আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ৎঁৎঁৎঁ ’র একটি মন্তব্যের প্রতিউত্তর

নিজেকে ভালোবাসি, ভালোবাসি আমার কন্যা মনস্বিতা মেধাকে, ভালোবাসি কবিতা, গান, আর মানুষ, সকালের শিশির, সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি আমার বাংলাদেশকে

ৎঁৎঁৎঁ আমার লেখার একজন নিয়মিত এবং মনোযোগী পাঠক। তিনি নিরব পাঠক নন, তিনি অকপটে বস্ত নিস্ঠ মন্তব্য দিতে দ্বিধায় ভোগেন না। উনার মতো পাঠক একজন লেখকের কাছে সব সময়ই কাঙ্খিত। উনি উনার মন্তব্যের মাধমে লেখককে পরবর্তী লেখার আয়োজন করতে উদ্বু্দ্ধ করেন। আমার এই ব্লগটি তেমনই একটি ব্লগ।

ৎঁৎঁৎঁ আপনাকে ধন্যবাদ। তবু ভালো আপনি এসে একটা প্রতিক্রিয়াতো জানালেন। লক্ষ্য করেন, আমার এই লেখাটি সতেরবার পঠিত। লেখাটি কারো মনেই কোনো প্রতিক্রিয়া জাগাতে পারেনি। কারণ লেখাটির বিষয়বস্ত।

আমরা আসলে সহ্য করতে করতে একটা নির্লিপ্ত আবরণে নিজেকে আবৃত্ত করে ফেলেছি। সকলের ভাবখানা এমন এই লেখাটির বিষয়বস্তু আমি অন্য কোনো দেশ অন্য কোনো সমাজ থেকে তুলে নিয়ে এসেছি। তাই এখান থেকে পাঠকের সাহিত্য রসদটুকু নেয়া ছাড়া আর কিছু নেয়ার বা বলার নেই। কিন্তু আসলেই কি তাই? না আমি লেখাটি লিখেছি আমার নিজস্ব সৎকারের আগুন থেকে উঠে এসে। যখন ঘৃণার দাউ দাউ আগুনে পুড়ছে আমার দেশ।

প্রকাশ্যে যেখানে পোড়ানো হচ্ছে দলকে দল মানুষ। এই মানুষগুলো আমার কাছের কেউ নয়, আমার দেশের মানুষ। এর স্বীকার হয়েছে হয়তো আমার পাশের ফ্লাটের কেউ, অসম্ভব কিছু নয় যে কোনো সময় এই দলে জুড়ে যেতে পারে আমার আপনার একান্ত আপন কেউ। আমার প্রশ্নটি এখানেই। তখনও কি আমি গায়ে আলোয়ান জড়িয়ে চৌরাশিয়ার বাঁশি শুনতে যাবো? জানি না আর কার কি মনে হয়, আমারতো মনে হয় এটা পরিকল্পিত আয়োজন।

সীমাহীন রাজনৈতিক স্বেচ্চাচারে যখন সাধারণ মানুষের বি্েকষাভে রাস্তায় নেমে আসার কথা, যে মুহূর্তের রাজনৈতিক সন্ত্রাস যে দেশে রেহাই দিচ্ছে না মায়ের পেটের ভেতরের শিশুটিকেও তখন এই আয়োজন সিডাটিভ দিয়ে দেশের মানুষকে ঘুম পাড়িয়ে রাখার আয়োজন না হয়েই যায় না। ঘোষিত না হলেও দেশে এখন বিরাজ করছে একটা জরুরি অবস্থা। আমার লেখার কোথাও আমি বলিনি অন্যগুলোতে আমার আপত্তি নেই। আপনি যে বিষয়গুলো উল্লেখ করেছেন সেগুলো আমার লেখায় তুলে এনে আপত্তি না জানাতে পারা আমার লেখার ব্যর্থতার একটি দিক। এটা আপনি বলতে পারেন।

কতদিন ঘরে অবরূদ্ধ হয়ে আছি এই মূহুর্তে বলতে পারছি না। বাচ্চার পরিক্ষা পেছাতে পেছাতে আদৌ হবে কিনা এমন একটা অবস্থায় গিয়ে পৌঁছেছে। যে দেশের বাচ্চাদের শিক্ষা জীবন ঝুঁকির মুখে পড়ে গেছে সেই দেশে এমন একটি সঙ্গীতায়োজন খুব স্বাভাবিক আয়োজন নয়। যারা এই সঙ্গীতায়োজনের উদ্যোক্তা/শ্রোতাদর্শক তারাই বহুজাতিক শপিং মলের বাহারী পণ্যের ক্রেতা, মনে হয় যুদ্ধাবস্থাতেও তাদের এই প্রবণতা বন্ধ হবে না। আর সিনেমা হলগুলোতে আদৌ কেউ যাচ্ছে কিনা কিংবা গেলেও তারা কারা এটাও অনুসন্ধানের বিষয় হওয়া উচিত।

