ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সারদা গোষ্ঠীর অর্থ কেলেঙ্কারিতে জড়িত ১২ জনকে গ্রেপ্তার ও কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (সিবিআই) দিয়ে ঘটনার তদন্ত দাবিতে কলকাতার বিধান নগরে পুলিশ কমিশনারেটের সামনে বিক্ষোভ করেছেন সব স্তরের মানুষ। তাঁরা সারদা কেলেঙ্কারির ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া তৃণমূলের সাংসদ কুণাল ঘোষের ভাষ্য অনুযায়ী ওই ১২ জনকে অবিলম্বে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানান। সারদা-কাণ্ডে সম্প্রতি গ্রেপ্তার হন কুণাল ঘোষ। গ্রেপ্তারের রাতেই ফেসবুকে ১২ জনের নাম প্রকাশ করেন কুণাল। তিনি বলেন, ওই ব্যক্তিরা সারদা-কাণ্ডের ব্যাপারে পুলিশকে তদন্তে সাহায্য করতে পারেন।
এই ১২ জন হলেন সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী, বিধায়ক ও রাজ্যের মন্ত্রী মদন মিত্র, কেডি সিং, সাংসদ মুকুল রায়, ‘সংবাদ প্রতিদিন’ পত্রিকার সম্পাদক সাংসদ সৃঞ্জয় বোস, বিধাননগর পৌরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণা চক্রবর্তী, তাঁর স্বামী বুয়া চক্রবর্তী (সমীর), মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং টুটু বোস, সৌমিক বোস, আসিফ খান ও রজত মজুমদার ।
আজ বিক্ষোভকারীদের পক্ষে ১০ জনের একটি প্রতিনিধিদল পুলিশ কমিশনারেটে ডেপুটি পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করতে চান। কিন্তু পুলিশ বাধা দিলে উপস্থিত জনতা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তখন পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য ধাক্কাধাক্কি ও লাঠিপেটা করে বলে বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেছেন। পরে পুলিশ শিক্ষাবিদ সুনন্দ সান্যাল, সিপিএমের সাবেক সাংসদ সুজন চক্রবর্তী, কংগ্রেস বিধায়ক সুখবিলাশ বর্মা, অসীম চ্যাটার্জি, সমীর পুততুন্ডসহ বেশ কয়েকজনকে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে আটক করে উত্তর বিধান নগর থানায় নিয়ে যায়।
এই বিক্ষোভ সমাবেশে রাজ্যের বিভিন্ন ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পের এজেন্ট এবং আমানতকারীরাও যোগ দেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।