আমি কি বাংলাদেশী না বাঙালী .................... ধর্ম নিরপেক্ষতার প্রকৃত মানে কি !! আমার অল্প বিদ্যা ভয়ন্করী ভান্ডারের জানা মতে, এ তত্ত্বটি সর্বপ্রথম ইয়াসির আরাফাত বিশ্ব রাজনীতিতে পরিচিত করেন ফিলিস্তিন আরব ভুমিতে ইহূদী আগ্রাসন কে সীমিত করার লক্ষ্যে এবং অধিকৃত ফিলিস্তিনি জনগনের জাতীর সার্বভৌমত্ব বজায় রেখে বিশ্ব দরবারে ইহুদীদের সাথে মুসলিম সমাজের সম্পর্কের একটি মাত্রা নিরুপন করতে চেয়েছিলেন তিনি। তাই ধর্ম নিরেপক্ষতার তত্ত্ব দিয়ে তাকে আস্হা অর্জন করতে হয় ইহুদীদের।
আমাদের দেশে বাংলাদেশ আওয়ামীলিগ বাকশালের পরিনতির পরে ধর্ম নিরপেক্ষতার রাজনীতি নিয়ে বিগত ২২২-২৪ বছর যাবত রাজনীতিতে কম বেশী আধিপত্য বিরাজ করে আসছিল । বর্তমানে দেশে এ দলটির অধীনে সরকার পরিচালিত হচ্ছে । সরকার গঠন করেছির চার বছর পূর্বে , সেই থেকে দেশের রাজনীতির রঙ, প্রশাসনের ধর্মীয় প্রচারনা একটু ভিন্ন ভাবেই ধর্মীয় দিবস সমূহ পালন করে আসছে যা কোন রকম সমস্যা হবার কথাও না একটি রাস্ট্রে ।
তবে ধর্ম নিরেপেক্ষ একটি দল রাজনীতিতে ধর্ম দিয়ে বক্তব্য প্রদান করতে পারবে বা ধর্ম বিষয়ক কোন বিষয়ে ধর্ম নিরেপেক্ষতার সীমা নির্ধারিত হবে তা কি কোন নীতি বা সংবিধানের পরিপুর্ণ ব্যাখ্যায় পাওয়া যাবে !!!
কেননা আমরা বিগত সময়ে দেখেছি এখনও দেখছি আওয়ামীলিগ ধর্ম নিরেপেক্ষতার নীতি গ্রহন করেও সব ধর্ম নিয়েই কম বেশি রাজনীতি করেছে যা প্রচার মাধমের গুনে দেশব্যাপী প্রচারও ভালো হয়েছে । ধর্ম রাস্ট্রের কোন আচার হবে না !! ব্যক্তি বা জনগন যে যে ধর্ম পালন করুক না কেন এটা নিয়ে কোন বক্তব্য থাকতে পারে না । তবে এ তত্ত্বটির ডানে বামে কিছু প্যাচগি আছে যা অশিক্ষিত জনগনের পক্ষ্যে গিট খুলা সাধ্যি নাই যে !!!
শর্ষের ভিতরে ভুত যেমন সত্য হতে পারে তেমনি সংখ্যালঘু দের অত্যাচার এর কাহিনী যেভাবে ধর্ম নিরেপেক্ষতার পক্ষ থেকে দাবী করা হয় তাতে ভুতের কাজ হওয়া অস্বাভাবিক নয় । ধর্ম নিরপেক্ষতার রাজনীতিতে যেমন ধর্মীয় রাজনীতর স্হান নেই তেমনি ধর্মীয় রাজনীতিতে ধর্ম নিরপেক্ষতা মুল্যহীন এবং এরও কোন স্থান নেই । তবে ধর্মনিরপেক্ষতায় অনেক ধর্মালম্বনকারীদের কোন নির্দিস্ট ধর্ম সম্পর্কে বা সকল ধর্ম সম্পর্কীয় রাজনীতি সীমা রেখা নির্দিস্ট নেই, যার বাইরে রাজনীতিবিদগন ধর্ম বিষয়ক কর্মকান্ড/কুকান্ড করতে পারবে না ।
ধর্ম নিরপেক্ষতায় কোন নির্দিস্ট ধর্ম দ্বারা রাজনীতি পরিচালিত হয় না বলে ন্যায় -নীতিহীন যে কোন কুকর্ম/কান্ড ঘটানো যায়, নাড়াচাড়া করা যায় আর ধর্মীয় ব্যবস্হায় ধর্মগ্রন্হ অবদমিত হবে এমন কোন কুকাম-কান্ড করতে পারে না রাজনীতিতে ।
তবে ব্যক্তি চরিত্রে ধর্ম নিরপেক্ষতা প্রভাব ফেলতে বাধ্য আর এটা অনেকটা আচার আচরন ও ব্যবহার সম্পর্কিত পরিবর্তন । এমন কয়েকটা কেস স্ট্যাডিতে দেখা গেলো যে ধর্ম নিরপেক্ষতার কারনে তার স্বীয় ধর্ম সম্পর্কিত নেতিবাচক প্রভাব ফেলে । কারন দীর্ঘদিন ধর্মনিরপেক্ষতার রাজনীতি বিশ্বাসের ফলে নেতিবাচক রাজনীতির অনকে গুনাগুন ব্যক্তি চরিত্রে নস্ট করে যেমন স্বচ্ছোয় বা প্রনোদিত হয়ে দুর্নিতী, খুন জখম আর সম্পদশালী হবার রাজনীতি ব্যক্তির মধ্যে ধর্ম পালন বা এ সম্পর্কীত ব্যক্তিবর্গকে এড়িয়ে চলা সেভাব্ই গড়ে উঠে কারন ঐ তার ধ্যান ধারনায় রাত দিন রাজনীতিকরন ধর্মনিরপেক্ষতা । তবে ধর্ম নিরপেক্ষতা আর ধর্মীয় রাজনীতিকরন এর যত কিছু্ই ভারো খারাপ থাকুন বা না থাকুক এটাই সবাইকে জেনে নিতে হবে, বা ঞ্জ্যান আহরন করে নিতে হবে আর ততই জানবেন রাজনীতির জন্ম ধর্মীয় মূল্যবোধ থেকেই ।
এই মূল্যবোধের বিরোধ রাজনীতির সৃস্টি করে ইতিহাস তাই সাক্ষি দিয়ে যাচ্ছে শতাব্দির পর শতাব্দি । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।