বড়দিনকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রে চলছে উৎসবের মৌসুম। ক্রিসমাসের আগমনী বার্তা নিয়ে রঙিন সাজে সেজেছে নগর-জনপদ। রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি থেকে শুরু করে দেশিটির সবখানেই চোখে পড়ছে বাহারি আলোর ছটা। লোকজন মেতে উঠেছে উৎসবের আনন্দে।
বড়দিনকে কেন্দ্র করে হোয়াইট হাউসকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে।
৩৩টি অঙ্গরাজ্য থেকে যোগ দেওয়া স্বেচ্ছাসেবকেরা পাঁচ দিনের অক্লান্ত পরিশ্রমে সাজিয়েছেন প্রেসিডেন্ট প্রাসাদকে। এ আলোকসজ্জার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা। হোয়াইট হাউসের সাড়ে ১৮ ফুট দীর্ঘ ক্রিসমাস ট্রি সাজানো হয়েছে নানা রঙের বাতি দিয়ে। হোয়াইট হাউসের এমন ২৪টি ক্রিসমাস ট্রির আলোর ঝিলিক দেখা যাবে পাশের সড়কগুলো থেকেও।
এই উৎসবের মাসে ৭০ হাজারের মতো অতিথি হোয়াইট হাউস পরিদর্শন করবেন।
দফায় দফায় হবে পার্টি। তাই প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা মাসজুড়েই ব্যস্ত থাকবেন অতিথি আপ্যায়নে।
বড়দিন উপলক্ষে নিউইয়র্কের বিখ্যাত রকফেলার সেন্টারে এরই মধ্যে ক্রিসমাস ট্রি উন্মুক্ত করেছেন মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ। ৭৬ ফুট দীর্ঘ বৃক্ষটি ৪৫ হাজার নানা রঙের বাতি দিয়ে সাজানো হয়েছে। ১৯৩৩ সাল থেকে প্রতি বছর বড়দিনে নিউইয়র্কের রকফেলার সেন্টারে ক্রিসমাস ট্রি সাজানো হয়।
উৎসবের আনন্দে শামিল হতে প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্রে অসংখ্য পর্যটক বেড়াতে যান। যুক্তরাজ্য থেকে থেকে আসা টিনা হফম্যান জানান, পুরো ডিসেম্বর মাস যুক্তরাষ্ট্রে বেড়ানোর জন্য ছুটে এসেছেন আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে।
গত কয়েক বছরের মন্দা কাটিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে এখন সুবাতাস বইছে। কর্মহীন ও বেকার মানুষের সংখ্যা ক্রমশ কমে আসছে। মানুষের উৎসব আনন্দে অর্থনীতির এ সুবাতাস স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
বিপণিকেন্দ্রগুলোতে এখন কেনাকাটার ধুম। নতুন নতুন পণ্যের সমাহার নিয়ে বিপণিকেন্দ্রগুলো নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি সময় খোলা থাকছে। ক্রেতা আকর্ষণের জন্য চলছে মূল্য ছাড়ের প্রতিযোগিতা। পোশাক থেকে শুরু করে আসবাবপত্র—সবই আছে কেনাকাটার তালিকায়। ল্যাপটপ, ট্যাবলেট পিসি আর এক্সবক্স ওয়ানের মতো গ্যাজেটের খোঁজে দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভিড়।
সিয়র্স, মেসিস, জেসি পেনি থেকে ওয়াল মার্টের মতো নামীদামি ব্র্যান্ডের দোকানগুলোকে ক্রেতা সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
নানান সাংস্কৃতিক আয়োজনে নগরগুলো এখন কোলাহলময়। ব্রডওয়ে শো থেকে থিয়েটার, সোপ অপেরায় মানুষের উপচে পড়া ভিড়।
বড়দিন উপলক্ষে ওভারটাইমের আশায় হোটেল রেস্তোরাঁর কর্মচারীরা অতিরিক্ত সময় কাজ করছেন। এ ছাড়া ক্যাব চালকদেরও অবসরের সুযোগ নেই।
ম্যানহাটনে কর্মরত বাংলাদেশি ক্যাবচালক বদরুল আহমেদ জানান, ১০ ঘণ্টা টানা কাজ করার পর মাত্র ১০ মিনিটের বিরতি নিয়েছেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।