যেখানে আমাদের ইনকাম ট্যাক্স অফিসাররা চাকুরীতে জয়েন করার পর থেকেই ধান্দায় থাকেন কিভাবে নিজের ইনকাম বাড়ানো যায়? সেখানে ভারতের এক ইনকাম ট্যাক্স অফিসার জনাব অরবিন্দ কেজরিওয়াল দেখিয়ে দিয়েছেন সৎ ইচ্ছা থাকলে দিল্লির মসনদও ধরা যায়!
জনাব আনা হাজারের দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলন যখন ভারতের আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে সারা পৃথিবীতে ঢেউ তুলেছেন, সারা ভারতের সুশীলরা যখন রাজনীতিকে গালাগালি করে দেশ মাটি পচিয়ে ফেলেছেন, ঠিক তখনই যুবক অরবিন্দ অনুভব করলেন রাজনীতিকে দুর্নীতি মুক্ত করতে হলে তা করতে হবে রাজনীতি দিয়েই, ধানাই পানাই আর প্যান প্যানানি দিয়ে কোন লাভ হবে না। বড় জোড় কিছু মানুষকে নিয়ে মাঠে ময়দানে না খেয়ে কিছুদিন শুয়ে থাকা যাবে। তাতে করে রাজনীতিতে কোন পরিবর্তন তো আসবেই না বরঞ্চ রাজনীতিবিদদের হাসির খোরাক হওয়া যাবে।
“আম আদমি পার্টি” আর তার মার্কা “ঝাড়ু” নিয়ে জনাব অরবিন্দ যখন তার রাজনৈতিক দল খাড়া করতে শুরু করলেন, ঠিক তখনি জনাব আনা হাজারের দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনের সৈনিক সুশীলরা পিঠটান মারলেন। শুধু তাই নয়, এবার সুশীলরা তাদের সুশীল গিরি দেখানোর নতুন মওকা পেয়ে তাদের চরিত্র অনুযায়ী ‘ঝাড়ু’র বিপক্ষে অবস্থান নিলেন।
এথেকে কি বোঝা গেল?
বোঝা গেল এটাই, সুশীলরা কোনদিন নিজে যেটা বলেন সেটা তারা করেন না, করতে পারেন না, কারণ তাদের নিজ নিজ কথায় নিজেদেরই কোন আস্থা নেই। যার কারণে সব সময় ভয়ে ভয়ে থাকেন, এই বুঝি সবাই বুঝে গেল?
তবে একটা বিষয়ে কিন্তু এইসব সুযোগ সন্ধানী সুশীলদের মধ্যে দারুণ মিল, আর সেটা হল- সব শিয়ালের এক রা, ‘হুক্কা’।
যা আমরা হরহামেশাই দেখছি, সংবাদপত্র থেকে টিভির পর্দায় ...
০৯/১২/২০১৩, রাত, ৮-২০
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।