আমি ছোটবেলায় ভাবতাম আল-কোরআনে মনে হয় শুধু লেখা সদা সত্য কথা বলো, খারাপ কাজ করো না, নামাজ, রোজা ঠিক মতো করো ইত্যাদি ইত্যাদি কিন্তু এখন যখন একটু বড় হলাম তখন বাংলা ও ইংরেজি অনুবাদ পড়ে অনেক ভায়োলেন্ট আয়াত জেনেছি। একে হত্যা করো। ওকে মারো, শিকল দিয়ে বেধে ফেলো, দুই হাত পা বিপরীত দিক থেকে কেটে দাও। যুদ্ধ বিগ্রহ সংক্রান্ত প্রচুর আয়াত আছে আল কোরআনে। এতো গেলো কোরআনের কথা।
বাইবেলেরও অনেক ভার্স পড়ে আতকে উঠতে হয়। একে হত্যা করো। তাকে ধরে নিয়ে নিয়ে উপর থেকে ফেলে দাও, পাথর ছুড়ে হত্যা করো ইত্যাদি আরো অনেক ভায়োলেন্ট ভার্স আছে। ধরেন বাইবেল এখন আর আসলটি নেই তবুও বাইবেলের একটা অংশতো আল্লাহর নিজের বানী যেটা হয়তো এখনো ঠিক আছে। কোন অংশ ঠিক আছে সেটা নিশ্চয়ই আমরা জানি না কিন্তু গোসপেল ও তোরাহতো আল্লাহর বানী।
সেখানে প্রচুর ভায়োলেন্ট ভার্স লেখা।
ইসলাম অর্থ আত্মসমর্পনের মাধ্যমে শান্তি কিন্তু আমরা কেনো সহিংস হয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবো? ইহুদি, খ্রিষ্টানেরা মহানবী (সাঃ)কে নবী স্বীকার করে না। এখন ইহুদিরা কেন ঈশাকে মসীহ ও রাসূল (সাঃ) শেষ নবী মানে না সেটাতো আল্লাহ ভালো জানেন। এটা কি আমাদের দায়িত্ব যে আমরা সহিংস হয়ে ধর্ম প্রচার করবো?
তালেবানেরা মুখে কালো কাপড় আর বন্দুক হাতে নিয়ে যে ঘুরে বেড়ায় এভাবে কি ইসলাম প্রচার সম্ভব? আল-কোরআনে কেনো এত সহিংস আয়াত আছে সেটা আমাকে কেউ খুলে বলেন। একজন মুসলিম যেমন আল্লাহর বান্দা, বাকি সব ধর্মের মানুষকে তো ঐ এক আল্লাহই বানিয়েছেন।
তারাও তো আল্লাহর বান্দা। আল্লাহ কেন তার নিজের বান্দাদের মধ্যে যুদ্ধ বিগ্রহ হতে দিলেন?
এসব প্রশ্ন আমাকে মাঝে মাঝে ভাবায়। ঐসব সহিংস আয়াত কি শুধু ঐ সময়ের জন্য প্রযোজ্য ছিলো নাকি এটা সার্বজনীন?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।