আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পাঁচ বছরের জন্যই ৫ জানুয়ারির নির্বাচন: তথ্যমন্ত্রী

জাতিসংঘ মহাসচিবের দূত অস্কার ফান্দান্দেজ-তারানকোর সফরের পর সরকারের সঙ্গে বিরোধী দলের সমঝোতার আলোচনা এই মুহূর্তে স্থগিত রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
আগামী নির্বাচনের পরপরই ১৯৯৬ সালের মতো খুব কম সময়ের মধ্যে কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “নির্বাচন কেউ শর্ট টাইমের জন্য করে না, নির্বাচন ৫ বছরের জন্য ২০১৯ সাল পর্যন্ত। ”
“ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে এ নির্বাচন নয়, সংবিধানকে সমুন্নত করতেই এ নির্বাচন,” বলেন মন্ত্রী।
১০ম সংসদ নির্বাচনের পর মধ্যবর্তী সময়ে কোনো নির্বাচন হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “নির্বাচন হোক, নতুন সংসদই এসব ঠিক করবে।


আগামীতে কোন অসংবিধানিক সরকার ক্ষমতায় আসার সম্ভবনা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সংবিধানকে সমুন্নত রাখতে এবং গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতেই ৫ জানুয়ারি নির্বাচন করা হচ্ছে।
“বহুদলীয় নির্বাচন করার মাধ্যমে গনতন্ত্র নিরাপদ হবে। ”
বিরোধীদলের সাথে রাজনৈতিক আলোচনার পথ এখনো খোলা আছে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন,“ষড়যন্ত্র ও সংঘাতের পথ পরিহার করলে এখনো রাজনৈতিক সমঝোতার সুযোগ আছে। ”
আগামী ৫ জানুয়ারি নির্বাচন নিয়ে বিরোধী দলের সাথে সমঝোতা হবে কিনা-সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “এখন যে সময় এসেছে, এ নির্বাচন নিয়ে আলোচনার আর জায়গা নেই।
“তবে সংবিধান সমুন্নত রেখে সমঝোতার জায়গা আছে, আমি রাজনৈতিক সমঝোতার কথা বলছি, সব কিছু নিয়ে আলোচনা হতে পারে, সংসদ নির্বাচন নিয়ে না হলে ভবিষ্যতের জন্য আলোচনা হতে পারে।


জাতিসংঘ দূতের সফরের সময় থেকে সমঝোতার জন্য যে আলোচনা চলছিল তা অব্যাহত আছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “এই মুহূর্তে তা স্থগিত আছে।
“সংবিধানকে সমুন্নত রাখা রাজনৈতিক পবিত্র দায়িত্ব, এ পবিত্র কাজ করতে চাই, বহুদলীয় নির্বাচন সম্পন্ন করার মাধ্যমে গনতন্ত্র নিরাপদ হবে। ”
বিএনপির সঙ্গে জাতীয় পার্টিও নির্বাচনে না আসার ঘোষণা দিয়েছে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “তাদের অনেক প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে, জাতীয় পার্টির সর্বশেষ অবস্থান আমরা জানি না। ”
আগামী নির্বাচন নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি দেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “এ বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের, নির্বাচন নিয়ে সরকারের বিবৃতি দেয়ার প্রয়োজন নেই। ”
তিনি বলেন, “দেশি-বিদেশি বন্ধুদের বলব, বিরোধী দল গত আড়াই বছর ধরে কোনো সমঝোতায় আসেনি, সংসদে আসেনি, তাদের কাছে নির্দলীয় সরকারের কোন ফর্মুলা নেই।

তারা সংবিধানের বাইরে দেশকে ঠেলে দিয়ে ঘোলা জলে মাছ শিকার করতে চাচ্ছে।
“দেশে সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন হতে না দেওয়াই তাদের উদ্দেশ্য। তারা মুখে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের কথা বলছেন, কিন্তু বাস্তবে সংলাপ এড়িয়ে যাচ্ছেন। মুখে নির্বাচনের কথা বলছেন কার্যত নির্বাচন হতে না দিয়ে দেশের সাংবিধানিক প্রক্রিয়া ব্যাহত করে দেশকে সংকটের মুখে ফেলে দিচ্ছেন।
“মুখে আলোচনার কথা বলে বাস্তবে নাশকতা-জঙ্গীবাদ-সহিংসতাকে উস্কে দিয়ে রাজনৈতিক অন্তর্ঘাতে লিপ্ত হয়েছেন।


যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধে বিরোধী দল হীন চক্রান্ত করছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “জনগণ দেশবিরোধী সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠভাবে অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে সাংবিধানিক ধারা অক্ষুণ্ন রাখবে। ”

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।