বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের বাঁহাতি স্পিনার এনামুল হক জুনিয়র। ২০০৩ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে তাঁর টেস্ট অভিষেক হয়। সিলেট শহর তাঁর প্রিয় জায়গা। সব সময় সুতির পোশাকই পরেন। আজ অধুনায় থাকছে তাঁর স্টাইল।
ব্যস্ত ঢাকার যান্ত্রিক জীবন খুব একটা ভালো লাগে না ক্রিকেটার এনামুল হক জুনিয়রের। সিলেট শহরের নিরিবিলি পরিবেশই তাঁকে বেশি টানে। সিলেটের সব জায়গায়ই তাঁর প্রিয়। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের এই বাঁহাতি স্পিনার বলেন, ‘আমার কাজের প্রয়োজনে ঢাকায় থাকতে হয়। কিন্তু মনটা সব সময় পড়ে থাকে সিলেটে।
’
বাসায় নিয়মিত থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট আর টি-শার্ট পরেন। বাইরে গেলে পরেন জিনস, টি-শার্ট। যেকোনো অনুষ্ঠানে কেতাদুরস্ত পোশাকই বেছে নেন। ফরমাল শার্ট কেনার সময় ঠিকমতো ফিট হলো কি না, সেটা খেয়াল রাখেন। এ ধরনের শার্টের সঙ্গে কালো প্যান্ট ও কালো জুতাই পরা হয় বেশি।
মাঝেমধ্যে টাইও পরেন এনামুল হক জুনিয়রের। বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান আর উৎসবে পাঞ্জাবি পরেন। তবে আড়ংয়ের পাঞ্জাবিই তাঁর বেশি পরা হয়। এনামুল সব সময় সুতি কাপড় পরেন। হালকা নীল বা কালো রঙের পোশাকই তাঁর পছন্দের তালিকায় শীর্ষে।
টি-শার্টের ক্ষেত্রে তিনি জ্যাক অ্যান্ড জোনসের টি-শার্ট পরেন। এনামুল বলেন, ‘যেটা আমার শরীরে ফিট হয়, সেটাই পরতে পছন্দ করি। ’
শীতকালে হুডিসহ জ্যাকেট পরেন তিনি। মাথায় টুপি নিয়মিত পরা না হলেও রোদচশমা থাকা চাই। হাতে বেশির ভাগ সময় থাকে জি শক ব্র্যান্ডের ঘড়ি।
কেডসের ক্ষেত্রে গুচি ব্র্যান্ডকে প্রাধান্য দেন। আর ওয়ান মিলিয়ন ব্র্যান্ডের সুগন্ধি পছন্দ করেন এই ক্রিকেটার।
রেস্তোরাঁর খাবারের মধ্যে ন্যানদোসের খাবার পছন্দ। তবে মায়ের হাতের যেকোনো রান্না করা খাবার খুব প্রিয় তাঁর। সাতকরা দিয়ে গরুর মাংসের ভুনা হলে আর কিছু লাগে না।
আর ফাস্টফুড পছন্দ করেন। এনামুল হক জুনিয়রের ক্রিকেট-বিষয়ক ম্যাগাজিন জমানোর শখ রয়েছে। এ ছাড়া আরেকটি মজার শখের
কথা জানান এনামুল। ‘এখন পর্যন্ত যতগুলো ক্রিকেট ম্যাচে ৫ উইকেট পেয়েছি, সেসব ম্যাচের বল আমার সংগ্রহে আছে। সিলেটের নিজেদের বাড়িতে আমার একরকম বল সংগ্রহাগারই রয়েছে।
প্রায় শ খানেক ক্রিকেট বল আছে সেখানে। ’
বলিউডের আমির খান আর শাহরুখ খানের চলচ্চিত্র বেশি দেখেন। নিয়মিত টিভিতে খবরের চ্যানেলেই চোখ থাকে তাঁর। আর খেলার চ্যানেল তো আছেই। ফুটবল খেলার পাড় ভক্ত তিনি।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তাঁর প্রিয় দল। ফুটবলে প্রিয় খেলোয়াড় ডেভিড বেকহাম হলেও, কিছুদিন আগে ফুটবলার গ্যারেথ বেলের মতো চুলের ছাঁট দিয়েছেন তিনি। টেনিস খেলাও নিয়মিত দেখেন। একসময় খুব বই পড়ার শখ ছিল এনামুল হক জুনিয়রের। হুমায়ূন আহমেদের সব বই তিনি পড়েছেন।
ভোরে ঘুম থেকে ওঠেন। সকালে খেলার অনুশীলন না থাকলে দেড় বয়সী মেয়ের জন্য বরাদ্দ থাকে সময়টা। প্রতি বৃহস্পতি ও শুক্রবার বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আলাদা সময় কাটান। ফেসবুকে নিয়মিতই স্ট্যাটাস দিলেও টুইটারে বেশি সক্রিয় তিনি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।