সন্ধ্যা ৭টায় গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবনে এই বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান, সাবিহ উদ্দিন আহমে ও সহসভাপতি শমসের মবিন চৌধুরী উপস্থিত রয়েছেন।
তারানকোর সঙ্গে রয়েছেন ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক নেইল ওয়াকারসহ কয়েকজন কর্মকর্তা।
নির্বাচনকে ঘিরে রাজপথে সংঘাত-সহিংসতায় সৃষ্ট রাজনৈতিক সঙ্কটের অবসানে তারানকো‘র এই সফরকে মধ্যস্থতার ‘শেষ উদ্যোগ’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
শুক্রবার রাতে চারদিনের সফরে তারানকো ঢাকায় আসেন।
শনিবার সকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠক করে নিজের কর্মসূচি শুরু করেন তিনি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ফিরে হোটেল সোনারগাঁওয়ে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান মজীনার সঙ্গে বৈঠক করেন জাতিসংঘ মহাসচিবের এই দূত।
এরপর জাতিসংঘের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অস্কার ফার্নান্দেজ-তারানকো বসেন আওয়ামী লীগের সঙ্গে। দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওজর রিজভী, সাবেক রাষ্ট্রদূত শাহেদ রেজা, আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিষয়ক সম্পাদক ফারুক খান ছিলেন।
সাত মাস আগে জাতিসংঘ মহাসচিবের দূত হিসেবে এসে দুই দলকে সংলাপের বসার তাগিদ দিয়ে যান তারানকো।
তবে তারপর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা এবং বিরোধী দলের টানা অবরোধে দূরত্ব আরো বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে আবার এলেন তিনি।
গত মে মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলোচনা করে বান কি-মুনের দুটি চিঠিও তাদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব।
এরপরে পরিস্থিতির কোনো উন্নতি না হওয়ায় প্রধান দুই নেত্রীকে চিঠি লেখেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন, যাতে সঙ্কট সমাধানে সংলাপের আহ্বান জানানো হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।