সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আশরাফুল মকবুল জানান, ‘ফেরত পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা’ থেকেই ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়নি। কেনার পর বছর পার হতে চললেও সেগুলো সংসদের ‘স্টোরে’ পড়ে আছে।
‘মাননীয় সংসদ সদস্যগণের কানেকটিভিটি সৃজন ও জাতীয় সংসদে ইন্ট্রানেট এপ্লিকেশন তৈরির কর্মসূচি’ শীর্ষক এক প্রকল্পের আওতায় প্রায় আড়াই কোটি টাকা খরচ করে এসব ল্যাপটপ ও অ্যান্টিভাইরাস কেনা হয়।
ফাইল ছবি সংসদ সচিবালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সরকারি টাকায় এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন শুরুর পর চলতি বছর জানুয়ারিতে কেনা হয় ৩৫০টি এইচপি ল্যাপটপ। প্রতিটির জন্য ৭০ হাজার করে মোট দাম পড়ে ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
ফাইল ছবি
প্রতিটি ল্যাপটপের ‘সুরক্ষার’ জন্য ১৩০০ টাকা দরে অ্যান্টিভাইরাসও কেনা হয়। এ বাবদে মোট খরচ হয় ৪ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে মোট খরচ দাঁড়ায় ২ কোটি ৪৯ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।
ল্যাপটপ কেনার পর শুরু হয় বিতরণের নীতিমালা তৈরির কাজ। আর তা নিয়েই গোল বাঁধে।
নীতিমালায় সংসদের মেয়াদ শেষে ল্যাপটপ ফেরত দেয়ার শর্ত রাখায় বেশ কয়েকজন সাংসদ আপত্তি তোলেন। কয়েকজন নিতেও অস্বীকার করেন।
সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আশরাফুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ল্যাপটপগুলো বিতরণ করে সংসদের মেয়াদ শেষে আবার ফেরত নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। যেহেতু মেয়াদ প্রায় শেষ; ঠিকমতো ফেরত পাওয়া যাবে কিনা সেদিকে লক্ষ্য রেখেই ওগুলো বিতরণ করা হয়নি। ”
২০০৯ সালের ২৫ জানুয়ারি যাত্রা শুরু করা নবম সংসদের অধিবেশন ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে।
গত ২০ ডিসেম্বর এ সংসদের সমাপনী অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইমার্জেন্সি বা যুদ্ধাবস্থা’ তৈরি না হলে নবম সংসদের অধিবেশন আর বসবে না। ২৪ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর নতুন সাংসদরাই আগামী সংসদে বসবেন।
নতুন সংসদ বসার পর নীতিমালা ঠিক করে ল্যাপটপগুলো বিতরণ করতে চাইলেও অন্তত আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এদিকে ল্যাপটপ প্রস্তুত ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত এক বছরের ‘ওয়ারেন্টি’ বা বিক্রয়োত্তর সেবা দেয়। আসছে জানুয়ারির শেষে সেই মেয়াদও পেরিয়ে যাবে।
সংসদ সচিবালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সাংসদদের জন্য কেনা ল্যাপটপগুলো সংসদের ‘কমন শাখায়’ পড়ে আছে। যে এন্টিভাইরাস কেনা হয়েছিল তার মেয়াদ প্রায় শেষ। সবগুলো ল্যাপটপের ব্যাটারি এথনো ঠিক আছে কি না- তা নিয়েও সন্দেহ আছে।
জাতীয় সংসদের ‘আইটি’ শাখার পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের কারণে এগুলো দেয়া হয়নি। সংসদ যেহেতু শেষের দিকে, সেহেতু এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আমরা পাইনি।
”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।