আরব বিশ্বের দুই দেশের মধ্যকার কোনো রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব-সংঘাত নয়, এবার সৌদি আরব ও ইয়েমেনের দুই প্রেমিক-প্রেমিকাকে নিয়ে তত্পর হয়ে উঠেছে জাতিসংঘ। আল-জাজিরা বলছে, প্রেমিককে বিয়ে করার জন্য ইয়েমেনে পালিয়ে যাওয়া এক সৌদি নারীকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য সম্প্রতি ইয়েমেন সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ করেছে জাতিসংঘ।
সৌদি নারী হুদা আল-নিরান (২২) পরিবার ও দেশের সীমানা পার করার যে সাহসিকতা দেখিয়েছেন, তা শেক্সপিয়ারের কালজয়ী নাটক ‘রোমিও ও জুলিয়েটে’র কথা মনে করিয়ে দেয়।
গত অক্টোবরে ইয়েমেনের আরাফাত মোহাম্মেদ তাহের আল-কাদিকে (২৫) বিয়ে করার জন্য অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ইয়েমেনে পালিয়ে যান হুদা। ইয়েমেনের কর্তৃপক্ষ তাঁকে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে আটক করে এবং পরে বিচারের জন্য আদালতে হাজির করে।
হুদা আল-নিরান জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) মাধ্যমে ইয়েমেনে শরণার্থী মর্যাদা পাওয়ার আবেদন করেন। এরপর আদালত তাঁর বিচার আগামী ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, আল-নিরানকে ইয়েমেন থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে।
হুদা আল-নিরান গতকাল রোববার এ ব্যাপারে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে আদালতে হাজির হন। ১ ডিসেম্বরে তাঁকে আবার আদালতে হাজির হতে হবে।
এদিকে ইয়েমেনের রাজধানী সানাতে আদালত চত্বরে প্রেমিক যুগলের হাজার হাজার সমর্থক ‘সীমান্ত ও নাগরিকত্বের ঊর্ধ্বে ভালোবাসা’ স্লোগান দিয়েছে। অনেকে ‘আমরা সবাই হুদা’ লেখা পট্টি মাথায় বেঁধে সৌদি নারী হুদার প্রতি সমর্থন জানান।
ইউএনএইচসিআরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, ইউএনএইচসিআর আল-নিরানকে ‘মানবিক আশ্রয়’ পেতে সাহায্য করবে, যাতে তাঁকে ইয়েমেন থেকে বের করে দেওয়া না হয়।
এ দুই প্রেমিক-প্রেমিকার বিয়ে করার অঙ্গীকার নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা করছেন ইয়েমেনি ও সৌদিরা। আরব নারীর এমন সাহস দেখে খুব রক্ষণশীল দেশ দুটির কর্তৃপক্ষ বেশ অবাক হয়েছে।
খবরে বলা হয়, সৌদি আরবের একটি মোবাইলের দোকানে হুদার সঙ্গে প্রথমবার দেখা হয় আল-কাদিরের। কাদির ওই দোকানে কাজ করতেন।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।