আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বই: নির্যতনের দলিল ২০০১ ও সংখ্যালঘু নির্যাতন ২০০১

সব ভাল কথাই ভাল নয়........... ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনের অত্যবহিত আগের ও পরের সময়ে বাংলার বিভিন্ন অঞ্চল, বিশেষতঃ দক্ষিণ বাংলার ব্যাপক অঞ্চলে সুপরিকল্পিতভাবে ধর্মীয় সংখ্যালঘু তথা অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির অনুসারীদের উপর যে নির্মম নির্যাতন চালানো হয়েছিল তা যে কোন সভ্যদেশে অচিন্ত্যনীয়। যারা সেদিন উক্ত হামলাসমূহ সংগঠিত করেছিলেন তাঁদের উদ্দেশ্য খুব স্পষ্ট। ধর্মীয় সংখ্যালঘু তথা অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির প্রতি আস্থাভাজন জনগোষ্ঠির উপর হামলা চালিয়ে তাঁরা যাতে ভবিষ্যতে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের জন্য উদ্যোগী না হতে পারেন তার ব্যবস্থা করা। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে দেশত্যাগে তাদের বাধ্য করাটাই ছিল হামলাকারীদের উদ্দেশ্য। এই উদ্দেশ্য অবশ্য সেদিন বিবেকবান দেশবাসী মেনে নেননি।

আলোচ্য বই দুটি তারই স্বাক্ষ্য বহন করে। সেদিন দেশের বরেণ্য বুদ্ধিজীবিদের উদ্যোগে পূর্বোক্ত সাম্প্রদায়িক নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সংগঠিত করার উদ্দেশ্যে ব্যাপকভিত্তিক কমিটি গঠিত হয়। সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন সেদিন এই প্রচেষ্টার অন্যতম অংশীদার ছিল। তারা সেদিন সরেজমিনে যে তথ্য সংগ্রহ করেন এবং তার উপর ভিত্তি করে যে গণতদন্ত কমিশন গঠন করেন, বই দুটি সে উদ্যোগেরই ফসল। এই বই দুইটি তখনই প্রকাশিত হয়েছিল, কিন্তু তখন সে রকম প্রচার সম্ভব হয়নি বোধগম্য কারণেই।

তাছাড়া বর্তমানে জাতীয় নির্বাচন সন্নিকটে। সেদিন নির্বাচনের আগে - পরে যারা তাণ্ডব নামিয়ে এনেছিল প্রধানতঃ সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর উপর, তারা যাতে এবার সক্রিয় না হতে পারে সেই তাগিদ থেকেই বই দুটি পুনঃপ্রকাশ করা হলো। এই প্রকাশের তাগিদ আরও বেশী অনুভূত করেছি আমরা। কারণ ২০১২ সালের সূচনা থেকেই নানা অজুহাতে সাম্প্রদায়িক ধারায় নির্যাতন উস্কে তোলার যে চেষ্টা হচ্ছে তা আমাদের অজানা নয়। হাটহাজারী থেকে সাতক্ষীরা, চিরির বন্দর ঘুুরে রামুতে সাম্প্রদায়িক নির্যাতন নামিয়ে আনার যে চেষ্টা করা হয়েছে সে বিষয়টিও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নিয়েই বই দুটি প্রকাশের তাগিদ অনুভব করেছি আমরা।

বইটি পড়ে অনেক অজানা তথ্য জানা যাবে। বস্ততঃ অসাম্প্রদায়িক-গণতান্ত্রিক রাজনীতিকে শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তার অনুভুতি - থেকে বই দুটি (নির্যতনের দলিল ২০০১ ও সংখ্যালঘু নির্যাতন ২০০১) প্রকাশ করা হলো। ১। রুম নম্বর-১, বাংলাদেশ টেনিস কমপ্লেক্স ফেডারেশন, রমনা গ্রীন, শাহবাগ, ঢাকা। ২।

জাতীয় সাহিত্য প্রকাশ, কনকর্ড ইম্পেরিয়াল শপিং কমপ্লেক্স, ২৫৩/২৫৪, এ্যালিফ্যান্ট রোড, ঢাকা। ৩। সাহিত্য প্রকাশ, নজরুল ইসলাম স্বরণী, পল্টন মোড়, ঢাকা। ৪। পাপে রাস, আজিজ সুপার মার্কেট, ঢাকা।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।