https://www.facebook.com/aa.sharker
অন্যায় ভাবে নয়, তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে
আমাদের চলার পথ দেখাবার তাড়নায়
ওরা সঙ্ঘবদ্ধ হয়, হাতে হাতে পোষ্টার ব্যানার
নিয়ে আমাদের ঘরে ঘরে আসে, আমাদের দ্যাখায়
তাদের ম্যানুফেস্ট্যু, ওদের সত্যবদ্ধ স্মারক
আমাদের ঘরে তালা দিতে বলে, ওরাই আমাদের
ঘরে খাবার দিয়ে যাবে, আর আমাদের শৌচাগারে
ওরা রেখে যাবে বদনা ভর্তি পানির লাগাতার জোগাড়।
তবুও আমরা, হ্যাঁ আমরা বেরিয়ে পড়ি
আমাদের সদর দরোজার তালা ভেঙ্গে
সবুজের স্রোতে মিশে যেতে নূতনের ধারক হতে
আমরা বেরিয়ে পড়ি, আমাদের থামানো যায় না
আমাদের দমানো যায় না, আমরা অনাহারের
কাঙালপণা ঘোচাতে নয়, স্বপ্নের কেনাবেঁচা করতে
আমরা বেরিয়ে পড়ি, ঋতুর সাথে তাল মিলিয়ে
আমাদের পোষাকের ঝুল পার্ট দেখাতে আমরা
বেরিয়ে পরি, আমরা চলতে থাকি, চলতে থাকি
গৃহজিবী হতে নয়, আমরা চলতে থাকি অসীমের
বুকের হাত রাখতে, আমাদের চলার পথে
আমাদের বাঁধা আসে। আমাদের দেহকে প্রতারিত
করে আমাদের আত্নারা মুক্তি পায়। দ্যাখে, দেখায়
আমাদের স্বপ্নের পটভূমি কতদূর এগোলো...
ওদের কোন দোষ নেই, ওরা নিয়তির অধিকর্তা
ওরা তমসার আদিম বীজ, ওরা তাই আলো হাতে চলে
আমাদের পথ দেখাতে আমাদের পথ করে দিতে
আমাদের মহাকালের ধারণা দিতে ওরা এগোয়।
ওদের মশাল, ওদের বারুদ, ওদের টিয়ারশেল ওদের
ট্রাইপড নামক যন্ত্রের হূলে ফোঁটায় আমাদের
নিয়তি ঘরে, আমাদের মেনে নিতে হয় সব ঈশ্বরের
লীলাখেলা ভেবে, সব ওনার হাতে আর সবই ওনার
ইশারায় চলে। আমরা কেবল খেলার পুতুল।
তাই যা কিছু ঘটে যা কিছু হয়, সব আদিম দেবতার নামে
আমাদের প্রিয়হাতের মেহেদীপাতার ঘ্রাণ মুছে গ্যালে
ওদের সমাজের গোড়াপত্তন ঘটে, বিচারিক ক্ষমতা পায়
সামান্য ইশারায় করে ফেলতে পারে পকেট বোঝাই।
আমাদের শবের শিৎকারে, আমাদের পাঁজরের হাড়ে
ওদের সিংহাসনের ভিত মজবুত হয় আর ওদের প্রশাসনিক
দক্ষতা বাড়ে, আবার এও বলা যায় আমাদের শব
ওদের সবথেকে বড়পুঁজী, আমাদের কংকালে ওদের বাস।
বলুন, ঈশ্বরের হাতের খেলার পুতুল হওয়ার চেয়ে
মূল্যবান কিছু আছে কী? আমরা তাই তাদের অধীন
হয়ে যাই, আমাদের পুড়ে যাওয়া শরীরে, ঘমার্ক্ত শবে।
কমেন্টকৃত এখানে!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।