আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ওয়াহাবীদের গ্রান্ড মুফতি কে নিয়ে কি যে হবে এই খোদা : ফতোয়ার কোন রাত দিন নয় ,সময় সুযোগ নাই,আল্রাই বেশি জানেন ,



ওয়াহাবীদের গ্রান্ড মুফতি কে? (পর্ব ৩) ১ম ও ২য় পর্বে আমরা সৌদি আরবের গ্রান্ড মুফতি কর্তৃক প্রদত্ত কিছু হাস্যকর ফতওয়ার তালিকা উল্লেখ করেছিলাম, এ পর্বে আমরা ঐ ফতওয়াগুলোর কয়েকটির বিবরণ তুলে ধরবো। কি অবস্থা ওয়াহাবীদের গ্রান্ড মুফতি দের কে.নিয়ে? আল্লাই জানেন. * মহানবী (স.) এর ব্যক্তিত্ব রক্ষায় মিছিল করা হারাম! মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি এর অবমাননার পর সারা বিশ্বে যখন সমালোচনা ও তীব্র নিন্দার ঝড় উঠেছে তখন আলুশ শেইখ এক বিবৃতিতে ঘোষণা করেছিলেন : ‘ক্রোধ ও বিক্ষোভ ছাড়াই এ বিষয়টির সমাধান করা উচিত’। সৌদি এ মুফতি আরো বলেন, মহানবী (স.) এর অবমাননায় নির্মিত চলচ্চিত্র প্রকাশে তাঁর এবং ইসলাম ধর্মের কোন ক্ষতি হয় না। অথচ মুসলমানদের বিক্ষোভে কিছু কিছু মুসলিম দেশে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশের দূতাবাসগুলোর ক্ষতিসাধন হয়েছে। তিনি আরো বলেন : নিরাপরাধ মানুষের উপর হামলা চালানো এবং তাদের সম্পদে অগ্নিসংযোগ করা ও বিনষ্ট করা উচিত নয়।

* যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়া হারাম! যুক্তরাষ্ট্র বিরোধী মন্তব্যের প্রতিবাদে ‘শেইখ আব্দুল আযিয বিন আব্দুল্লাহ আলুশ শেইখ’ সৌদি আরবের স্যান্ডি ঝড়ের পর বলেছিলেন : প্রাকৃতিক এ দূর্যোগ হতে মুসলমানদের শিক্ষা নেয়া উচিত যে, সকলের বিরুদ্ধে দোয়া করা উচিত নয়, কেননা তাদের মাঝে মুসলমানরাও রয়েছে এবং এ দোয়া মুসলমানদের স্বার্থসিদ্ধ নয়। * ফিলিস্তিন ও গাজার জনগণের সমর্থনে মিছিল করা নিষিদ্ধ! শেইখ আব্দুল আযিয তার অপর এক উদ্ভট ফতওয়াতে, ফিলিস্তিন ও গাজার অবরুদ্ধ মুসলমানদের সমর্থন ও তাদের সাথে একাত্মতা ঘোষণায় মিছিলের পদক্ষেপকে একটি বিতর্কিত পদক্ষেপ এবং বৃথা ও গোলযোগ সৃষ্টিকারী বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। * নারী কর্তৃক নারীদের অন্তর্বাস বিক্রয় করা হারাম! সৌদি আরবের কর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে আলুশ শেইখ নারীদের বিশেষ পোশাক বিক্রয় কেন্দ্রগুলোতে নারীদের কাজ করার বিষয়ে অভিযোগ তোলেন। তিনি তার আশ্চার্যজনক এ ফতওয়ার কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে বলেন : নারীরা হচ্ছে আমাদের নিকট আমানত স্বরূপ, আর এ কারণেই তাদের জন্য নির্ধারিত কর্ম ছাড়া অন্য কোন কাজে তাদেরকে ব্যবহার করা যাবে না। * সকল ইসলামি নিদর্শন ভেঙ্গে ফেল এবং প্রাচীন নিদর্শনগুলো রক্ষা কর! আলুশ শেইখ চলতি বছরের শুরুর দিকে ঘোষণা করেছিলেন : যে সকল বস্তু! হারামাইন শারিফাইনের চতুর্পাশে রয়েছে সেগুলোকে ভেঙ্গে ফেলাতে কোন সমস্যা তো নেই-ই বরং হারামাইনের সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এ কাজ করা আবশ্যক।

