আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তারানকোর প্রশ্নে জাতির মঙ্গল আছে

নির্বাচন কমিশন ফেঁসে গেছে। সংবিধান বা আইনে কোনোভাবেই নির্বাচন কমিশনের এখন দশম সংসদ নির্বাচন পেছানোর ক্ষমতা  নেই। নির্বাচন কমিশন ১৮ দলীয় ঐক্যজোটের দাবি তো মানেনই  নেই, এমনকি নির্বাচন তফসিল ঘোষণা করার পর মহাজোটের অংশীদার বর্তমান মহাজোট বহির্ভূত জাতীয় পার্টির নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নির্বাচন তফসিল পরিবর্তন করার অনুরোধও প্রধান নির্বাচন কমিশনার সংবিধানের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে অত্যন্ত তাচ্ছিল্যভাবে প্রত্যাখ্যান করেন। এরশাদের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান হওয়ার ফলে তার নাটকীয় অবস্থান গোটা নির্বাচনকেই প্রশ্নবদ্ধি করেছে। যে সরকার অত্যন্ত আস্থা ও বিশ্বাস নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও সচিবসহ গোটা নির্বাচন কমিশন সাজিয়েছিলেন আজকে তাদের গো বা একগুঁয়েমির কারণে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নিজেই চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়েছেন।

অতি চালাক মানুষ কখনই কারও উপকারে আসে না। তারা শুধু নিজেদের স্বার্থ ও  উন্নাসিকতা নিয়ে ব্যস্ত থাকে, এই চরম সত্যটি আবারও প্রমাণিত হলো।

জাতিসংঘের মহাসচিবের প্রতিনিধি অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো চলমান সংকট নিরসনে বাংলাদেশে এসে ইতোমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রীসহ আওয়ামী লীগের অনেক উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রথম আলোচনার পর উপদষ্টো গওহর রিজভীর বক্তব্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি বলেছেন, তারানকোর নাকি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির ব্যাপারে কোনো আগ্রহ নেই এবং তারানকোর মতে বিরোধী দলও নাকি এখন সেই দাবি নিয়ে আর সোচ্চার নয় এবং চলমান আন্দোলনও নাকি এখন সেই দাবি নিয়ে হচ্ছে না।

তারানকো নাকি প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছেন, চলমান নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করা যাবে কিনা। জবাবে প্রধানমন্ত্রী নাকি বলেছেন, এ বিষয়ে সাংবিধানিকভাবে যা কিছু করার তা শুধু নির্বাচন কমিশনই করতে পারে। গওহর রিজভীর ভাষ্যমতে সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের এবং সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন কমিশন যা করবে তাতে প্রধানমন্ত্রীর কোনো আপত্তি নেই। গওহর রিজভী আরও বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী কোনো অবস্থাতেই নির্বাচন কমিশনের কাজে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করেবন না।   কাজেই চলমান সংকট তথা নির্বাচন পেছানোর যে আন্দোলন সেটাতে সরকারের কিছুই করার নেই।

এখন সংবিধান  মোতাবেক নির্বাচন কমিশন যা করবে তা প্রধানমন্ত্রী নিজেও মেনে নেবেন এবং তার দলও মেনে নেবে। তাই এখন বলা যায়, চলমান সংকট সমাধানের বল এখন চলে গেছে নির্বাচন কমিশন অফিসে। একমাত্র নির্বাচন কমিশনই এখন নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করে চলমান সংকটের সমাধান দিতে পারেন ।

যেহেতু প্রধানমন্ত্রী নিজেই সফররত জাতিসংঘের মহাসচিবের প্রতিনিধি তারানকোকে অত্যন্ত স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন, তারানকোর অনুরোধে নির্বাচনের তারিখ সংবিধান মোতাবেক শুধু নির্বাচন কমিশন পরিবর্তন করতে পারে তবে এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী তার কোনো আপত্তির কথাও তারানকোর কাছে তুলে ধরেননি বলে জানা যায়। সংবিধান মোতাবেক ঘোষিত নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল ২ ডিসেম্বর ২০১৩ এবং ওইদিনের আগে নির্বাচন কমিশন যতবার প্রয়োজন ততবারই নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করতে পারতেন।

