স্মার্টফোনের বাজারে বিশ্বসেরা প্রতিষ্ঠানটি এবার স্মার্টওয়াচ বা স্মার্ট হাতঘড়িতেও বিশ্ব সেরা হওয়ার দাবি করেছে। গ্যালাক্সি গিয়ার হাতঘড়ি জনপ্রিয় হওয়ার কারণে সম্প্রতি নিজেদের জনপ্রিয় স্মার্টওয়াচ নির্মাতা হিসেবেও দাবি করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান স্যামসাং। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্যামসাংয়ের দাবি, তাদের তৈরি গ্যালাক্সি গিয়ার বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্মার্টওয়াচ। মাত্র দুই মাসে আট লাখ ইউনিট গ্যালাক্সি গিয়ার বিক্রি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এ প্রসঙ্গে স্যামসাং জানিয়েছে, প্রত্যাশার চেয়েও বাজারে ভালো করেছে গ্যালাক্সি গিয়ার। আগামীতে গ্যালাক্সি গিয়ার স্মার্টওয়াচ নিয়ে তারা আরও প্রচারণা চালানোর পরিকল্পনা করেছে।
গ্যালাক্সি গিয়ার স্মার্টওয়াচ বাজারে আসার পর এ পণ্যটি সমালোচকদের সমালোচনার মুখে পড়েছিল। শুধু ফ্যাশন পণ্য হিসেবে এ হাতঘড়ি কেউ কিনবে না বলেও ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন সমালোচকেরা। স্যামসাং কর্তৃপক্ষও এ পণ্যটি নিয়ে খুব বেশি প্রত্যাশা করেনি।
৩০০ মার্কিন ডলার দামের এ হাতঘড়িটি কেবল গ্যালাক্সি নোট থ্রি স্মার্টফোন সমর্থন করে। এ হাতঘড়ি দিয়ে স্মার্টফোনের মতোই কল করাসহ ইন্টারনেট ব্রাউজ ও ইমেইল আদান-প্রদানও করা যায়। এতে রয়েছে গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম। এতে মাত্র ৭০ টি অ্যাপ্লিকেশন সমর্থন করে।
স্যামসাং কর্তৃপক্ষ গ্যালাক্সি গিয়ারকে আরও জনপ্রিয় করে তুলতে নোট থ্রির পাশাপাশি গ্যালাক্সি এস২, এস৩, এস ৪, এস ফোর মিনি, মেগাসহ স্যামসাংয়ের বেশ কয়েকটি মডেলের সঙ্গে এই হাতঘড়ি ব্যবহার করার সুবিধা যুক্ত করছে।
স্মার্টফোনে আসা বিভিন্ন নোটিফিকেশন ও তথ্য গ্যালাক্সি গিয়ার নামের এ হাতঘড়িতেই দেখে নিতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। অর্থাত্ স্মার্টফোনের কাজ হাতঘড়িতেই সেরে ফেলা যাবে। গ্যালাক্সি গিয়ার স্মার্ট ওয়াচের জন্য সফটওয়্যার আপডেটও আনছে প্রতিষ্ঠানটি।
এদিকে মার্কিন বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, ২০১৪ সাল হবে পরিধেয় প্রযুক্তিপণ্যের। প্রায় এক ডজনের অধিক প্রতিষ্ঠান স্মার্টওয়াচ তৈরিতে কাজ করছে যার মধ্যে অ্যাপল, গুগল, মাইক্রোসফটের মতো প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।
তবে গ্যালাক্সি গিয়ার দিয়ে আগেভাগে বাজার দখলে রেখে পরিধেয় প্রযুক্তিপণ্যের ক্ষেত্রে সবার চেয়ে ব্যবধান বাড়িয়ে রাখতে চাইছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠানটি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।