লোকায়ত বা স্থানীয় জ্ঞান হচ্ছে সেই জ্ঞান যা ভিন্ন ভিন্ন প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যপূর্ণ স্থানের স্থায়ী অধিবাসীদের মধ্যে প্রচলিত বিশেষ জ্ঞান যাকে লোকজ বা আদি জ্ঞানও বলা যেতে পারে। অর্থাৎ কোনও স্থানের অধিবাসীগণ স্থানীয় প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাকে এবং প্রাকৃতিক অবস্থার সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য প্রতিনিয়ত অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেন যা বংশ পরস্পরময় মানুষের মুখে মুখে, হাতে কলমে তাদের বংশধর বা অনুযায়ীদের মধ্যে সঞ্চারিত হয়। ক্রমান্বয়ে ব্যবহার ও যাচাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই জ্ঞান পরিচালিত ও সমৃদ্ধ হয়ে। তাই এই জ্ঞানের কোনও সুনির্দিষ্ট পদ্ধতিগত গঠন ও স্তর বিন্যাস নেই। এবং স্থানীয় প্রকৃতি বা জনগণের প্রয়োজনে তা পরিবর্তিত হতে পারে। স্থানীয় জ্ঞানের অর্থ হলো স্থানীয় বা প্রথাগত জ্ঞান যা গ্রামীণ জনগণ কৃষিকাজে, প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যাবস্থাপনায়, মৎস্য চাষে, পশু পালনে, স্বাস্থ্য পরিচর্যায় ও অন্যান্য কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করেন। সাধারণভাবে গ্রাম বাংলার মানুষ তাদের উদ্ভাবনী শক্তি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড ও কৌশল আবিস্কার করেন এবং এসব কর্মপন্থা আর কৌশল স্থানীয় পরিবেশ, অর্থনীতি ও সামাজিক-সংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পৃক্ত বিশেষত আমাদের দেশ বাংলাদেশের যেখানে ঘনঘন বন্যা, ঘুর্ণিঝড়, টর্নেডো সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস, নদীভাংগন ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবেলা করছে এবং এসব থেকে বাঁচার জন্য দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার আলোকে এমন সব কৌশল উদ্ভাবন করেছে যা স্থানীয় জ্ঞান ও রীতিনীতির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।