কিন্তু নির্বাচন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া শেষ হয়ে যাওয়ার পরে নির্বাচনের তারিখ  পরিবর্তন করার কোনো বৈধ ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের নেই এবং প্রধানমন্ত্রী তা ভালো করেই জানেন। তাই তিনি অত্যন্ত সুকেৌশলে তারানকোকে প্রধান নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তবে তিনি ইচ্ছা-অনিচ্ছকৃত বা প্রকান্তরেই হোক সাংবিধানিকভাবে নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করলে তা তিনি মেনে নেবেন বলে একটি বার্তা তারানকোর মাধ্যমে জাতিকে দিয়ে দিয়েছেন এবং এ ব্যাপারে তারানকোর কাছে কোনো আপত্তিও না তুলে সেই ধারণাটিকে আরও বেশি বদ্ধমূল করে দিয়েছেন। এখন তারানকোর প্রশ্নমতো চলমান সংকট নিরসনে বর্তমান নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনটা মুখ্য সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার সময় তারানকো যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেননি তখন নিশ্চয়ই কারও বোঝার বাকি নেই যে, ১৮ দলীয় ঐক্যজোট বা বেগম খালেদা জিয়া চলমান সংকটের আপোস-মীমাংসার স্বার্থে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অবস্থান থেকে সরে আসতে জাতির বৃহত্তর স্বার্থে হয়তো পর্দার আড়ালে রাজি হয়েছেন।

এ অবস্থার পক্ষে প্রমাণ হিসেবে বিএনপির মুখপাত্র সালাহউদ্দিনের সাম্প্রতিক বক্তব্যেও পাওয়া যায়। গোপন স্থান থেকে ভিডিও রেকর্ডকৃত তার প্রাত্যহিক বক্তব্যে দেখা যাচ্ছে, নির্বাচনী তফসিল বাতিল করাই তার বক্তব্যের মুখ্য দাবি। ৭ ডিসেম্বর  ২০১৩ তারিখে সালাহউদ্দিনের বক্তব্যে নির্বাচনের তফসিল বাতিল না করলে নির্বাচন কমিশনকে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে বলে হুমকি দেন এবং সব সরকারি কর্মচারীদেরও নির্বাচনী দায়িত্ব পালন না করার জন্যও আহ্বান জানান।

চলমান সংকট এখন প্রায় একটি বিন্দুতে আসার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। তারানকো প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছেন নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করার সুযোগ আছে কি না।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, শুধু নির্বাচন কমিশনার সংবিধান মোতাবেক নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করতে পারে। পক্ষান্তরে বিরোধীদলীয় নেত্রী তার মুখপাত্রকে ঘোষণা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন যে, নির্বাচন কমিশনকে আসামি করা হবে যদি তারা নির্বাচনের তফসিল বাতিল না করে। তাই মনে হচ্ছে চলমান সংকটের সমাধান এখন নির্বাচনের তারিখের মধ্যে এসে দাঁড়িয়েছে। নির্বাচন কমিশন যদি এখন তারানকোর অনুরোধে সংবিধান মোতাবেক নির্বাচনের তারিখ বাতিল বা পরিবর্তন করে দেন তাহলে তারানকোর মধ্যস্থতায় নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন দুটি দলই মানতে বাধ্য হবে বা তিনি মানাতে বাধ্য করতে পারবেন। দৃশ্যত মনে হচ্ছে তারানকো হয়তো দুটি বিবদমান দলকে আপোস-মীমাংসায় নির্বাচনে নিয়ে আসতে পারবেন।

কিন্তু সাংবিধানিকভাবে সেই ক্ষমতা এখন নির্বাচন কমিশনের হাতে নেই। সংকট এখন অন্য জায়গায় সৃষ্টি হয়েছে। তবে সব দল মেনে নিলে অসম্ভব কিছু নয় এবং নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করা এখনো সাংবিধানিকভাবে সম্ভব।

