আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রেম, বিষন্নতার অল্প কবিতা

জীবনের জন্যই এই সব কথামালা

১. একান্তে যে হাওয়া বয় বুকের মাঝে অবিরাম তুমি তার একলা মাঝি, হাওয়ার গন্ধ নুপুরের ছন্দে করো উন্মাদ নাশ আমি তো ডুবে ডুবে যেতে বাঁচি। ২. প্রেমের কবিতার দিন সেই কবে গেছে মুখোমুখি বসেনা আর জরিনা-হোসেন ইথারে কাঁটিয়ে রাত করে প্রেম সন্ন্যাস সুর শব্দ ভুলে গেছে আমাদের ভূপেন। ৩. তোমাকে ভাবলেই ঘরময় আশ্চর্য সেরেনাদ তোমাকে ভাবলেই প্রেম পৃথিবীর সকল ধর্ম সঙ্গীতে তোমাকে পাওয়ার ইচ্ছে ফর্দ পাঠালেম। ৪. বুকের ভেতর বাসা বাঁধে মধ্য রাত্তির আর দুঃখ নদী ঢেউ তুলে পাঁজর, অনন্ত সুন্দর অন্ধকার, ব্যথা সন্নিবেশ যন্ত্রণার আজ বাৎসরিক আসর। বছর আসে মুহুর্ত ব্যবধানে - প্রত্যহ, প্রতিবার।

বুকের রক্ত রঙ হয়ে হোলি খেলে যায় অপূর্ণতার বাসর। ৫. এই বিষন্ন বদ্ধ পৃথিবীর অন্ধকার ফুঁড়ে উৎসবের চাঁদ উঠে বড় অহঙ্কারে, এক কালের অধরা প্রেমিকার আস্ফালন বড্ড নির্মম আর বিদঘুটে লাগে। উৎসবের চাঁদ যেন অসহায়ত্বে অঙ্গুলি সাদামাটা বেঁচে থাকায় বিষাক্ত ছোবল, আলোর বঞ্চনায় এক জীবন হাহাকার। ৬. কবিরা ঘুমায়, জেগে থাকে অন্য কেউ কবিদের বুকে বয় এক সমুদ্র ঢেউ ঢেউয়েরা লিখে, অনিচ্ছেয় তীর ভাঙার গল্প কবিতা বলি তাকে আমরা কেউ ৭. রক্তের ভেতর অন্ধকার উৎসব তুমি থাকো সূর্য্যপুর বাতাসে বিষন্নতার পোড়া ঘ্রাণ অপ্রেমে স্নাত সকাল দুপুর। ৮. শকুন দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকো হে সাদাকালোয় ছিন্নবিচ্ছিন্ন মুখ, আমার যাচ্ছে এখন বড্ড দুঃসময়... ৯. দ্বন্দ্বমুখর সময়, খুব করে আমাকে মনে রেখো আমার এই হীনতা-পলায়নপরতা সব; অস্থিরতার অনু পরমানুতে গ্রাস করা মুখশ্রী অন্ধকারের সাথে অবিচ্ছেদ্য হৃদ্যতাগুলো, সব মনে রেখো সচেতনে গুনে গুনে।

১০. বাহুতে থাকো, বুকে থাকো, চুম্বনে থাকো চোখের উপর চোখ হয়ে থাকো। আর অনুভবে দেখো একটা পাহাড় জল হয়ে মিশে যাচ্ছে সমুদ্রধারায়... একটা পাখি জন্ম নিলো হঠাৎ প্রবল প্রেম আর উষ্ণ শ্বাস মন্দিরায়... ১১. দু'চোখ জুড়ে অন্ধকার, মৃতপ্রায় পাহাড় বুকের ভেতর দিনান্তের পাপ আটকে থাকা সন্ধ্যাকাল, প্রার্থনা সংগীত অনিশ্চিত সুড়ঙ্গ আর অপঘাতের সময়। একটা সদ্যোজাত শিশু... অশুচি আমাকে চেনে অসহায় হাহাকার। ১২. জীবন, বেঁচে থাকাকে বিষাক্ত দীঘি জলে মাথা চেপে ধরে রাখছো অনন্ত সময়। বুকের মাঝে পঁচিশ বসন্ত খুইয়ে যাওয়ার দীর্ঘ পরিহাস কে ভাবাচ্ছো সুখ।

