স্বাধীনতা, সে তো আমার প্রিয় মানুষের এক সাগর রক্তের বিনিময়ে কেনা
'কিং অফ দ্যা স্যান্ড’-সিরিয়ার নতুন নির্মিত একটি মুভির নাম।
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে সৌদি আরব হলো সবচেয়ে বড় ইন্দোনদাতা! সৌদি আরব অর্থ, অস্ত্র, মিডিয়া, কুটনীতি সবদিক দিয়ে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে উৎখাতে। সিরিয়া-সৌদি দ্বন্দ্ব এবার যুদ্ধের মাঠ থেকে রুপালি পর্দায়ও শুরু হয়েছে। খ্যাতনামা সিরিয় চলচ্চিত্রকার নাজদাত আজনুর নির্মান করেছেন 'কিং অফ দ্যা স্যান্ড' বা ‘বালির বাদশাহ’ শীর্ষক ছায়াছবি।
এই মুভিতে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠাতা ইবনে সৌদ যার নামে সৌদি আরবের নামকরণ করা হয়েছে তাকে অর্থাৎ ইবনে সৌদকে আরব বিশ্বের ভুঁই-ফোঁড় বা হঠাত আঙ্গুল ফুলে কলাগাছে পরিণত হওয়া ব্যক্তিত্ব হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।
কুয়েতের একজন অখ্যাত গোত্রীয় সর্দার থেকে তিনি আরব উপদ্বীপ ও হিজাজ অঞ্চলের কেন্দ্রীয় শাসকে পরিণত হন। এই চলচ্চিত্রে আরো তুলে ধরা হয়েছে যে, ব্রিটেনের মদদপুষ্ট ইবনে সৌদ ছিলেন একজন অবিবেচক ও দুর্নীতিবাজ, রক্ত-পিপাসু ও মাত্রাতিরিক্ত নারী-আসক্ত।
পরিচালক নিজেই বলেছেন,”ইবনে সৌদ যে ধর্মান্ধতার বিকাশ ঘটিয়েছেন তা তুলে ধরাই এ ছায়াছবি নির্মাণের উদ্দেশ্য এবং আধুনিক যুগে সন্ত্রাসবাদের বিস্তারে এই ধর্মান্ধতার ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। ” বিখ্যাত ব্রিটিশ গোয়েন্দা মিস্টার হ্যাম্পার তার ব্যক্তিগত ডায়েরীতে ইবনে সৌদের সাথে তার সম্পর্ক ও আজকের সৌদি আরব প্রতিষ্ঠার ইতিহাস সুন্দরভাবে তুলে ধরেণ। ।
এই সৌদি আরবই বিশ্বের একমাত্র দেশ যার নামকরণ করা হয়েছে দেশটির সংখ্যালঘু একটি গোত্রের নাম অনুসারে।
বালির বাদশাহ্ - নামটির যথার্থ তাৎপর্য আছে । এই তাৎপর্য শুধু সিরিয়া বা সৌদির জন্য নয় আমাদের দেশের জন্যও এনামটি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ক্ষমতাসীনসহ বিরোধীদলের নেতা নেত্রীদেরও বুঝা উচিৎ এনামের তাৎপর্য ! ক্ষমতা কারো চিরস্থায়ী নয় । আজ হোক কাল হোক ক্ষমতা যাবেই ।
ঠিক ক্ষমতা হলো-বালির বাদশাহর মত -আজ আছে কাল নেই!
তাই তো কবি বলেছেন-
সিন্ধু তীরে খেলে শিশু বালি নিয়ে খেলা
রচি গৃহ হাসিমুখে ফিরে সন্ধ্যাবেলা জননীর অঙ্কোপরে।
প্রাতে ফিরে আসি, হেরে তার গৃহখানি কোথা গেছে ভাসি।
আবার গড়িতে বসে সেই তার খেলা
ভাঙা আর গড়া নিয়ে কাটে সারা বেলা।
এই যে খেলা হায়, এর আছে কিছু মানে?
যে জনে খেলায় খেলা সেই শুধু জানে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।