নির্বাচন কমিশন পূর্বাপর চিন্তা না করে একগুঁয়েমিভাবে ভবিষ্যতের  কোনো পথ খোলা না রেখেই একতরফাভাবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। সংবিধান মোতাবেক ২৪ জানুয়ারি ২০১৪ সালের মধ্যে নির্বাচন করার সুযোগ সাংবিধানিকভাবে ছিল।

প্রয়োজনে সাংবিধানিকভাবেই আরও তিন মাস সময় নেওয়া যেত। নির্বাচন কমিশন যদি অন্ধের মতো কায়েমী স্বার্থে সরকারকে খুশি করার হীন উদ্দেশ্যে তার ঘোষিত তফসিলে নির্বাচন করার গো না ধরতেন তাহলে আজকে তিনি সংকট নিরসনের জন্য সবার মতামত নিয়ে তারিখ পুনঃনির্ধারিত করতে পারতেন। নির্বাচন কমিশন যদি ১ বা ২ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখ অন্তত ৭ দিনের জন্য নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে দিতেন তাহলে আজকে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা অনুযায়ী সাংবিধানিকভাবে নির্বাচনের তারিখ বদল করা যেত এবং তাতে বিরোধী দলও এখন তাদের আসামি করার হুমকি দিতে পারত না। যদি তখন একগুঁয়েমি করে শুধু সরকারকে খুশি করার জন্য নির্বাচনের তফসিল পরিবর্তন করার সুযোগ হাতছাড়া না করতেন তাহলে আজকে খুব সহজেই চলমান সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব ছিল। কিন্তু চলমান সংকট নিরসনের একটি অতি সহজ সুযোগ নির্বাচন কমিশন শুধু একগুঁয়েমি করে নষ্ট করেছেন।

তাই জাতি পরবর্তী সব সংকটের জন্য শুধু নির্বাচন কমিশনকেই দায়ী করবে এবং তাদেরকে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করবে।

তারানকো কি এবারও ব্যর্থ হয়ে খালি হাতে ফিরে যাবেন? কিন্তু রাজনীতি ও কূটনীতির মহাজনেরা তা বিশ্বাস করে না। তারানকো যেহেতু জানতে চেয়েছেন নির্বাচনের তারিখ পেছানো যাবে কি না  এবং নিশ্চয়ই বিনা কারণে তত্ত্বাবধায়কের ইসু্য বাদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেননি। কাজেই বোঝা যাচ্ছে এবার তার লক্ষ্য খুবই সুনির্দিষ্ট। তারানকো প্রধানমন্ত্রীর সবচেয়ে অপছন্দনীয় তত্ত্বাবধায়ক ইসু্যটিকে ছাড় দিয়ে তার সঙ্গে আলোচনায় অত্যন্ত সুকৌশলে দক্ষ কূটনৈতিক কথার চালে সাংবিধানিকভাবে নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি নিয়ে নিলেন।

আবার বিরোধী শিবিরে গিয়ে তিনি হয়তো বিরোধীদলীয় নেত্রীকে তত্ত্বাবধায়ক ইসু্টি বাদ দিয়ে নির্বাচনের তফসিলের পরিবর্তনের ইসু্টিকে সামনে এনে তা বাতিল করলে আপোস মীমাংসা মেনে নিতে হয়তো রাজি করিয়েছেন। এ ব্যাপারে কী কথা হয়েছে তা এখনো আমরা স্পষ্ট করে জানি না। তবে এর বাইরে যেকোনো কথার সুযোগ নেই তা সচেতন মহলের বুঝতে মনে হয় তেমন  কোনো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। এখন সবাই এটা ভালো করে বোঝে যে, সরকার নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি কোনো অবস্থাতেই মেনে নেবে না এবং তারা যেকোনো অবস্থায় বিরোধী দলকে বাদ দিয়েই দশম সংসদের নির্বাচন করিয়ে নেবে। তার উপরে যদি বিরোধী দল তারানকোর কথা না শোনে তাহলে বিরোধী দলকে একাই চলতে হবে এবং তাদের ভোগান্তিও বাড়তে পারে ।