সম্মুখে যা দেখি, যা আসে ভাবনা জুড়ে অথৈ জলের মাঝে মৃত্যু কামনা, আহাজারি। ১৩. আমি ছেঁড়া মলাট, বস্তাপচা কাগজ পড়ার অযোগ্য বই; হিংস্র সময়, তীব্র নখরাঘাতে হৃদয় মৃত্তিকা আশ্রয় সই। খসে পড়া অক্ষর, রক্তের দাগ নীল ভোর ঝলসানো রোদ; ভ্যাপসা গরম, শরীরে পেচানো দূর্গন্ধ অসহায় সমর্পনে বিদায় দিচ্ছি বোধ। ১৪. সকল বেদনার ভার সপে দিয়ে কবিতারা জ্যোৎস্নার পথে পৃথিবী জঞ্জাল ছেড়ে যায় আমি একা বসে থাকি অপার শূন্যতায় অন্ধকারে ঘিরে থাকা শ্মশান সীমানায়। ১৫. তোমার একটুখানি হারিয়ে যাওয়া, অন্তিম যাত্রার মিছিলে টেনে নিয়ে যায় আমাকে।

শাদা কুয়াশার পর অসহায় চোখ শূন্যে হারায়। আমাদের প্রেম, নিশীথ ব্যথায় দীর্ঘ জাগরণ ক্রমঃশ দূর্গের ভেতর শ্মশান গন্ধ, একা আমি। ১৬. বিষন্নতার মত আপনজন হয়ে খানিকটা ঘুরে দেখো রক্তের ভেতর কি রকম অদ্ভূত ঘনীভূত সন্ধ্যা একটা দিন পর্যবসিত হয়ে রূপ নিচ্ছে গভীর অন্ধকার শরীরের ভেতর স্থায়ী বাসা বাঁধা পরাজয় - একটা নীল পাখি কে খুন করে রাখে বুকের মিনার। ১৭. মধ্য রাত্তির, সুগভীর ঘুমের ভেতর ভেসে ওঠো তুমি স্বপ্নের ভেতর, দুঃস্বপ্নের অবশিষ্ঠ রাত্তির। ১৮. আর কয়দিন! শেষ হাতটিও দূরে সরে যাবে।

তখন কেবল একলা মরণ। অন্ধকার, অনিশ্চিত পড়ে থাকার সাথে বিদায় দুয়ের সন্ধি করানোর অবিশ্বাস্য কারিগর, আমি তোমার যন্ত্রণা বিলির সহস্র গল্প জানি। ১৯. বিষন্নতা বোধ নিয়ে সূর্যাস্ত, রাত্রির গায়ে আঁকে আলতো আদর আমি নিশ্চিহ্ন সময়কাল, মৃত প্রায় অভিমানী পাহাড় অন্ধকারের গোপন সহোদর, সে বিষন্ন সুখেতে করি জাগরণ । ২০. অন্ধকার অগ্নির ভেতর লুকোনো মুখ দহন কে অপেক্ষাকৃত শ্রেয় জানি, নীলাচলে স্বপ্নের দংশনে সদা বিক্ষত উত্তাপ হয়ে থাকে জন্মান্তরের গ্লানি। ২১. নিঃশব্দে তাকিয়ে দেখো, আমাদের দিন ক্রমঃশ বিষন্ন।

দৃশ্যমান সৌন্দর্য্য সব শীতে কাবু দুঃস্বপ্নের ভেতর হা্রায় সমস্ত আলোক। চতুর্দিকে অস্থির অন্ধকার ছায়া ফেলে তার। এখানে কিছু অল্প-কবিতা লেখার কারণ ব্লগার মাহমুদ ভাই । উনাকে পোস্ট উৎসর্গ করছি।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.