যে ব্যক্তি সত্কর্মপরায়ণ হয়ে স্বীয় মুখমন্ডলকে আল্লাহ্ অভিমূখী করে. সে এক মজবুত হাতল ধারন করে. সকল কর্মের পরিণাম আল্লাহর দিকে।
তুমি কি তাদের (অবস্থা) দেখোনি, যাদের (আল্লাহ তায়ালার) কেতাবের কিছু অংশ দান করা হয়েছিলো, (তারা আস্তে আস্তে) নানা ধরনের ভিত্তিহীন অমূলক যাদুমন্ত্র জাতীয় জিনিস ও (বহুতরো) মিথ্যা মাবুদের ওপর ঈমান আনতে শুরু করলো এবং এ কাফেরদের সম্পর্কে তারা বলতে লাগলো, ঈমানদারদের তুলনায় এরাই তো সঠিক পথের ওপর রয়েছে! এরাই হচ্ছে সেই (হতভাগ্য) মানুষগুলো, যাদের ওপর আল্লাহ তায়ালা অভিসম্পাত করেছেন, আর আল্লাহ তায়ালা যার ওপর অভিশাপ পাঠান তার জন্যে তুমি কখনো কোনো সাহায্যকারী পাবে না।
অথবা (এরা কি মনে করে যে), তাদের ভাগে রাজত্ব (ও প্রার্চুয সংক্রান্ত কিছু বরাদ্দ করা) আছে ? (যদি সত্যি সত্যিই তেমন কিছু এদের দেয়া হতো) তাহলে এরা তো খেজুর পাতার একটি ঝিল্লিও কাউকে দিতে চাইতো না।
অথবা এরা কি অন্যান্য মানব সন্তানদের ব্যাপারে হিংসা (বিদ্বেষ) পোষণ করে, যাদের আল্লাহ তায়ালা নিজস্ব ভান্ডার থেকে (জ্ঞান, কৌশল ও রাজনৈতিক ক্ষমতা) দান করেছেন, (অথচ) আমি তো ইবরাহীমের বংশধরদেরও (আমার) গ্রন্থ ( ও সেই গ্রন্থলব্ধ) জ্ঞান-বিজ্ঞান দান করেছিলাম, ( এর সাথে ) আমি তাদের (এক বিশাল পরিমাণ) রাজত্বও দান করেছিলাম। অতপর তাদের মধ্যে অল্প কিছু লোকই তার ওপর ঈমান এনেছে, আবার কেউ কেউ তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে; এদের (পুড়িয়ে দেয়ার) জন্যে জাহান্নামই যথেষ্ট! যারা আমার আয়াতসমূহ অস্বীকার করেছে তাদের আমি অচিরেই জাহান্নামের আগুনে পুড়িয়ে দেবো, অতপর (পৃড়ে যখন) তাদের চামড়া গলে যাবে তখন আমি তার বদলে নতুন চামড়া বানিয়ে দেবো যাতে করে তারা আযাব ভোগ করতে পারে, অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা মহাপরাক্রমশালী, বিজ্ঞ কুশলী।
*** আল-কোরআন, সূরা আন নেসা, আয়াত নং 51-56 ***
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।