আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মেয়েদের জন্য : কোন ৭ উপায়ে খুঁজে পাবেন আপনার আমার আমিকে

বর্তমানে লেখাপড়া নিয়ে ব্যস্ত ।
নিজেকে চেনা সবচেয়ে কঠিন কাজ, কিন্তু পথ চলতে গেলে এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এর মাধ্যমে আপনি নিজের ভালো ও মন্দ দিকগুলোকে আলাদা করে বুঝতে পারবেন। নিজেকে শুদ্ধ করে তুলতে পারবেন। এভাবে আপনি নিজস্ব সত্তা, ভেতরে লুকায়িত শক্তি খুঁজে পাবেন।

এটা ঠিক যে, অনেকে নিজেকে পরিশুদ্ধ করার প্রয়াস চালাতে গিয়ে ব্যর্থ হন কারণ কাজের সময় নিজের ইতিবাচক দিকগুলো চোখের সামনে থেকে দূরে সরে যায়। অনেকেই নিজের কাছেই নিজে দুর্বোধ্য। তার মানে এই নয় যে, এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। যদি আপনি নিজের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে পারেন তবে নিজেকে কীভাবে পরিবর্তন করবেন সে পথ খুলে যাবে সামনে। ১. আত্মসমালোচনা করতে শিখুন ও নিজের আকাঙ্ক্ষার প্রতি আস্থা রাখুন নিজেকে কিভাবে খুঁজে পাবেন? এটা নগন্য একটি ব্যাপার।

কারণ আত্মনিয়ন্ত্রণের পূর্বপ্রস্তুতি নেয়ার সহজ পথ এটা। কিভাবে এটা কাজ করে? নারীরা সেই অল্প বয়স থেকেই কল্পনাপ্রবণ হয়, ছোট থেকেই নিজেকে অন্যদের তুলনায় সুখী ভাবতে শুরু করেন। ঘরের জীবনে তারা আয়না নিজেদের মুখ বারবার দেখেন, নিজের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হন। একই ছেলেদের পাশাপাশি বেড়ে ওঠার সময় কঠিন ব্যাপারগুলো আত্মস্হ করতে থাকেন। কেননা একটা ছেলে ঢেকুর তুললে দোষ নেই কিন্তু মেয়ের ক্ষেত্রে এটা দোষ।

কারণ এই আচরন নারীসুলভ নয়। আপনি যে অনন্য এটা কিভাবে তৈরি করবেন? মনকে কেন্দ্রীভূত করুন, মনোসংযোগ আনুন। মাথায় রাখুন, একজন পুরুষ আপনাকে চাপ প্রয়োগ করে আপনার কাছ থেকে অনেক কিছুই আদায় করে নিতে পারে। একজন পুরুষ যদি না কাঁদে তাহলে এটা সাহসী পুরুষত্বের পরিচয়ের বহন করে কিন্তু আঘাত পেয়ে যখন একটি মেয়ে কাঁদে না তখন সেটা শান্ত মেয়ের পরিচয় বহন করে। তেমনি ভাবে একজন পুরুষ যখন নেতা- নারী তখন নিয়ন্ত্রক, যখন পুরুষ প্রজননকারী- তখন নারী পালনকর্ত্রী।

এই ধরনের অনেক নতিস্বীকারের উপাদান রয়েছে যা আপনাকে আমিত্ব কে খুঁজে বের করতে সহায়তা করবে। ২. নিজের পরিবর্তন বিষয়ে সজাগ হোন ৭ বছর অন্তর মানুষের পরিবর্তন ঘটে। টিনএজে এই ধরনের মানসিকতা সৃষ্টি হয়। নারীরা মধ্যবয়সের সমস্যায় কখন জর্জরিত হয়? যখন বয়স ৪০? ৪ গুন ৭ বছর +১২ বছর=৪০। যৌবনের পড়ন্ত সময়ে এই ৭ বছর কোথা থেকে আসবে? যখন নারী ও পুরুষ উভয়ই একই সময়ে বিকশিত হতে পারে না, তখনই বেজে ওঠে ভাঙনের সুর।

যদি এ ব্যাপারে আপনি সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হন তাহলে ভালো করে ভেবে দেখুন পরবর্তী দীর্ঘ ৭ বছর নিজেকে এই অবস্হায় টেনে নিয়ে যেতে পারবেন কিংবা ১৪ বছর? মজার ব্যাপার যে, যদি এই ৭ বছরে নিজের অবস্হানের পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম না হন তাহলে আপনার অবস্হান কোথায় হবে? কত বছর বয়স পর্যন্ত আপনি শিশু ছিলেন? ১৯ বছর বয়স পর্যন্ত কিংবা ২৬ অথবা ৩৩ বছর বয়স পর্যন্ত? খুব ভালো করে ভেবে নিন। ৩.ভুল থেকে শিক্ষা নিন আমাদের মধ্যে অনেকে রয়েছেন যারা কখনওই ভুল থেকে শিখতে চান না। আমরা যা জানি, যতটুকু জানি সেটাকেই আঁকড়ে ধরে থাকার চেষ্টা করি। আমরা সঙ্গী বেছে নেই এবং একটা সময় বুঝতে পারি যে ভুল সঙ্গী নির্বাচন করেছি। এরপরেও আমরা সেই সঙ্গীকে ত্যাগ করতে পারি না।