তিনি বলেন : মসজিদুল হারামের আশেপাশের প্রাচীন (ইসলামী) নিদর্শন ভেঙ্গে দেয়া অন্যতম সত কাজ, সরকার যা করার উদ্যোগ নিয়েছে এবং এটি আবশ্যক কর্মসমূহের অন্যতম। অথচ সৌদি আরবের অন্যতম প্রখ্যাত মুফতি ‘আব্দুল্লাহ বিন সুলাইমান আল-মুনী’ মদিনা মুনাওয়ারার উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে অবস্থিত ‘মাদায়েন-এ সালেহ’ এলাকায় অবস্থিত একটি প্রাচীন নিদর্শন পরিদর্শনের সময় প্রাচীন নিদর্শনসমূহকে বিগত সভ্যতাসমূহের নিদর্শন এবং বর্তমান যুগের জনগণের জন্য শিক্ষা হিসেবে আখ্যায়িত করে এ নিদর্শন হতে শিক্ষা গ্রহণের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। কিন্তু আলুশ শেইখ কখনই এ ফতওয়ার বিরোধীতা করেননি বা এর নিন্দা জানাননি। * শিয়াদের উপর হামলা! তিনি মার্চ মাসে রিয়াদে অবস্থিত তুরকী বিন আব্দুল্লাহ্ মসজিদে প্রদত্ত জুমআর খোতবায় শিয়াদের বিরুদ্ধে মোকাবিলার জন্য সকল মুসলিম উম্মাহ’র প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন : এ মাযহাব, মুসলমানদের আকিদাকে তাদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে! আব্দুল আযিয আলুশ শেইখের প্রতি আয়াতুল্লাহ মাকারেম শিরাজী’র খোলা চিঠি গত বছর এপ্রিল মাসে আলুশ শেইখ কর্তৃক শিয়াদের ওপর বিভিন্ন ভাবে আক্রমণের পর আয়াতুল্লাহ মাকারেম শিরাজী, আলুশ শেইখের বরাবর একটি খোলা চিঠিতে লিখেছিলেন : শিয়াদের বিরুদ্ধে আরোপিত মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অন্যায় অপবাদ এবং শিয়াদেরকে কাফের আখ্যায়িত করে আপনি মূলতঃ ইসলামের শত্রুদের –বিশেষতঃ আমেরিকা ও ইসরাইলের- সেবা করেছেন। আয়াতুল্লাহ মাকারেম শিরাজীর ঐ চিঠিতে উল্লেখিত হয়েছিল : আপনি সম্প্রতি এক বক্তব্যে অত্যন্ত অবমাননাকর ও অশ্লীল ভাষায় –যা জ্ঞানী ব্যক্তির জন্য শোভনীয় নয়- বিশ্বের শিয়াদেরকে ‘সাফাভিয়া মাজুস’ ও মুসলমানদের শত্রু হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন এবং মুসলমানদেরকে শিয়াদের বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন।

