আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জনসনেই ধরাশায়ী ইংল্যান্ড

এই একটা ব্যাপারই বাকি ছিল। মিচেল জনসনের বলের গতি বুঝতে না পেরে তাঁরই হাতে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরলেন জেমস অ্যান্ডারসন। ‘পুনর্জন্মে’র ম্যাচটিতে পাঁচ উইকেট পেয়ে গেলেন জনসন। প্রথম ইনিংসেও দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। কিন্তু ৪ উইকেটেই থেমেছিলেন।

তাঁর ম্যাচ হয়ে ওঠা ব্রিসবেন টেস্টটিতে ৫ উইকেট না পেলে ছবিটায় একটু খুঁত থেকে যেত। জনসন তা হতে দিলেন না।
ক্যারিয়ারে অষ্টমবারের মতো ৫ উইকেট নিয়ে জনসনই ১৭৯ রানে অলআউট করলেন ইংল্যান্ডকে। ৩৮১ রানের বড় পরাজয় দিয়েই অ্যাশেজের শুরুতে ভূপাতিত হলো টানা তিনটি অ্যাশেজ জিতে আকাশে উড়তে থাকা ইংল্যান্ডকে। রানের হিসাবে এটি তাদের সুদীর্ঘ টেস্ট ইতিহাসের ষষ্ঠ বৃহত্তম পরাজয়।

১১ বছর আগে এই ব্রিসবেনেই ইংল্যান্ড হেরেছিল ৩৮৪ রানে!
অ্যাশেজের প্রথম ম্যাচে জয় দিয়ে শুরু করেছে বলেই নয়, অস্ট্রেলিয়ার জন্য এই জয়ের মাহাত্ম্য বেড়ে যাচ্ছে এ কারণে, সর্বশেষ দশ ম্যাচে প্রথম জয়ের দেখা পেল মাইকেল ক্লার্কের দল। অ্যাশেজে জিতল আট ম্যাচ পরে।
এই ম্যাচে ইংল্যান্ডকে বাঁচাতে পারত কেবল প্রকৃতিই। ব্রিসবেনে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টিও নেমেছিল। খেলা বন্ধ ছিল বেশ কিছুক্ষণ।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত চার দিনেই পরাজয় মেনে নিতে হলো তাদের। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ে দুই শর নিচে আবারও গুটিয়ে গেল ইংলিশরা। অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুকই কেবল যা একটু লড়াই করেছেন। ইনিংসের একমাত্র ফিফটি তাঁর ব্যাটেই।
মাথার ওপর ৫৬১ রানের বোঝা নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা ইংল্যান্ড ২৪ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল গতকালই।

আজ দিনের প্রথম ১৪ ওভার ভালোমতোই সামলে গেলেও শেষ পর্যন্ত কেভিন পিটারসেনের বিদায়ের মধ্য দিয়েই শুরু ইংলিশদের পতনের। নিজের শততম টেস্টটিতে ১৮ ও ২৬ রানের দুটো ইনিংস আর বিরাট এক পরাজয়ই উপহার পেলেন কেপি।
কেপির বিদায়ের পর ইয়ান বেলের সঙ্গে বেশ ভালো একটা জুটি গড়েছিলেন কুক। কিন্তু পিটার সিডলের আঘাতে ৫৮ রানের সেই জুটি ভাঙার পরই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ইংল্যান্ডও। ১৩০ থেকে ১৫১—এই ২১ রানের মধ্যেই ইংল্যান্ড হারিয়ে ফেলে বেল, কুক, ম্যাট প্রায়র, স্টুয়ার্ট ব্রড ও গ্রায়েম সোয়ানকে।

নিজের পর পর দুই ওভারে কুক ও প্রায়রকে ফিরিয়েছেন নাথান লায়ন। তিন বলের মধ্যে জনসন ফিরিয়েছেন ব্রড আর সোয়ানকে। ব্রিসবেনে যে ঝড়ের পূর্বাভাস ছিল সেটাই যেন মূর্ত হলো গ্যাবার উইকেটে। আর সেই ঝড়ে মুহূর্তেই লন্ডভন্ড ইংল্যান্ড ৩ উইকেটে ১৩০ থেকে হয়ে গেলে ৮ উইকেটে ১৫১!
একা জো রুট শেকড় গেড়ে বসার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সেই নিঃসঙ্গ লড়াই ছিল কেবলই পরাজয় বিলম্বিত করার চেষ্টা মাত্র।

তাঁর সেই চেষ্টায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বৃষ্টি। ৭২তম ওভারের প্রথম বলটির পরই থেমে যায় খেলা।
বৃষ্টির পর আবার খেলা শুরু হতেই আর দশ ওভারই লাগল অস্ট্রেলিয়ার জয় নিশ্চিত করতে। ক্রিস ট্রেমলেটকে ফিরিয়ে কাজটা এগিয়ে নিয়েছিলেন রায়ান হ্যারিস। অ্যান্ডারসনকে ফিরিয়ে দিয়ে সেই কাজটা সমাপ্ত করলেন জনসন।

ম্যাচে ৯ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ১০৩ রান করায় ম্যাচ সেরাও পুরস্কারটিও তাঁরই।

শুধুমাত্র ক্রিকেটের সর্বশেষ স্কোর জানতে C লিখে এসএমএস করুন 2221 নম্বরে। যে কোনো খেলার আপডেট পেতে S লিখে এসএমএস করুন 2221 নম্বরে।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.