এক. জন্মের পর কালো শিশুটির নাম রাখা হয় রোলিহ্লাহ্লা ডালিবুঙ্গা। আঞ্চলিক ভাষায় রোলিহ্লাহ্লা অর্থ 'গাছের ডাল টানা'। আর কথ্য ভাষায় এই নামের মানে 'সমস্যা সৃষ্টিকারী'। তার বর্তমান নাম নেলসন ম্যান্ডেলা রেখেছিলেন মিশনারি বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক।
দুই. টেম্বু গোষ্ঠীর নেতা তরুণ ম্যান্ডেলার বিয়ের আয়োজনের চেষ্টা করেছিলেন।
এতে ম্যান্ডেলা ইস্টার্ন কেপ ছেড়ে পালিয়ে জোহানেসবার্গে চলে যান। সেখানে তিনি একটি খনিতে নৈশপ্রহরীর চাকরি নেন।
তিন. ম্যান্ডেলা একসময় আলেঙ্ান্দ্রা শহরতলিতে থাকতেন। তবে পরে সোয়েটার অর্লান্ডোতে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ওয়াল্টার সিসুলু ও তার মায়ের সঙ্গে বাসায় ওঠেন।
চার. ম্যান্ডেলার প্রথম স্ত্রী ইভলিন মেজ ছিলেন একজন নার্স ও সিসুলুর আত্দীয়।
এই দম্পতির চারটি সন্তান হয়েছিল। তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয় ১৯৫৮ সালে।
পাঁচ. ম্যান্ডেলা ছিলেন আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের (এএনসি) সশস্ত্র শাখার প্রধান।
ছয়. সশস্ত্র সংগ্রামে সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে ম্যান্ডেলা ১৯৬২ সালে দেশ ছাড়েন। মরক্কো ও ইথিওপিয়ায় গেরিলা প্রশিক্ষণ নেন তিনি।
সাত. ঘটনাবহুল জীবনে ম্যান্ডেলা শত শত পুরস্কার ও সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে কানাডার সম্মানজনক নাগরিকত্ব, ব্রিটিশ লেবার পার্টি ও সে দেশের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাবের সম্মানজনক সদস্য। নোবেল শান্তি পুরস্কার যেমন রয়েছে, তেমনি একটি পারমাণবিক কণার নাম রাখা হয়েছে ম্যান্ডেলা পার্টিকল।
আট. বর্ণবাদী সরকার ম্যান্ডেলাকে ছয়বার মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু তিনি রাজি হননি।
নয়. ম্যান্ডেলা ১৯৭০-এর দশকে একটি স্মৃতিকথা লেখেন। সেটির পাণ্ডুলিপি পলিথিনে মুড়িয়ে কারাগারের বাগানে পুঁতে রাখা হয়। কর্তৃপক্ষ বাগানে একটি দেয়াল তুলতে গেলে ব্যাপারটি ধরা পড়ে যায়। শাস্তি হিসেবে ম্যান্ডেলার পড়াশোনার সব সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
দশ. দ্বিতীয় স্ত্রী উইনি মাদিকিজেলা-ম্যান্ডেলার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তিনি আমিনা কাশালিয়া নামের এক বান্ধবীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে প্রত্যাখ্যাত হন।
৮০তম জন্মদিনে ম্যান্ডেলা বিয়ে করেন গ্রাসা ম্যাশেলকে।
এগারো. বর্ণবাদী সরকার এএনসিকে একটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যও এএনসিকে সন্ত্রাসীর তকমা দেয়। এই তো সেদিন ২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র ম্যান্ডেলা ও তার সংগঠনকে সন্ত্রাসীর তালিকা থেকে বাদ দেয়।
বারো. ম্যান্ডেলার জন্মদিন ১৮ জুলাইকে নেলসন ম্যান্ডেলা ইন্টারন্যাশনাল ডে হিসেবে ঘোষণা করেছে জাতিসংঘ।
বিশ্ব সংস্থা এই প্রথমবারের মতো কোনো ব্যক্তির জন্য একটি দিন উৎসর্গ করে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।