ওয়াহাবী আলেমদের পক্ষ হতে অযৌক্তিক ও অন্যায় অপবাদ আরোপের ঘটনা আমরা এই প্রথম শুনছি না, যার মাধ্যমে বিভেদ ও বিচ্ছেদের বীজ বপন করা হচ্ছে এবং শত্রুরা হচ্ছে আনন্দিত। ইমাম মাহদী (আ.) এর ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য আপনি করেছেন, পাশাপাশি শিয়াদের ইমাম যামানা (আ.) এর উপর বিশ্বাস রাখাকে আপনি অপছন্দনীয় কর্ম বলে আখ্যায়িত করেছেন, যা নতুন কিছু নয়। আর এ সকল বিষয় হতে স্পষ্ট হয় যে, ওয়াহাবী মুফতিরা যুক্তিযুক্ত আলোচনা হতে পলায়ন করে সর্বদা অবমাননার পথ বেছে নেয়। তিনি ঐ চিঠিতে আরো লিখেছেন : এ পর্যায়ে কয়েকটি বিষয় আপনার উদ্দেশ্যে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই : (১) আপনার মত এমন গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তিত্ব থেকে এ ধরনের মন্তব্য সত্যিই আশ্চর্যের। কেন পবিত্র কুরআনের শিক্ষাকে ভুলে গেছেন? যে কুরআন মহান আল্লাহর পথের দিকে নম্রতার সাথে এবং উত্তম উপদেশের মাধ্যমে আহবানের শিক্ষা দেয়।

এর পরিবর্তে আপনারা অবমাননা ও মিথ্যা অপবাদ আরোপের পথ বেছে নিয়েছেন, ইসলাম ধর্মে যে কর্ম মোটেও পছন্দনীয় নয়। (২) দুঃখজনকভাবে আপনারা আপনাদের লেখা ইসলামি ইতিহাস ও হাদীস গ্রন্থ সম্পর্কে যথেষ্ট তথ্য রাখেন না, কেননা আলীর ভক্ত ও অনুসারীদের জন্য ‘শিয়া’ নামটি স্বয়ং মহানবী (স.)ই রেখেছিলেন। আর ঐ যুগ থেকে এ বিষয়টি প্রচলিত ছিল, ইতিহাসের প্রতি দৃষ্টি দেয়াটা আপনার জন্য মন্দ হবে না। সাফাভি শাসনামলের শত শত বছর পূর্বে আলী (আ.) এর শিয়ারা মক্কা, মদিনা, ইরাক, সিরিয়া, মিশর ও ইরানসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাস কর তো। এমনকি অনেক অঞ্চলে তারা শাসনকার্যও পরিচালনা করেছে।

(৩) আপনি ওয়াহাবীদের গ্রান্ড মুফতি কিন্তু ভুলে গেছেন যে, যদি ইরান ও লেবাননের শিয়ারা না থাকতো তবে ইসরাইল ও আমেরিকা মধ্যপ্রাচ্যের সকল অঞ্চলের উপর কর্তৃক লাভ করতো এবং এটা আমার জানা নেই যে, সে সময় আপনাদের মুফতিরা কি করতেন এবং কোথায় থাকতেন? (৪) যখন ইসরাইল গাজায় অবরুদ্ধ মুসলমানদের –যাদের অধিকাংশই হচ্ছে সুন্নি মাযহাবের অনুসারী- উপর হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছিল ইরান ও অন্যান্য অঞ্চলের শিয়ারা অন্যদের চাইতে অধিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। যদি এ সহযোগিতা না থাকতো তবে ইসরাইল তার অপরাধকর্ম অব্যাহত রাখতো। (৫) ওয়াহাবী আলেমদের উচিত হবে, ইসলামি জ্ঞানসমূহের জন্ম ইতিহাস সম্পর্কে অধ্যয়ন করা, যাতে তারা বুঝতে পারে যে, এ সকল জ্ঞানের অধিকাংশেরই জনক হচ্ছে আহলে বাইত (আ.) এর শিয়ারা। আর তাদের ইলমি নিদর্শন ঐ যুগ হতে একমাত্র আপনাদের গ্রন্থাগার ব্যতীত বিশ্বের বিভিন্ন খ্যাতনামা গ্রন্থাগারে মজুত রয়েছে! (৬) এ সত্য বিষয়টি ভুলে যাবেন না যে, শিয়াদের বিরুদ্ধে আরোপিত মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অন্যায় অপবাদ এবং শিয়াদেরকে কাফের আখ্যায়িত করে আপনি মূলতঃ ইসলামের শত্রুদের –বিশেষতঃ আমেরিকা ও ইসরাইলের- সেবা করেছেন। কেননা এর প্রতিক্রিয়ায় শিয়াদের মনে ওয়াহাবী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ঘৃণা জমাট বাঁধছে, আর এ ফলাফল ইসলামের শত্রুদের কাঙ্খিত।