বিরোধীয়দলীয় নেত্রী যদি তারানকোর প্রস্তাব মেনে নেন তাহলে  সংকট নিরসনে মনে হয় তেমন কোনো দেরি হবে না। যদি বিরোধী দল নির্বাচনের তফসিল বাতিলে সন্তুষ্ট হয় তাহলে প্রধানমন্ত্রীর কথামতো যেকোনো দিন স্বল্পতম সময়ের মধ্যে বর্তমান সংসদের অধিবেশন আহ্বান করে নির্বাচন কমিশনের গৃহীত সব পদক্ষেপ সাংবিধানিকভাবে বাতিল করে সংবিধান সংশোধন করতে পারে। তখন প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা অনুযায়ী সাংবিধানিকভাবেই নির্বাচনের তারিখ পেছানো যেতে পারে। প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতির ফরমান জারি করেও নির্বাচন বাতিল করা যেতে পারে। নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করলে বিরোধী দলের আন্দোলনের যেৌক্তিকতা প্রতিষ্ঠিত হবে এবং এর সম্মানজনক পরিসমাপ্তিও ঘটবে।

একইভাবে বর্তমানের বাস্তবতার আলোকে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি থেকে বিরোধী দল সরে এলে প্রধানমন্ত্রীরও নির্বাচন তফসিল থেকে সরে আসার সম্মানজনক সুযোগ সৃষ্টি হবে। প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রী তারানকোর সঙ্গে আলোচনায় ইতোমধ্যেই তারানকোকে অনেক গুরুত্ব দিয়েছেন। জাতিসংঘ ইতোমধ্যে বাংলাদেশের  চলমান সংকট নিরসন না হলে উভয় নেত্রীকে হেগে আন্তর্জাতিক আদালতে উপস্থিত করানো হবে বলে চাপ সৃষ্টি করেছে। এখন উভয় দলই যদি তাদের অবস্থানে অনড় থাকে তাহলে 'নেসেসিটি অব ডকট্রিন' হিসেবে অন্তত আগামী পাঁচ বছরের জন্য সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও দায়িত্ব নিয়ে জাতির বৃহত্তর প্রয়োজনে জনগণের আস্থা নিয়ে জাতিসংঘের ছত্রছায়ায় দেশপ্রেমিক শক্তি ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার সম্ভাবনা সৃষ্টি হতে পারে। এর ফলে হয়তো পাঁচ বছরের জন্য দেশে রাজনীতি কঠিন হয়ে যেতে পারে এবং বর্তমান রাজনীতিতে জড়িত নেতা-নেত্রী এবং তাদের তাঁবেদাররা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন।

তবে দেশ-বিদেশের অনেকেই হয়তো শুধু শান্তির স্বার্থে সেই অবস্থা মেনেও নিতে পারে। তাই উভয় রাজনৈতিক শক্তির নেত্রীর কাছে আমার বিনীত আবেদন তারানকোর নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের প্রস্তাব দেশ ও জাতির স্বার্থে মেনে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। দেশে সবচেয়ে শক্তিমান আপনারা। দেশ ভালো থাকলে সবচেয়ে লাভবান হবেন আপনারাই, আপনাদের আত্মীয় এবং তঁাবেদার ও চাকর-বাকররাই; কিন্তু তা না হলে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন শুধু আপনারা দুজন এবং আপনাদের সন্তানরা। তখন আপনার চারপাশের চাটুকাররা কেউ থাকবে না, অতীতেও ছিল না, ভবিষ্যতেও তারা থাকবে না।

যদিও আজকে তারাই আপনাদের বিভিন্ন বাহানায় আপোস করতে দিচ্ছে না। সব দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভুলে দেশ ও জাতির স্বার্থ ও কল্যাণের কথা চিন্তা করে তারানকো যে সম্মানজনক আপোসের সুযোগ আপনাদের উভয়কেই দিয়েছে তা গ্রহণ করা খুবই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। এখন সদ্ধিান্ত আপনাদের এবং ভাগ্যও আপনাদের। নিজের জীবন ও ভবিষ্যৎ বিপন্ন করে আমি তো শুধু বলেই গেলাম !!! 

লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য, কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.