আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আর্মস্ট্রংয়ের ডোপ পাপে মদদ ছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থারই!

এটা তো একটা বিস্ফোরণই! ল্যান্স আর্মস্ট্রং যা বলেছেন, তা যদি সত্য হয়, তাহলে তা তো খেলার দুনিয়াকে কাঁপিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্টই। ডোপিংয়ের দায়ে দোষী আর্মস্ট্রং জানিয়েছেন, তাঁর ডোপ পাপটা অনেক পুরোনো আর সাইক্লিংয়ের নিয়ন্ত্রক সংস্থা তা জেনে-বুঝেই এত দিন প্রশ্রয় দিয়ে গেছে। তাঁর অভিযোগের তিরটা নির্দিষ্ট করা সংস্থার সাবেক সভাপতি হেইল ভারব্রুগেনের দিকে।
আর্মস্ট্রংকে প্রথমে ‘দুশ্চরিত্র’ আর ‘মদ্যপ’ বলে অভিহিত করেছিলেন তাঁরই সাবেক সতীর্থের স্ত্রী এমা ও’রেইলি। ১৯৯৯ সালে প্রথম ডোপ পরীক্ষায় ধরা পড়লেও তা চেপে রেখেছিল সাইক্লিংয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা—আগেই এ ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন ও’রেইলি।

আর্মস্ট্রং ব্যাপারটি অস্বীকার করেননি; বরং নিজের ‘কৃতকর্মের’র জন্য ও’রেইলির কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন। ও’রেইলিকে সঙ্গে নিয়ে একটি ব্রিটিশ পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে আর্মস্ট্রং স্বীকার করেছেন, ১৯৯৯ সালেই ডোপপাপী ছিলেন তিনি। কিন্তু তখন তাঁকে শাস্তি না দিয়ে ছেড়ে দিয়েছিল আন্তর্জাতিক সাইক্লিং সংস্থা। কৃতকর্মের যখন শাস্তি হলো না, তখন সাহস পেয়ে ডোপিংটা আরও বড় পরিসরে চালিয়ে গেছেন এই সাইক্লিস্ট।
ভারব্রুগেনের শাসনামলে আন্তর্জাতিক সাইক্লিং সংস্থা ছিল আর্মস্ট্রংয়ের মতো ডোপপাপীদের জন্য ‘অভয়ারণ্য’।

গোলটা বাধে ক্ষমতার গণেশ উল্টে গেলে। নতুন প্রশাসকেরা ডোপিংয়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেই আর্মস্ট্রংকে আজীবন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন।
আর্মস্ট্রং এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ডোপিংয়ের বিরুদ্ধে সাইক্লিং সংস্থার সব ধরনের তদন্তেই সহায়তা করে যাবেন। এর বিনিময়ে অবশ্য নিষেধাজ্ঞাটা কমার প্রত্যাশা তাঁর। নতুন সভাপতি ব্রায়ান কুকসনের গঠিত তদন্ত কমিটির সামনে তিনি নেপথ্যের প্রশ্রয়দাতাদের নাম ফাঁস করে দেবেন বলেই জানিয়েছেন, ‘আমার ওই সব লোককে বাঁচানোর কোনো অভিপ্রায় নেই।

আমি যা সত্য তা-ই বলব। ’

ব্রিটিশ মিডিয়া অবশ্য ভারব্রুগেনের সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পায়নি। ভারব্রুগেন অবশ্য এত দিন জানিয়ে এসেছেন, তিনি আর্মস্ট্রংয়ের ডোপ পাপের ব্যাপারে কখনোই কিছু জানতেন না!

সোর্স: http://www.prothom-alo.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।