গত বছরের একটি ঘটনা। তখন রাবি’তে অ্যাডমিসন টেস্ট চলছে। আমার এক ছোট বোন অ্যাডমিসন টেস্ট দিতে এসেছে। আমি রাজশাহীতে থাকি তাই দেখা করতে গেলাম ওর সাথে। যদিও রাজশাহীতে আছি দেড় থেকে দুই বছর তখন পর্যন্ত রাবি’র লেডিস হলের এলাকাটা আমার কাছে অপরিচিত।
বলতে গেলে কোন হল’ই ঠিকমত চিনি না।
আমি তাপসী রাবেয়া হলের সামনে যেয়ে ঘুরপাক খাচ্ছি। বুঝেই উঠতে পারছিলাম না কোথায় আসলাম আর কোথায় যাবো!!! স্বল্প দূরত্বেই এক আপুকে হেঁটে যেতে দেখলাম। জিগ্যেস করলাম রহমতুন্নেছা হলটা কোন দিকে। আপু হাত দিয়ে ইশারা করে দেখিয়ে দিলো ঐতো ঐদিকে।
আমি ধন্যবাদ জানিয়ে চলে আসবো এরই মধ্যে একজন বডিগার্ডের মত মাঝে এসে দাঁড়ালেন। কথা বলার আগ পর্যন্ত লোকটাকে ভদ্রই মনে হচ্ছিলো। লোকটা আমাকে জিগ্যেস করলেন,রাস্তায় এত মানুষ থাকতে আপনি ওকে জিগ্যেস করলেন কেন??? তখন অবশ্য বুঝতে পারলাম লোকটা আপুর বয়ফ্রেন্ড’ই হবে। আপুটা কিছুটা ইতস্তত বোধ করছিলেন তার কথা শুনে আর আমি হতভম্ব। বডিগার্ড স্বরূপ প্রেমিক ভাই ততক্ষণে আরও কি কি যেন বলে চলেছেন।
কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে থাকলাম কিন্তু কোন উত্তর খুঁজে পেলাম না। সত্যি বলতে প্রশ্নটা কোন স্বাভাবিক মস্তিষ্কের মানুষের মনে হচ্ছিলো না তাই উত্তর ও দিতে ইচ্ছা করছিলো না। আরেকটা কারণ আছে। ততদিন পর্যন্ত জগতের রীতিনীতি ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি। কিছু না ভেবে হাঁটা ধরলাম আমার উদ্দেশ্য সাধনে।
পিছে ফিরে দেখি সেই আপু আর তার বডিগার্ড(প্রেমিক) বাকবিতণ্ডায় ব্যস্ত। অবস্থা সুবিধার না দেখে আরও দ্রুত হাঁটতে শুরু করলাম।
কিছু মানুষ আছে যারা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে সত্যিই আগের মত থাকে না। কোন এক অজানা কারণে অনেক কাছের বন্ধুকেও দূরে সরিয়ে দেয়। আর অপরিচিত হলে তো কথাই নেই।
আবার এমন অনেককেই দেখি যাদের দিকে দেখলে ঈর্ষা হয়। আরও হাসিখুশি থাকে আগের থেকে। বন্ধুরা যেন তাদের কাছে আশীর্বাদ। এমনই তো হওয়া চাই।
পরশ পাথরের ছোঁয়ায় যদি পবিত্র আলোয় উদ্ভাসিত না হয়ে কলঙ্কিত হলাম।
কি লাভ সে পরশ পাথরের সন্ধান করে!!!!!!!!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।