ধারাবহিক রাজনৈতিক অস্থিরতা থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় ব্যাক্তি মালিকানা সম্পদের সীমাবদ্ধ আইন এবং গরীব শিক্ষিত মানুষের সমম্বয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য সরকার গঠন। ব্যাক্তি মালিকানা সম্পদের সীমাবদ্ধ আইন মানে সমাজত›ত্র, নাস্তিকতা নয়। নাস্তিক না হয়ে ধর্ম পালন করেও ব্যাক্তি মালিকানা সম্পদের সীমাবদ্ধ আইন করা যায়। সম্পদ আর ক্ষমতার মোহ আমাদেরকে এমন অমানুষে পরিণত করেছে যে,বেশীরভাগ মানুষের দু:খ কষ্ট নির্মমতায় গুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। আমরা যারা স্বাধীনতা পরবর্তী প্রজন্ম আমরা দেখছি জানছি যে রাজনৈতিক অস্থিরতায় বেশী লাভবান হচ্ছেন যারা রাজনীতি করেন এবং রাজনীতির দোয়া ও সমর্থন নিয়ে ব্যবসা ও বড় চাকুরী করছেন।
বেশীরভাগ মানুষ বরাবরই বঞ্চিত হচ্ছেন। রাজনৈতিক ময়দানে, টকশোতে দরদী কথার ফুলঝুরীতে আসল কথা কেউ বলছেনা যে, ব্যাক্তি মালিকানা সম্পদের সীমাবদ্ধ আইনই একমাত্র উপায় যার মাধ্যমে লোভাতুর রাজনীতির পরিবর্তে বেশীরভাগ মানুষের কল্যানের রাজনীতি প্রচলন শুরু হতে পারে। এত অশান্তি,এত মৃত্যু তা শুধু মুষ্টিমেয় ধনী বড়লোকের সম্পদ আর ক্ষমতার মোহের কারণে। অবশ্যই আইন হতে হবে যে আপনারা যতখুশী রাজনীতি করুন,কিন্তু একটা নির্দিষ্ট পরিমানের বেশী সম্পদের মালিক হতে পারবেননা,আপনারা যত খুশী ঘুষ দুর্নীতি করুন কিন্তু— একটা নির্দিষ্ট পরিমানের বেশী সম্পদের মালিক হতে পারবেননা,এবং যেকোন বৈদেশিক চুক্তি স্বাক্ষরের আগে অবশ্যই জনমত যাচাই করতে হবে এবং কোনভাবেই দেশবিরোধী চুক্তি করা যাবেনা। ভোটের নাম করে জনগনের নাম ভাংগিয়ে সীমাহীন সম্পদের মালিক হবেন আর বেশীরভাগ মানুষ বরাবরই বঞ্চিত হবে তা হতে পারেনা।
মানুষকে কতদিন ধোকাবাজীর মধ্যে রাখবেন। দিনের আলোর মত সকল মানুষের কাছে আপনাদের লোভাতুর রাজনীতির রূপ স্পষ্ঠ হচ্ছে। আর কত ধন সম্পদের মালিক হলে আপনারা এই হানাহানি বন্ধ করবেন । ৪২ বছরেও আপনারা বস্তি ফুটপাত আর গ্রামের জীর্ণ শীর্ণ ঘরে বসবাসকারী মানুষের স্বাস্থ্যকর ঘর ,স্বাস্থ্যসম্মত লেট্রিন,সুপেয় পানি,স্বল্প মুল্যে সুচিকিৎসা,বিনা মুল্যে উচ্চ শিক্ষা কিছুই দিতে পারেন নাই। আপনারা দিয়েছেন কষ্টকর নিষ্ঠুর অনিশ্চয়তার জীবন।
প্রচন্ড অভাবের মানসিক যন্ত্রনা আর লুটপাট করে,কালোকে সাদা করে মেয়ের হাত খরচ মাসে দশ লক্ষ দিয়ে বিলাসী জীবনের কোন তফাৎ আপনাদের কাছে নেই। আরো ও কত টাকা কড়ি ধন সম্পদ চাই আপনাদের ! শুধু নিজেদের টাকা কড়ি ধন সম্পদ বৃদ্ধির রাজনীতি তা সকল মনুষের রাজনীতি নয়,অবশ্যই তা দেশের শতকরা ২০ ভাগ মানুষ নামের অমানুষের রাজনীতি। ধোকাবাজির রাজনীতি অব্যাহত রাখতে চাইলে আপনাদের বলতেই হবে গরীবের ভালো করার ক্ষমতা আমাদের নেই। আমরা শুধু গরীবকে শোষন আর নির্যাতন করতে পারি। গরীবের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ধনী বড়লোকের ধন সম্পদ রক্ষা ও বৃদ্ধিতে আইন পাশ করি,দেশ বিরোধী চুক্তি করি।
অন্যথায় সাদাকে সাদা বলুন যা সত্য । সুবিধামত কাটাছেড়া করে সংবিধানকে যেভাবে শুধু নিজেদের করেছেন তা আর করবেননা। বেশীরভাগ মানুষের জন্য অর্ন্তভুক্ত করুন যে বস্তি ফুটপাত আর গ্রামের জীর্ণশীর্ন ঘরে বসবাসকারী সকল মানুষের পাকাঘর স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ও প্রত্যেক পরিবারকে মাসে দশ হাজর টাকা ভাতা এবং নিরাপত্তা প্রদান হবে রাষ্ট্রের প্রধান কর্তব্য এবং ধারাবহিক রাজনৈতিক অস্থিরতা থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় ব্যাক্তি মালিকানা সম্পদের সীমাবদ্ধ আইন এবং গরীব শিক্ষিত মানুষের সমম্বয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য সরকার গঠন করতে হবে। টকশোওলাদের টকশোর বিষয়বস্ত করতে হবে ধর্মীয় অনুভুতিতে সহনশীল হয়ে সম্পদের মালিকনা সীমাবদ্ধ আইন করে গরীব শিক্ষিত মানুষের সমম্বয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য সরকার গঠন করে কিভাবে দেশের সকল মানুষের সুখী সমৃদ্ধ জীবন বাস্তবায়ন করা যায়। (চলবে)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।