সম্প্রতি পশ্চিম আফ্রিকায় বিজ্ঞানীরা নতুন ধরনের এইচআইভি'র সন্ধান পেলেন। তাদের দাবি, নতুন প্রজাতির এই ভাইরাস ধরনে 'রিকম্বিন্যান্ট'। একই ভাইরাসের দু'টি ধরনের সংক্রমণ একসঙ্গে হলে তাদের মধ্যে আদানপ্রদানের ফলে জন্ম নেয় এ ধরনের ভাইরাস। ফলে এই ভাইরাস তুতো ভাইদের তুলনায় অনেক বেশি আক্রমণাত্মকও।
'রিকম্বিন্যান্ট' এইচআইভি নিয়ে অনেক দিন ধরে কাজ করছে সুইডেনের লুন্ড বিশ্ববিদ্যালয়।
তাদের গবেষণালব্ধ ফলাফল 'জার্নাল অফ ইনফেকশাস ডিজিস'-এ প্রকাশিত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, সাধারণ এইচআইভি'র ক্ষেত্রে এইডসের প্রাথমিক উপসর্গ দেখা দেওয়ার ন্যূনতম সময় সাড়ে সাত বছর। সেখানে এই 'রিকম্বিন্যান্ট' ভাইরাস সংক্রমণে মাত্র পাঁচ বছরেই প্রকাশ পায় এইডসের লক্ষণ।
গিনি-বিসোয় সংক্রামিত মানুষের শরীর থেকে সংগৃহীত নমুনা বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, গঠনগতভাবে দু'টি ভিন্নধর্মী ভাইরাসের মিলনেই সৃষ্টি নতুন এই আগ্রাসী এইচআইভি'র৷ গিনি-বিসোয় '০২এজি' ও 'এ-৩' ভাইরাস দু'টি অতিসক্রিয়। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে দেখা যাচ্ছে, একই দেহে একসঙ্গে দু'টি প্রজাতির সংক্রমণ হলে তাদের মধ্যে ডিএনএ আদানপ্রদানের ফলে জন্ম নিচ্ছে এই 'রিকম্বিন্যান্ট' ভাইরাস 'এ-৩/০২'৷
পৃথিবীতে এইচআইভি-১ গোত্রের এমন ৬০টি ধরনকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যারা এইডসের জন্য দায়ী।
কোনও সংক্রমণপ্রবণ এলাকায় এদের একটি বা দু'টি (ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে) প্রজাতিই অতিসক্রিয় অবস্থায় থাকে। তবে সাধারণভাবে একটি প্রজাতির সংক্রমণ ঘটলে, দ্বিতীয় সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে না৷ এখানেও ব্যতিক্রমী 'এ-৩/০২'।
অনুপ্রবেশ সমস্যায় জর্জরিত ভারত কিংবা আমেরিকার মতো দেশে এই ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা অনেক বেশি। অসুরক্ষিত যৌনসংসর্গ, বিনা পরীক্ষায় রক্ত সঞ্চরণের মাধ্যমে কোনোভাবে একবার শরীরে ঢুকে পড়তে পারলেই অভিযোজন ক্ষমতার গুণে দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়বে এই ভাইরাস। মৃত্যুর সময় গোনা ছাড়া তখন আর কোনও উপায়ই থাকবে না।
আগাম সতর্কতা হিসেবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তারা মনে করেন, একমাত্র স্বাস্থ্যবিধির অনুশীলনেই ভাইরাসের মরণ হামলা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।