তারা চায় মুসলিম সম্প্রদায়সমূহের মাঝে দ্বন্দ ও বিবাদ সৃষ্টি হোক এবং যাতে তারা অনায়াসে মধ্যপ্রাচ্যের অঢেল সম্পদকে লুট করে নিয়ে যেতে পারে। (৭) এ বিষয়টি ভুলে গেলে চলবে না যে, কিছু কিছু ওয়াহাবী আলেম কর্তৃক বহুবার শিয়াদেরকে কাফের আখ্যায়িত করে ফতওয়া দেয়া হলেও মরিচা ধরা এ ফন্দি মুসলমানদের মনকে দূর্বল করার ক্ষেত্রে সামান্যতম প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়নি বরং দিনের পর দিন মুসলিম বিশ্বে সাংস্কৃতিক উন্নয়ন সাধন হচ্ছে। ঐ চিঠির শেষাংশে লেখা হয়েছিল : বহুবার বলেছি যে, যদি আপনাদের ও আমাদের উপস্থিতিতে একটি সভার আয়োজন করা যেত তবে আমরা আপনাদের ভুলসমূহকে আপনাদের গ্রন্থ হতে প্রমাণ করতাম যাতে এর চেয়ে বেশী ইসলামি ঐক্যের ওপর আঘাত না হানেন। কারণ এ আঘাত ইসলামের শত্রুদের আনন্দের কারণ হয়। আসুন, অপবাদ আরোপ, অবমাননা এবং কাফের আখ্যায়িত করার মত বুড়িয়ে যাওয়া পন্থাকে ত্যাগ করে পরস্পরের প্রতি বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেই এবং ইসলাম ও মুসলমানদের উন্নয়নের চিন্তা করি।

* ইসলামি জাগরণ ও স্বৈরাশাসকদেরকে বিতাড়িত করা হারাম! স্বৈরাচারী সরকারসমূহের বিরুদ্ধে তৈরী হওয়া বিভিন্ন মুভমেন্টের সমালোচনা করে সৌদি আরবের গ্রান্ড মুফতি এ ঘটনাকে ‘ফেতনা’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তার-ই এ মন্তব্য মুসলিম বিশ্বে বিভেদের কারণ হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের ইসলামি জাগরণের কর্ণধর মুভমেন্টসমূহকে লোক দেখানো বলে আখ্যায়িত করে আলুশ শেইখ বলেছিলেন : গণআন্দোলনসমুহ সমাজের ঐক্যে ফাটল ধরাতে পারে... যে ঘটনা মুসলিম বিশ্বে ঘটছে তা হচ্ছে এমন ফেতনা ও দাঙ্গা যার কারণে মুসলিম বিশ্বের মাঝে ফাটল ধরিছে। আলুশ শেইখ ইতিপূর্বে রাজধানী রিয়াদের ‘তুরকী বিন আব্দুল্লাহ’ জামে মসজিদে প্রদত্ত খোতবাতে বলেছিলেন : যা কিছু বর্তমানে আরব দেশসমূহে পরিলক্ষিত হচ্ছে তা গোলযোগ ও রক্তপাত ব্যতীত আর কিছুই নয় এবং এর ফলাফল হচ্ছে পথভ্রষ্টতা ও ফেতনা... আর এ গোলযোগ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং রাজনৈতিক সংশোধনের জন্য নয় বরং মুসলিম উম্মাহ’র ঐক্য বিনষ্ট ও এর মাঝে বিভেদ সৃষ্টির লক্ষ্যে করা হচ্ছে। * নগদ অর্থ ফেতরা দান করা হারাম! ফতওয়া প্রদান বিষয়ক স্থায়ী কমিটির প্রধান আলুশ শেইখ ফতওয়া দিয়েছিলেন, ফেতরা হিসেবে নগদ অর্থ প্রদান করা জায়েয নয়; কেননা মহানবী মুহাম্মাদ মুস্তাফা (স.) হতে বর্ণিত রেওয়ায়েতসমূহ হতে স্পষ্ট হয় যে, তিনি আমাদেরকে খাদ্য -যেমন : চাল ও কিসমিস ইত্যাদি- হতে ফেতরা প্রদান করার নির্দেশ দিয়েছেন।

