জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) ১০ বছরের জন্য এই স্টেডিয়াম বাফুফেকে লিজ দিয়েছে।
রোববার এনএসসি ও বাফুফের মধ্যে এ সংক্রান্ত চুক্তিতে এনএসসির পক্ষে সচিব শিবনাথ রায় এবং বাফুফের পক্ষে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ সই করেন।
বাফুফে এখন এই চুক্তিপত্র আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থার (ফিফা) কাছে পাঠাবে। তারপরই ফিফা টার্ফ বসানোর অনুমোদন দেবে।
টার্ফ বসানোর জন্য বাফুফে প্রায় দুই বছর আগে এনএসসির কাছে কমলাপুর স্টেডিয়াম চেয়ে আবেদন করেছিল।
কিন্তু তৎকালীন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকারের গাফিলতির কারণে বাফুফেকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে।
তবু স্টেডিয়ামটি পেয়ে বাফুফে কর্মকর্তারা খুশি। চুক্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাফুফের সহ-সভাপতি বাদল রায় বলেন, “এটা ঠিক যে এই স্টেডিয়াম পেতে আমাদের অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে, অনেক অপেক্ষা করতে হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত পাওয়ায় আমরা খুবই খুশি। ”
এনএসসির সচিব শিবনাথ রায় বলেন, “দেশের ফুটবলের পাশে থাকতে পেরে আমরা গর্বিত।
আশা করি এর মাধ্যমে ফুটবল কিছুটা হলেও উপকৃত হবে, আরো সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। ”
তবে কবে নাগাদ টার্ফ বসানোর কাজ শুরু হবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছে না বাফুফে। এ প্রসঙ্গে আবু নাঈম সোহাগ বলেন, “আশা করি শিগগিরই ফিফা টার্ফ বসানোর কাজ শুরু করবে। তবে কবে কাজ শুরু হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। ”
কমলাপুর স্টেডিয়ামে দেশের ফুটবলের দ্বিতীয় সিনথেটিক টার্ফ বসতে যাচ্ছে।
প্রথমটি বসানো হয়েছিল বাফুফে ভবন সংলগ্ন মাঠে।
ফিফা গোল প্রজেক্ট-৪ এর অধীনে এই টার্ফ পাচ্ছে বাফুফে। গোল প্রজেক্ট-১ এর অধীনে বাফুফে ভবন, গোল প্রজেক্ট-২ এর অধীনে বাফুফে ভবন সংলগ্ন মাঠে টার্ফ এবং গোল প্রজেক্ট-৩ এর অধীনে সিলেট ফুটবল অ্যাকাডেমির জন্য ফিফার কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য পেয়েছে দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।