আমি দুয়ার খুলে বের হয়ে জোছনা ধরতে যাই। আমার হাত ভরতি চাঁদের আলো ধরতে গেলে নাই!
৭১ এর অন্যতম স্বাধীনতা বিরোধী এবং হানাদার পাকি সরকার এর মন্ত্রী ছিল মৌলানা মোহাম্মদ ইসহাক। তার দফতর ছিলঃ মৌলিক গনতন্ত্র ও স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন। এই স্বাধীনতা বিরোধী নেজামে ইসলাম পার্টিরও নেতা ছিল।
ডেডলাইন ২৫শে সেপ্টেম্বর,১৯৭১।
সময় দুপুরঃ ১২ টা ৫৫ মিনিট। মেডিক্যাল কলেজ এর চৌরাস্তায় এগিয়ে আসছে একটি মার্সিডিজ গাড়ি। ট্রাফিকের লাল বাতির সিগন্যাল এ দাড়িয়ে পরে গাড়িটি। গাড়ির ভেতরে মন্ত্রী মৌলানা মোহাম্মদ ইসহাক। তিনি এই মাত্র লালবাগে অনুষ্ঠিত নেজামে ইসলাম পার্টির এক কর্মীসভায় যোগদান শেষে সচিবালয়ে যাচ্ছেন।
গাড়ি ড্রাইভ করছে মন্ত্রীর ড্রাইভার সাজ্জাদ।
মন্ত্রীর গাড়ি সিগন্যালে থামবার কিছু পরেই গাড়ির ঠিক পাশেই থামে একটি হোন্ডা। হোন্ডার আরোহী দুজনই পায়জামা, পাঞ্জাবি আর কিস্তি টুপি পরে আছে। মন্ত্রী কিছু বুঝবার আগেই দেখতে পায় একটি দৃঢ় হাত ঢুকে গেছে তার গাড়ির জানালা দিয়ে আর ছুঁড়ে দিয়েছে একটি গ্রেনেড। কেউ কিছু বুঝে উঠবার আগেই প্রচণ্ড বিস্ফোরণ আর ওদিকে হোন্ডা প্রচণ্ড বেগে ছুটে গিয়ে ভোজবাজীর মতো অদৃশ্য হয়ে গেলো!
এই অপারেশনে ছিল গেরিলা ঃ আবুল এবং এনায়েত আর তাঁদের কাছে ছিল একটি গ্রেনেড- ৩৬ এবং ফসফরাস- ৭৭।
এই হামলায় মন্ত্রী মারাত্মক আহত হয় তার গাড়ির ড্রাইভার সহ।
এই অপারেশনে অংশগ্রহণকারী গেরিলা আবুল ১৬ ডিসেম্বর সকালে নৌকা ডুবিতে মৃত্যুবরণ করেন। (চলবে)
তথ্যসূত্রঃ সেলিনা হোসেন, "একাত্তরের ঢাকা", আহমদ পাবলিশিং হাউস, ঢাকা, ১৯৮৯।
পর্ব ১১ ঃ হান্টিং “মোনেম” ডাউন!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।