থেমে যাবো বলে তো পথ চলা শুরু করিনি। আপনারা ইতোমধ্যে জেনে গেছেন যে যথাসময়ে রক্ষণাবেক্ষন না করার কারনে ঢাকা-চট্টগ্রামের ভেতরের দুইটি সেতু টানা চার দিনের জন্য বন্ধ রাখা হচ্ছে। এই চারদিনের ভেতরে কিছু মেরামত করা হবে, এর পরে পুনরায় সেই সেতু খুলে দেওয়া হবে।
সংবাদে জানা যাচ্ছে যে, মেঘনা ও গোমতী সেতু মেরামতের কারণে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে যাত্রীর চাপ প্রচণ্ড বেড়েছে। এতে হিমশিম খাচ্ছেন রেলস্টেশনের কর্মীরা।
টিকিট না পেয়ে অনেকে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। দুটি সেতুর ওপর দিয়ে যান চলাচল বন্ধ থাকায় ঢাকা ও চট্টগ্রামের ঘুরতি পথে গন্তব্যে পৌঁছাতে সাত-আট ঘণ্টার পরিবর্তে ১২ থেকে ১৬ ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে।
এই দুইটি সেতু বন্ধ হলে যে স্বাভাবিক ভাবেই রেল পথের উপরে চাপ পড়বে, সেটা ছোট একটা বাচ্চাও জানে। আর বাস্তব হল, এইটা জানেন না আমাদের কর্তা ব্যক্তিরা।
ঢাকা-কুমিল্লা-চট্টগ্রাম সংযোগ সড়কের একটা বড় অংশতেই রেলপথ ও সড়ক পথ সমান্তরাল ভাবে চলে গিয়েছে।
ফলে এই অঞ্চলের ব্যবসায়ি ও চাকুরীজীবীরা অনেকেই সড়োক ও রেল অথে কর্মস্থলে বা ব্যবসা ক্ষেত্রে যাতায়ত করে থাকেন। চারদিন সড়ক পথের এই দুটি সেতু বন্ধ থাকলে এই সব লোকেদের অনেক সমস্যা হতে পারে।
সবচেয়ে বেশি ঝামেলায় পড়ছেন যারা কুমিল্লা থেকে ঢাকাতে আসতে চাচ্ছেন। আমাদের কর্তা ব্যক্তিদের এইবারে একটু চোখ খোলা দরকার। নারায়নগঞ্জ থেকে কুমিল্লার দূরত্ব কতখানি? এই অংশে একটা ডাবল লাইনের রেল পথ বানানো প্রয়োজন।
এই যে সেতু বন্ধ থাকলে রেলপথের উপরে চাপ বেশি পড়বে, এবং সেই চাপ সামাল দেবার মত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া, এইটা গুড গভারনেন্সের মূল কথা। সরকার কাজ করবে জনগণেরর জন্য। কিন্তু কি কাজ করবে? জনগণের অসুবিধা দূর করা সরকারের অন্যতম প্রধান কাজ। এই সড়ক পথ বন্ধ থাকার কারনে সরকার তার উপরে অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে।
কুমিল্লা-নারায়ণগঞ্জ রেলপথ প্রসঙ্গে আসি এইবারে।
বলবেন যে রেলপথ বানাতে অর্থ সাহায্য বিদেশিরা কেউ দেয় না। তাহলে নিজস্ব সম্পদ দিয়েই না হয় এই রেল পথ বানাবেন। সমস্যা কোথায়? পদ্মা সেতুর মত কাজে নিজেদের টাকা দিয়ে সেই সেতু বানানোর উদ্ভট পরিকল্পনা উনাদের মাথায় আসে, আর জনগণের জন্য কাজে লাগবে এমন প্রকল্প উনাদের মাথায় আসে না কেন?
শুধু তাই না, রাজধানীর সাথে নারায়ণগঞ্জের যোগাযোগ সুবিধা আরো বাড়াতে হবে। এবং নারায়নগঞ্জ থেকে কুমিল্লা পর্যন্ত আরেকটি মহাসড়ক বানাতে হবে। প্রয়োজনে জলাভূমির ভেতর দিয়ে সেতু তৈরি করেই তা বানাতে হবে।
যদি তেমন কেউ এই লেখা পড়ে থাকেন, তা হলে উচ্চ পর্যায়ের কারো কানে এই কথাগুলো তুলে দিয়েন। ক্রেডিট না হয় আপনিই নিলেন! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।