মানুষের একটি সদিচ্ছাই এই পৃথিবীটাকে বদলে দিতে পারে
যখন খুশি বার্তা পাঠাতে চান প্রিয়জনের কাছে? হ্যাঁ, টেক্সট মেসেজ করলেই সে ইচ্ছে পূরণ সম্ভব৷ তবে ভুল বোঝাবুঝির আশঙ্কা দূরে রাখতে চাইলে, প্রিয়জনকে আনন্দ দিতে চাইলে কিন্তু স্ন্যাপচ্যাট-এর জুড়ি নেই!
এমনি এমনি কি স্ন্যাপচ্যাট-এর স্বত্ব ৩ বিলিয়ন ডলারে কিনতে চেয়েছিল ফেসবুক? টাকার অঙ্ক ৩ বিলিয়ন ডলার শুনে অবাক হবেন না৷ দ্য ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের খবর অনুযায়ী ফেসবুকের এমন প্রস্তাব আসলে পাত্তাই পায়নি৷ স্ন্যাপচ্যাটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী ইভান স্পিগেল মনে করেন, জনপ্রিয়তা যেভাবে বাড়ছে, তাতে ক'দিন পর দাম ৩ বিলিয়নের চেয়ে অনেক বেশি হবে৷ অপেক্ষায় যদি লাভ বাড়ার সম্ভাবনা থাকে, তাহলে সামান্য লোভনীয় প্রস্তাবেই মাথা বিগড়ে গেলে কি চলে!
মাথা নাকি বিগড়াচ্ছে টিন-এজ ছেলেমেয়েদের৷ মোবাইল ফোন থেকে টেক্সট মেসেজ বা এসএমএস পাঠিয়ে তাৎক্ষণিক খবর বা ভাব আদান-প্রদান করে তাদের অনেকেরই নাকি খুব একটা ভালো লাগছে না৷ এসএমএস-এ অনেক সময় ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়৷ লিখলেন ভালো কথা, কিন্তু আনন্দ নিয়ে, খুশি হয়ে লিখেছেন, প্রাপক সেটা না বুঝে উল্টো রেগে গেলেন – এমন তো আকসার হচ্ছে৷ স্ন্যাপচ্যাটে সেই আশঙ্কা একদম নেই৷ পছন্দসই অভিব্যক্তির ছবিটাই এখানে মুখ্য বলে প্রাপক বা প্রাপিকা বার্তার মর্ম বিনা কষ্টে বুঝতে পারেন৷
অনেক স্মার্টফোনেই আছে স্ন্যাপচ্যাট ‘অ্যাপ'৷ ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে নিজের ছবি তুলুন, ঝটপট সেই ছবিসমেত যা লেখার লিখে পোস্ট করে দিন প্রাপকের ফেসবুক ওয়ালে৷ সেই ছবি যে বাজিমাত করবে তাতে আর সন্দেহ কী৷ বন্ধুকে ভেংচি কাটার জন্য কোনো মেয়ে যদি ঠোঁটের ওপর নকল গোঁফ লাগিয়ে একটা ছবি তুলে সেটা পাঠাতে পারেন, যিনি পাবেন তিনি হয়তো খুশি হয়ে উপযুক্ত জবাব দিতেও দেরি করবেন না৷
স্ন্যাপচ্যাটের আরেকটা সুবিধা হলো, যার ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করবেন সেখানে কিন্তু ১০ সেকেন্ডের বেশি ছবিটি কোনোভাবেই থাকবে না৷ স্বয়ংক্রিয়ভাবেই অদৃশ্য হয়ে যাবে৷ সুতরাং অনাকাঙ্খিত হয়রানি বা বিড়ম্বনা এড়ানোর ব্যবস্থা আছে এখানে৷ এত ভালো বলেই স্ন্যাপচ্যাট নাকি দিনদিন জনপ্রিয় হচ্ছে৷ ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের আরেক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের এই উদ্ভাবনের সুবিধা নিয়ে নাকি প্রতিদিন সারাবিশ্বে ৪০ কোটি ছবির আদান-প্রদান হয়৷ এভাবে বন্ধুর সঙ্গে ভাব বিনিময়ে নাকি মেয়েদের উৎসাহই বেশি৷
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।