আলাপন, বার্তা বিনিময় ও ইন্টারনেট ব্যবহারের মতো ব্যক্তিগত প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি স্মার্টফোন নিত্যনতুন সুবিধা দিয়েই চলেছে। এবার শহরাঞ্চলের আবহাওয়া পর্যবেক্ষণেও এই আধুনিক যন্ত্রটির ব্যবহার শুরু হতে যাচ্ছে। মার্কিন গবেষকেরা বলছেন, স্মার্টফোনে তাপমাত্রা নির্ণয়ের মাধ্যমে কোনো শহরের আবহাওয়া নিয়ে বিশদ গবেষণার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স সাময়িকীতে এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। নগরাঞ্চলের তাপমাত্রাসহ সার্বিক আবহাওয়া পরিবর্তন নিয়মিত পর্যবেক্ষণের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
সাধারণত তাপ শোষণকারী বিভিন্ন উপাদানের (যেমন সিমেন্ট, পিচ প্রভৃতি) ব্যবহার এবং ভবনের আধিক্যের কারণে শহরের তাপমাত্রা আশপাশের অঞ্চলের তুলনায় বেশি হয়ে থাকে। আর তাপমাত্রা বেড়ে গেলে তা নিয়ন্ত্রণের জন্য শহরবাসী বিভিন্ন বৈদ্যুতিক যন্ত্র ব্যবহার করে। এতে বিদ্যুৎ সরবরাহের ওপর চাপ পড়ে। এ ছাড়া দাবদাহে শিশু ও বয়স্কদের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।
নগরাঞ্চলে তাপমাত্রার পরিমাপ ও নিয়ন্ত্রণের কাজটি এমনিতে আবহাওয়া কেন্দ্র ও কৃত্রিম উপগ্রহের (স্যাটেলাইট) মাধ্যমে তদারকি করা হয়ে থাকে।
এ জন্য শহরের সবখানে যন্ত্র স্থাপনের ব্যাপারটি একই সঙ্গে ব্যয়বহুল ও শ্রমসাধ্য। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণে স্মার্টফোন ব্যবহারের কৌশলটি অনেকটা কাকতালীয়ভাবেই খুঁজে পেয়েছেন। তাঁরা জানান, ওপেনসিগন্যাল নামের একটি বিশেষ অ্যাপ কোনো স্মার্টফোনে ব্যবহূত ব্যাটারির অবস্থা সম্পর্কে তথ্য অনলাইনে পাঠিয়ে দিতে পারে। এ তথ্য বিশ্লেষণ করে স্মার্টফোনটির অবস্থা কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পাঠানো হয়। আর ব্যাটারির তাপমাত্রার তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে আশপাশের পরিবেশ সম্পর্কেও জানা যায়।
ওপেনসিগন্যাল অ্যাপটি কয়েক হাজার স্মার্টফোনের তথ্য অনলাইনে পাঠাতে পারে।
মার্কিন গবেষকদের আশা, তাঁদের পরিকল্পনা অনুযায়ী স্মার্টফোন ব্যবহারের মাধ্যমে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণের পদ্ধতিটি নগরাঞ্চলের আবহাওয়া গবেষণায় ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারবে। সংশ্লিষ্ট গবেষক জেমস রবিনসন বলেন, যখন অনেক স্মার্টফোন গ্রাহকের কাছ থেকে কোনো অঞ্চলের তাপমাত্রা ও আবহাওয়াসংক্রান্ত তথ্যাবলি ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংগ্রহ ও তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা হবে, তখন অবশ্যই নিখুঁত হিসাব পাওয়া যাবে। কিন্তু কেবল দু-একটি স্থানে নির্দিষ্ট কয়েকজন ব্যক্তির মাধ্যমে আবহাওয়ার তথ্য সংগ্রহের প্রচলিত পদ্ধতি এতটা নির্ভুল না-ও হতে পারে। লাইভসায়েন্স।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।