অতএব, আমরা দেখতে পাই যে, মহানবী (স.) এর যুগে কখনই ফেতরা হিসেবে নগদ অর্থ প্রদান করা হত না। আর এ কারণেই বলা যেতে পারে যে, ফেতরার ক্ষেত্রে নগদ অর্থ প্রদান করা আল্লাহর রাসূল (স.) এর সুন্নত বিরোধী এবং বিদআত হিসেবে পরিগণিত। প্রত্যেকটি মুসলমানের উচিত আল্লাহর শরিয়তের আনুগত্য করা এবং এর বিরোধী কাজ করা বিদআত হিসেবে পরিগণিত। আলুশ শেইখ আরো বলেন : ভুলে গেলে চলবে না যে, ঠিক ঈদের নামাযের পূর্বে যদি ফেতরা প্রদান করা হয় সেটাই উত্তম। কিন্তু যদি কেউ এক বা দু’দিন আগেও দেয় তবে তাতে কোন সমস্যা নেই।

কিন্তু যদি ঈদের নামাযের পরে প্রদান করা হয় তবে তা ফেতরা হিসেবে গণ্য হয় না বরং ‘সদকা’য় রূপান্তরিত হয়। অতএব, নির্ধারিত সময়ে ফেতরা দিতে হবে। * গোল করার পর ফুটবলিস্টদের করা সিজদা মাকরুহ! কিছুদিন পূর্বে আল-মাজদ টিভি চ্যানেলের একটি অনুষ্ঠানে আলুশ শেইখের কাছে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় যে, খেলার মাঠে খেলোয়াড়দের সিজদা করার হুকুম কি? আলুশ শেইখ বলেছিলেন : যদি সিজদা সাধারণ মুসলমানদের জন্য কল্যাণকর হয় তবে তা জায়েজ। কেননা আল্লাহর রাসূল (স.) কে যখন ইসলামের বিজয়ের বিষয়ে কোন সুসংবাদ দেওয়া হত তখন তিনি আল্লাহর জন্য সিজদা করতেন। কেননা তা ছিল সকল মুসলমানদের জন্য কল্যাণকর...।

এরপর আলুশ শেইখ নিম্নোক্ত যুক্তি উল্লেখ করে খেলোয়াড়দেরকে সিজদা করার বিষয়ে নিষেধ করেন : (১) খেলোয়াড়রা শরীর দেখা যায় এমন পোশাক পরে থাকে এবং আল্লাহ্ এমন কাজ করতে নিষেধ করেছেন। (২) কখনও মুসলমানদের প্রতিপক্ষ হচ্ছে তাদের ধর্মীয় ভাইয়েরা (মুসলমানরা), অর্থাত এখানে ব্যক্তিগত বা সাধারণ মুসলমানদের জন্য কোন কল্যাণ নিহিত নেই। সর্বশেষে আলুশ শেইখের ফতওয়া ছিল এরূপ : ‘খেলার মাঠে খেলোয়াড়দের সিজদা করা হচ্ছে মাকরুহ”! সূত্রসমূহ (আরবি, ফার্সি, ইংরেজী) 1. Click This Link 2. Click This Link 3. http://mufti.af.org.sa/ 4. http://ar.islamway.net/scholar/274 5. http://www.vahabiat.porsemani.ir 6. http://fa.alalam.ir/news/373404 7. http://www.khanehkheshti.com// 8. Click This Link 9. http://www.sibtayn.com/ 10. http://islam-press.net//

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।