যার ফলে আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়। এইসব বাতিকের কারণেই আমরা ভুক্তভোগীতে পরিণত হই। ফলে আমাদের বাচ্চারা কিংবা অন্যান্য বংশধরের নিকট বিরূপ হয়ে উঠি। তারা কারণে অকারণে রুঢ় আচরণ করে থাকে। এসবের কারণ হচ্ছে আমরা ভুল থেকে শিক্ষা নিতে চাই না।

আপনার জীবনের ভুলগুলো এড়িয়ে না গিয়ে শিক্ষা নিন, তাহলেই খুঁজে পাবেন আপনার ভেতরের 'আমি'কে। ৪. দুঃখকে উপভোগ করুন কিছু মানুষ আছেন যারা দুর্ভোগকে উপভোগ্য হিসেবে নেন। ধ্রুবসত্য যে, এটা আয়ত্ত করা খুবই সহজ। আপনি মজা করেই আপনার মধ্যে দুঃখের অনুভুতি প্রবাহিত করতে পারেন এবং মানুষকে এ ব্যাপারে পরামর্শ দেয়ার সুযোগ দিতে পারেন। দুর্দশাগ্রস্ত যেসব মানুষকে আপনি চেনেন তারা আপনার মতোই একই পথ অনুসরণ করে।

এই সাধ আপনার মধ্যে হয়তো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। এক সময় আপনাকেও প্রকৃত অর্থে ভুক্তভোগী বানিয়ে দেবে। কিন্তু পৃথিবীতে যারা সত্যিকার অর্থেই ভুক্তভোগী তারা কখনোই নিজেদের দুর্দশা দেখাতে পারেন না। ৫। আশা জিইয়ে রাখুন আপনার যদি আশাই না থাকে, লক্ষ্য না থাকে তাহলে সকল চেষ্টাই বৃথা যাবে।

নিজের 'আমি' কে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হয়ে যাবে। ৬। গঞ্জনা সহ্য করতে শিখুন আপনার প্রতি অন্যরা দোষারোপ করলে সহ্য করতে শিখুন। এই ব্যাপারটি ৪ নম্বর পয়েন্টের সাথে সম্পৃক্ত। কেননা 'আমি ভুক্তভোগী' এটা একটা সহজলভ্য বাক্য।

আপনি আপনার কর্মক্ষেত্রে কখনওই প্রমোশন পাবেন না। আপনার বদলে প্রমোশন পাবে বসের নেক নজরে যে আছে সে। আপনার প্রেমিক আপনার সাথে প্রতারণা করবে কারণ কিছু মানুষ এমনই। স্কুলে আপনার বাচ্চারা বৈষম্যের শিকার হবে কারণ শিক্ষকেরা আপনার পরিবারকে ঘৃনা করে। মানুষের গঞ্জনা সবসময়ই থাকবে।

যার কারণে এমনও হতে পারে যে, আপনি মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে মৃত্যুর জন্যই অপেক্ষা করছেন। তবু ধৈর্য্য হারাবেন না। ৭. মনে রাখুন ব্যর্থতা নয়, বরং সাফল্যই চরিত্র গঠন করে এটি একটি প্রধান উপাদান। যে কারণে আপনি আপনার আপন সত্তায় অলংকৃত ৷ ব্যর্থতা এবং দুঃসময় চরিত্র গঠন করে না ৷ যেসব মানুষ একাই সাফল্যকে কেবল নিজেরই হাতের মুঠোয় বন্দি করে রাখতে চায় এটি তাদের দ্বারা তৈরি একটি ভ্রান্ত ধারণামাত্র ৷ একজন গৃহহারা মানুষ কদাচিৎ মহৎ ব্যক্তিত্বের হয়ে থাকে। অথচ একজন কৌশলী যোদ্ধা তার আহত সহযোদ্ধাদের লাশ বয়ে নিয়ে পালায় ৷ সাফল্যই চরিত্র গঠন করে যা আপনার আপন সত্তার একটি বড় উপাদান ৷ কোনো কোনো মানুষ এই সাফল্য ধরে বহুদূর যায় ৷ তারা যে সাফল্য পেয়েছিল যৌবনে, ১৫ বছর পরেও তাদেরকে দেখা যায় তাদের আপাত পুরনো কিন্তু বিলাস বহুল গাড়িটির মধ্য দিয়ে সাফল্যকে পুনরজ্জীবিত করতে ৷ আপনার সাফল্য, আপনার বিজয়, এবং সেইসব মুহূর্ত যখন আপনি প্রথম হয়েছিলেন এইসব মিলিয়েই আপনার আপন সত্তা ৷ এছাড়াও আরো কিছু প্রাসঙ্গিক উপাদান আছে যা আপনার আপন সত্তা গঠনে অবদান রাখে ৷ যেমন আপনার বাবা মা, সামাজিক গণ্ডি, যোগাযোগ মাধ্যম, প্রিয় ব্যক্তিত্ব ইত্যাদি ৷ আপনি কি কখনো এগুলোর ব্যাপারে বিশদ ভেবে দেখেছেন? কখনো কি আপনার মনে হয়েছে আপনার সামনে এগিয়ে যাবার পথে সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষেত্রে এই ব্যাপারগুলোই আপনাকে সাহায্য করবে? - See more at: Click This Link
 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।