ব্যবস্থাপনা থেকে মালিকানা পৃথককরণ বা ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের প্রক্রিয়া শেষ করার লক্ষ্যে স্টক এক্সচেঞ্জের সংঘস্মারক ও সংঘবিধির নিবন্ধিত সনদ এবং পাবলিক কোম্পানিতে রূপান্তরের পুনর্নিবন্ধন সনদ পেয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) কর্তৃপক্ষ।
আজ বৃহস্পতিবার রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসের (আরজেএসসি) পক্ষ থেকে এই সনদ দেওয়া হয়। ফলে আইন অনুযায়ী আজ থেকেই পূর্ণাঙ্গ ডিমিউচ্যুয়ালাইজ হলো দুই স্টক এক্সচেঞ্জ। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
এ বিষয়ে ডিএসইর পরিচালক আহমেদ রশিদ লালী বলেন, ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইন অনুযায়ী আজ থেকে স্টক এক্সচেঞ্জ ডিমিউচুয়ালাইজ হয়ে গেল।
একই সঙ্গে নতুন পরিচালনা পর্ষদের জন্য ৯০ দিনের ক্ষণ গণনা শুরু হলো। তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন শেষ করে পরিচালনা পর্ষদের প্রথম সভা করতে হবে।
সিএসইর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সৈয়দ সাজিদ হোসেন সংঘস্মারক ও সংঘবিধির নিবন্ধিত সনদ এবং পাবলিক কোম্পানিতে রূপান্তরের পুনর্নিবন্ধন সনদ পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
সম্প্রতি ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন স্কিম অনুমোদন করে বিএসইসি। স্কিম অনুযায়ী গত ২৫ অক্টোবর সিএসই এবং ২ নভেম্বর ডিএসই বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) করে।
এতে দুই স্টক এক্সচেঞ্জের সংঘবিধি ও সংঘস্মারক অনুমোদন করা হয়। পরে তা নিবন্ধনের জন্য আরজেএসসিতে পাঠানো হয়। আরজেএসসির পক্ষ থেকে আজ এই সনদ দেওয়া হয়।
নতুন আইনের ১১ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের তারিখ হতে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করে পরিচালনা পর্ষদের প্রথম সভা অনুষ্ঠান করতে হবে। এই ধারার ১-এর ‘খ’ উপধারায় বলা হয়, লেনদেনের অধিকার হতে উহার মালিকানা ও ব্যবস্থাপনা পৃথক করবে।
আর ২ উপধারায় বলা হয়, ডিমিউচ্যুয়ালাইজড এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানসহ সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য স্বতন্ত্র পরিচালক হবেন।
এ আইন অনুযায়ী ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন-পরবর্তী ডিএসই ও সিএসইর ১৩ সদস্যের পর্ষদ গঠন করা হবে। এর মধ্যে সাতজন হবেন স্বতন্ত্র পরিচালক। চারজন স্টেকহোল্ডার, একজন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হবেন। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন স্বতন্ত্র সাতজনের মধ্য থেকে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।