স্প্যানিশ লিগে জয়যাত্রা অব্যাহত আছে বার্সেলোনার। আজ গ্রানাডার বিপক্ষে কাতালানরা জিতেছে ৪-০ গোলে। বড় ব্যবধানের জিতলেও জয়টা বার্সেলোনাসুলভ ছিল কিনা, সেটা নিয়ে বিতর্ক চালাতেই পারেন ফুটবলপ্রেমীরা। প্রথমার্ধে বার্সেলোনার দুইটি গোলই এসেছে পেনাল্টি থেকে। দ্বিতীয়ার্ধে বাকি দুইটি গোল হয়েছে ১০ জনের গ্রানাডার বিপক্ষে।
বার্সেলোনার নিয়মিত একাদশের অনেকেই অবশ্য আজ ছিলেন মাঠের বাইরে। লিওনেল মেসি, জাভি, মাচেরানো, দানি আলভেজকে ছাড়াই গ্রানাডার মুখোমুখি হয়েছিল বার্সেলোনা।
প্রতিপক্ষের মাঠে কাতালানদের প্রথম সুযোগটি আসে ১৩ মিনিটের মাথায়। নেইমারের ফ্রি-কিক থেকে বাড়ানো বলে মাথা ছুঁইয়েছিলেন সানচেজ। কিন্তু গ্রানাডার গোলরক্ষক রুখে দেন এই গোলপ্রচেষ্টা।
গোলের জন্য অবশ্য খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি টাটা মার্টিনোর শিষ্যদের। ছয় মিনিট পরেই পেনাল্টি থেকে প্রথম গোলটি করেছেন ইনিয়েস্তা। ২৩ মিনিটে গ্রানাডাও পেয়েছিল ভালো একটি সুযোগ। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত গ্রানাডার স্ট্রাইকার পিটির জোরালো শট ফিরে আসে গোলপোস্টে লেগে। ৪০ মিনিটে বার্সেলোনার দ্বিতীয় গোলটিও এসেছে পেনাল্টি থেকে।
এবার জালে বল জড়িয়েছেন সেস ফেব্রিগাস।
২-০ গোলে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর পর শুরুতেই ভালো একটা সুযোগ পেয়েছিলেন পেদ্রো। গ্রানাডার পেনাল্টি বক্সের মধ্যে একেবারে ফাঁকায় বল পেয়েও সেটা জালে জড়াতে পারেননি বার্সেলোনার এই মিডফিল্ডার। তার জোরালো শটটা চলে গেছে গোলপোস্টের অনেক উপর দিয়ে। ৬৫ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন গ্রানাডার মিডফিল্ডার ম্যানুয়েল ইটুরা।
বার্সেলোনা ম্যাচের বাকি দুইটি গোল পেয়েছে এই ১০ জনের গ্রানাডার বিপক্ষে।
৭০ মিনিটের মাথায় একটি গোল শোধের সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল গ্রানাডাও। বার্সেলোনার পেনাল্টি বক্সের মধ্যে ফাঁকায় বল পেয়েছিলেন রোমিও নোউম। বুঝেশুনে শট নেওয়ার মতো যথেষ্ট সময়ও পেয়েছিলেন গ্রানাডার এই ডিফেন্ডার। কিন্তু শেষপর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে শটটাও নিতে পারেননি তিনি।
এই ভুলের খেসারতটাও দিতে হয়েছে পরমুহূর্তেই। ৩৫ সেকেন্ড পরেই পাল্টা আক্রমণ থেকেই ম্যাচের তৃতীয় গোলটি করেছেন সানচেজ। শেষ বাঁশি বাজার কয়েক মিনিট আগে বার্সেলোনার পক্ষে শেষ গোলটি করেছেন পেদ্রো।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।