ইকোনোমিস্ট
১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারী, শেখ সাহেব যদিন ফিরলেন, উনার সবচেয়ে নিকটবর্তী মানুষ ছিলেন: ২২ হাজার শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার, জীবিত ও আহত ১ লাখ ২০ হাজার মুক্টিযোদ্ধা, ৩০ লাখ শহীদদের পরিবার ও দেশের ৭০% দরিদ্র মানুষ যাঁরা উনাকে ভোট দিয়েছিলেন, উনার মিটিং এ গিয়েছিলেন রেসকোর্সে, লালদীঘিতে, পলো-গ্রাউন্ডে, উনার অনুপস্হিতে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করলেন; উনি নিজের মানুষদের চিনেনি কোনদিন; একে খান, এম আর সিদ্দীকিরা উনার ঘনিস্ট হওয়ার কথা ছিল না; এসব মানুষ মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার কথা ভাবেনি। আজ শেখ সাহেবের সে ঘনিস্টরা বাংলাদেশে দরিদ্রই রয়ে গেছেন। শেখ সাহেবকে এঁরাই রক্ষা করার কথা ছিল, শেখ সাহেব এঁদের থেকে দুরে চলে গিয়েছিলেন, যখন শেখ সাহেব বিপদের পড়লেন, এঁদের হাতে কোন ক্ষমতা ছিল না: শেখ সাহেবকে রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। ১৯৭৫ সালে যারা শেখ সাহেবের চারিপাশে ছিল, তাদের কাছে শেখ সাহেবের কোন মুল্য ছিল না।
ম্যানডেলা কালো দরিদ্র আফ্রিকানদের 'ভার্চুয়াল অধিকার' দিয়ে গেছেন: সে দেশের মাথাপিছু আয় ১১ হাজার ডলার হলেও ৩২% মানুষ দরিদ্র সীমার নীছে রয়ে গেছেন; এ দরিদ্ররাই রাস্তায় বছরের পর বছর দাঁড়িয়ে ম্যানডেলার মুক্তি চেয়েছিলেন: কিন্তু ম্যানডেলা অপেক্ষাকৃত ভালো পজিশনের কালোদের জন্য অনেককিছু করেছেন, যা দরিদ্র কালোদের ঘরে পৌছেনি: আজ যে কোন কালো মানুষ সাউথ আফ্রিকার সবচেয়ে দামী ইউনিভার্সিটিতে সাদাদের সাথে পরার অধিকার পেয়েছে; কিন্তু টাকার অভাবে এরা যে সেই ইউনিভার্সিটিতে কোনদিনও যেটে পারবে না, তা টিনি ভাবেননি, সেটার কোন সমাধান দিয়ে যাননি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।