চোটের কারণে গেইল নেই। তবে তাঁর অনুপস্থিতিতে চাপে না পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যেন উল্টো উজ্জীবিত! ভারতের ২৮৮ রানের পাহাড় টপকে ক্যারিবীয়দের ২ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেওয়া বলছে সেটাই। বিশাখাপত্তনমে কাল দ্বিতীয় ওয়ানডেটা জিতে সিরিজেও সমতা এনেছে দলটি। ২৮৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২৩ রানেই সফরকারীরা হারায় ২ উইকেটে। ইনিংসের সবচেয়ে বড় ১০০ রানের জুটিটা এর পরই গড়েন কাইরান পাওয়েল ও ড্যারেন ব্রাভো।
এরপর অবশ্য ১৮৫ রানের মাথায় পঞ্চম উইকেট হারানো দলটা উদ্ধার পায় সিমন্স-স্যামির ৮২ রানের জুটিতে। সিমন্স ৬২ করে আউট হলেও স্যামি দলকে না জিতিয়ে ফেরেননি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক ওয়ানডে অধিনায়ক ৪৫ বলে ৪ চার ও ৪ ছক্কায় অপরাজিত ছিলেন ৬৩ রানে।
ভারত বড় পুঁজি পেয়েছে বিরাট কোহলির ব্যাটে। কোহলি অবশ্য কাল মাঠ ছেড়েছেন একটা আফসোস নিয়ে।
ক্যারিয়ারে তৃতীয়বার নড়বড়ে নব্বইয়ের শিকার, আউট হয়েছেন ৯৯ রানে। ওয়ানডেতে ৯৯ রানে আউট হওয়ার ২৪তম ঘটনা এটি। এর মধ্যে ভারতীয়রাই ৯৯-এ কাটা পড়লেন সাতবার। এক শচীন টেন্ডুলকারই তিনবার, ২০০৭ সালে। তবে এই ইনিংসেই স্বদেশি রোহিত শর্মাকে টপকে এ বছরে ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক হয়েছেন কোহলি।
৩০ ম্যাচে তাঁর রান ১২১৮। ২৪ ম্যাচে রোহিতের রান ১১৫৫, ২৭ ম্যাচে মিসবাহর ১১৩২। কোহলি ১৮তম ওয়ানডে সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে। তখনই রামপলের বাউন্সার। পুল করলেন কোহলি।
বল চলে যায় ফাইন লেগে। হোল্ডার দৌড়ে এসে নিলেন দুর্দান্ত ক্যাচ। ভারতের ২৮৮-তে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ধোনির, অপরাজিত ৫১। ক্রিকইনফো।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ভারত: ৫০ ওভারে ২৮৮/৭ (কোহলি ৯৯, ধোনি ৫১*, ধাওয়ান ৩৫; রামপল ৪/৬০, স্যামি ১/১১, পেরমল ১/৫৫, হোল্ডার ১/৬৩)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৪৯.৩ ওভারে ২৮৯/৮ (স্যামি ৬৩*, সিমন্স ৬২, পাওয়েল ৫৯, ড্যারেন ব্রাভো ৫০; অশ্বিন ২/৩৭, সামি ২/৫৫, ভুবনেশ্বর ২/৫৬)। ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ড্যারেন স্যামি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।