রেল বাণিজ্যের ৭০ লক্ষ রুপিয়া কট হইবার পর কৃষ্ণ মার্জার তদীয় পদত্যাগ প্রসঙ্গে দন্তমুখ খিঁচিয়া জ্ঞানগর্ভ বয়ান করিয়াছিলেন-রাজনীতিক হইয়া উঠা কঠিন। মগর মন্ত্রী হওয়া কিংবা ত্যাগ করা কঠিন নহে। যে কোনো সময় সিদ্ধান্ত লওয়া যায়।
মগর উহা তাহার বাতো কি বাত। মন্ত্রীত্বলাভ যে কোনরুপেই সহজসাধ্য কর্ম নহে তাহা তিনি বিলক্ষণ জানিতেন।
অধমসহ পঞ্চমশ্রেণীর বিদ্যাধারীও জানে অত্র দেশের রাজনীতিতে যোগদান করিলেই রাজনীতিক। কিন্তু বহু বৎসর রাজনীতি করিয়াও কেহ কেহ সমগ্রজীবনেও মন্ত্রীত্বের পিষ্টক ভক্ষণ করিতে পারে নাই। বামদিকে দৃষ্টিপাত করিলেই যে কেহই উহা বুঝিতে পারিবে।
ইহা কৃষ্ণ মার্জার মহোদয়্ও সম্যক অবগত ছিলেন বলিয়াই রুপিয়া কেলেঙ্কারীর কারণে পদ ত্যাগেন নাই, কিঞ্চিত ধুম্রজাল সৃষ্টি করিয়াছিলেন মাত্র। ধুম্র অপসারিত হইলে দৃশ্যমান হইল তিনি উজিরে খামোখা পদে বহাল তবিয়তে বিরাজমান।
দুর্মুখেরা অবশ্য এইখানে বড়দাদার কৃপার প্রসঙ্গ লইয়া আসে। যাহা হউক। কৃষ্ণ মার্জারের কথার প্রথম অংশ না মানিলেও মন্ত্রীত্বত্যাগ যে কঠিন নহে এই কথাটি অধম মানিয়া লইয়াছিল। তবে এই সকলই পূর্বেকার কথা।
অধুনা নির্বাচনী হরিলুটের ভাগীদার হইবার মানসে প্রথমে রাজী হইয়াও পিষ্টকের ভাগ মনোমত না পাইয়া বিশ্ববেহায়া দলীয় মন্ত্রীগণ পদত্যাগ করিতে চাহিল।
পদত্যাগনামা লিখিয়া উহা লেফাফায় ভরিয়া তাহারা ইতিউতি দৌড়াদৌড়ি করিতে লাগিল। মন্ত্রী হইয়া্ও তাহারা প্রধানমন্ত্রীতো দূরের কথা, তাহার সহকারীগণের নিকট পর্যন্ত গমন করিতে পারিল না। শতরঞ্জ নামক যে খেল আছে উহার মন্ত্রীগণও ইহা অপেক্ষা অধিকতর সম্মান লভিয়া থাকে। থাকুক সেই সকল দুখভরি কহানী। এইবার কৃষ্ণ মার্জার পুনরায় দন্তমুখ খিঁচিয়া নয়া ফতোয়া জারী করিলেন, কহিলেন- মন্ত্রিত্ব গ্রহণ করিয়া আবার ইচ্ছা হইলেই তাহা ত্যাগ করা যায় না।
কহিলেন- মন্ত্রিসভায় যাওয়া কঠিন, বাহির হওয়া আরো কঠিন।
মহাবিদ্যালয়ে পাঠকালীন কতিপয় টিপিক্যাল হিন্দী ফিল্ম দেখিয়াছিলাম। উহার বেশীরভাগেই কদের খান দুর্ধর্ষ কালাবাজারী মাফিয়াচক্রের প্রধানরূপে আবির্ভূত হইতেন। চক্রত্যাগীদের উদ্দেশ্যে তাহার একটি কমন ডায়লগ ছিল - ইস কালে ধান্দেকে আন্দার তুম আ তো সাকতে হো, মাগার ইস কালে ধান্দেসে নিকালনা না মুমকিন হ্যায়। ঠা ঠা ঠা।
"মন্ত্রীসভায় যাওয়া কঠিন, বাহির হওয়া আরো কঠিন। "
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।