বেশ কিছুদিন ধরেই হৃতিক রোশন ও সুজান রোশনের দাম্পত্যের টানাপোড়েনের নানা গুঞ্জনের হাওয়া বইছে। সম্প্রতি সেই গুঞ্জনের হাওয়ার আগুনে যেন ঘি ঢেলে উসকে দিলেন হৃতিক নিজেই। স্ত্রীকে ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে ছুটি কাটাতে যাওয়ায় ফের হৃতিক-সুজান সম্পর্কে চিড় ধরার খবর রটেছে বলিউডে।
‘ব্যাং ব্যাং’ ছবির শুটিংয়ে মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন হৃতিক। এ জন্য ছবিটির শুটিং স্থগিত করা হয়েছিল।
গত নভেম্বর মাসের শেষের দিকে ছবিটির শুটিং শুরু হওয়ার কথা থাকলেও চিকিত্সার জন্য হৃতিক যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ায় আবারও ছবিটির কাজ পিছিয়ে দেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে চিকিত্সা নেওয়ার পাশাপাশি ছুটি কাটানোর পর্বটাও সারছেন তিনি। কিন্তু এমন মুহূর্তে তাঁর পাশে নেই সুজান।
ঘটনার এখানেই শেষ নয়। ১১ ডিসেম্বর নিজের বুটিক হাউস উদ্বোধন করছেন সুজান।
আর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৬ ডিসেম্বর দেশে ফিরবেন হৃতিক। কাজেই স্ত্রীর বুটিক হাউসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির থাকতে পারছেন না হৃতিক। তিনি যাতে উদ্বোধনের দিনটিতে হাজির থাকতে পারেন তা নিশ্চিত করতে উদ্বোধনের দিন পিছিয়ে দিতে সুজানকে অনুরোধ করেছেন তাঁর বন্ধুরা। কিন্তু বন্ধুদের কথা কানেই তুলছেন না সুজান রোশন।
সেপ্টেম্বর মাসের শুরুর দিকে হৃতিকের বাবা রাকেশ রোশনের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে সুজান তাঁর বাবা-মা ও ভাইয়ের সঙ্গে অতিথি হিসেবে হাজির হন।
শুধু তা-ই নয়, বেশ দেরিতে অনুষ্ঠানে যোগ দিলেও মাত্র আধঘণ্টা পরেই সেখান থেকে চলে যান সুজান। তাঁর এমন সংক্ষিপ্ত উপস্থিতি ও হঠাত্ চলে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে নানা কানাঘুষা ওঠে।
হৃতিক-সুজানের সম্পর্কে টানাপোড়েনের কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া না গেলেও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়, সম্ভবত ১৩ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানতে যাচ্ছেন হৃতিক-সুজান। বেশ কিছুদিন আগেই স্বামীর বাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়ি গিয়ে উঠেছেন সুজান। হৃতিক-সুজান দম্পতির দুই ছেলে রিহান ও রিদান হৃতিকের সঙ্গে দাদুবাড়িতে থাকছে।
মায়ের সঙ্গে দেখা করতে তারা মাঝেমধ্যে নানাবাড়িতে গেলেও, সুজান একদমই শ্বশুরবাড়িতে যান না ছেলেদের দেখার জন্য।
২০০০ সালের জানুয়ারিতে ‘কহো না পেয়ার হ্যায়’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে পা রেখেছিলেন হৃতিক। একই বছরের ২০ ডিসেম্বর বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা ও নির্মাতা সঞ্জয় খানের মেয়ে সুজানের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন তিনি। কয়েক বছর চুটিয়ে প্রেম করার পরই বিয়ে করেছিলেন হৃতিক-সুজান। ২০০৬ সালে তাঁদের ঘরে আসে প্রথম ছেলে রিহান।
দুই বছর পর তাঁদের দ্বিতীয় ছেলে রিদানের জন্ম হয়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।