন্তর্জাতিক লেনদেনে সৃষ্টি হচ্ছে জটিলতা।
তবে ঘণীভূত অক্সিজেন আর অতিবেগুনি রশ্মি ব্যবহার করে ধাতব সিলিন্ডারগুলো পরিষ্কার করা সম্ভব বলেই জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
আর কিলোগ্রামের আন্তর্জাতিক মানদণ্ডটি পরিষ্কার করতে এই পদ্ধতিটি ব্যাপক হারে ব্যবহার সম্ভব। এ ব্যাপারে প্যারিসে অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল ব্যুরো অফ ওয়েট অ্যান্ড মেজার্স-এর পরামর্শক বিজ্ঞানী রিচার্ড ডেভিস বলেন, ‘এ পদ্ধতিতে অর্থ বা সময় কোনোটারই বেশি খরচ হয় না। এটি একটি প্রায়োগিক কৌশল, যা ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা সম্ভব। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।