আমাদের জাতীয় জীবনে বিষফোঁড়ার মতো আজ আমরা বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছি, যু্দ্ধাপরাধীদের বিচার তথা রাজাকার/আলবদর প্রসঙ্গটি, এর উৎপত্তিই হয়েছে আমার মনে হয় আমাদের সঠিক সময়ে দেশ জাতির সংকটকালে সঠিক পক্ষ নিতে না পারার জায়গা থেকে, একাত্তরে যারা সঠিক পক্ষ বেছে নিতে ব্যর্থ হয়েছে তাদের নিয়েই আজ হিমশিম খেতে হচ্ছে পুরো জাতিকে, আজো মনে হয় এই পক্ষ নেয়ার সময়টি উপস্থিত হয়েছে। এইবারও যদি কেউ কেউ বিষয়টি অনুধাবণ করতে ব্যর্থ হয় তবে এর মাশুল গুনতে হবে জাতিকে আরো কতো বেয়াল্লিশ বছর এ শুধু ভবিতব্যই বলতে পারবে। এই পুরো বিষয়টি আমি আমার একটি কবিতায় তুলে আনতে না পারার ব্যর্থতা আমি স্বীকার করছি। আর সঙ্গম বিষয়টি যাদের কাছে অক্সিজেনের মতো, পানির মতো তিনবেলা খাবারের মতো জরুরি তাদেরকে আমি এটা বন্ধ রাখতে বলি কি করে? পতিতালয়ের পতিতাকে তার দোকানের সাটার নামিয়ে রাখতে বলাটাও সমিচীন মনে করছি না। তাদের ক্রেতাদেরকেও আমি সচেতন নাগরিকের পর্যায়ের মনে করছি না।

যারা টেলিভিশনে বিনোদন জারি রেখেছে তারাই দেখেন গিয়ে চৌরাশিয়ার বাঁশির নেশায় ভোর রাত অবধি ‍বুঁদ হয়ে থেকেছে, কারণ একজন অন্তস্বত্তা নারীর আর্তনাদকেও পারলে তারা বিনোদনের জায়গায় নিয়ে যাবে, কারণ এই দেশের মাটি এই সব কর্পোরেট কুলাঙ্গারদের নিজের গর্ভে ধারণ করেছে। কারণ যখন তারা চৌরাশিয়ার বাঁশি নেশায় দেবত্ব লাভ করে অমরলোকে পৌঁছে যাচ্ছিলো তখন একজন অন্তসস্বত্তা নারীর আর্ত চীৎকার হয়তো সত্যিকারের দেবলোক কেঁপে উঠছিলো। ঐ অন্তস্বত্তার ব্যর্থতা, চীৎকারে সে দেবলোক কাঁপাতে পারে কিন্তু কুলাঙ্গার কর্পোরেট দুনিয়াকে ধ্বসিয়ে দিতে পারে না। নীচের এই লেখাটি আমার একজন বন্ধু দুই ঘন্টা আগে তার ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করেছে। শামীম আরা নীপা [{( 'ভাই, ভাইরে আমি অন্তঃসত্ত্বা।

আমার পেটে ছয় মাসের বাচ্চা আছে। আমাকে বাস থেকে নামতে দাও। আগুন দিলে পরে দিও'। "ভাই আমি অসুস্থ, আমাকে একটু আগে নামতে দিন। " শরীরে আগুন নিয়েও তিনি বলেন, "ভাই আমি অন্তঃসত্ত্বা।

আমাকে বাঁচতে দিন। " গাইনি বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকরা জানান, শিরিনার পেটের সন্তানের অবস্থা খুব একটা ভালো না। তার খুব শ্বাস কষ্ট হচ্ছে। বারবার চিকিত্সকের কাছে জিজ্ঞাসা করছেন ভাল আছে তো তার সন্তানটি। শত চেষ্টা সত্ত্বেও চিকিত্সকরা কোন আশার বাণী শোনাতে পারছেন না শিরিনাকে।

)}] আমি আমার চোখের পানি কে ধরে রাখতে পারিনি এবং তাদের কে ধরে রাখতে চাচ্ছি ও না ... আমরা কি আদৌ মানুষ ??? মানুষ এর সন্ধান মিলবে কোথায়??? চোখটা বন্ধ করে শুধু একবার নিজেকে শিরিন এর জায়গায় ভেবে নিলাম... নিজেদের অসহায়ত্ব আর অপারগতা কে আর মেনে নিতে পারছি না ... নিজেকে প্রচন্ড রকম বন্দী লাগছে ...!!!! শিরিন এর বাচ্চা এবং শিরিন এর এই অসহায় অনিশ্চিত জীবন এবং আমার এই বন্দী দশার জন্য আপনারা সবাই দায়ী ... সবাই দায়ী আপনারা ... কেউ মানুষ নন আপনারা ...!!! মুল লেখাটির লিংক Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.