সত্য একদিন প্রকাশ পাবেই, আমি না করলে আপনি করবেন, না হলে আরেকজন করবে। প্রকাশ হবেই
আগেই কইয়া রাখি, আফা এবং বুবু দুইজনেই দেশের অতিউপকার করতেছেন। তাদের কোন দোষ নাই। যারা অকারনে দোষ দেন তারা আমার এই লেখা পড়ার আর দোষ ধরবেন না, আমি নিশ্চিত।
উনাদের দোষ নাই, সব নির্বাচনের দোষঃ
দেশে কি এক আকাম হইল রে ভাই দুক্কু রাখার জায়গা নাই।
বেহুদা নির্বাচন আইল আর মানুষ মরার কল শুরু হইল। আরে ভাই, গত বছর গুলাতো ভালই গেল। এই নির্বাচন হুদাই আইসা আমাগো কাবাব বানাইতাছে, নাইলে ঝলসাইয়া দিতাছে। কিছু জ্ঞানী কইব গত বছর সাইদি রে চান্দে দেহাইয়া বহুত মানুষ মারছিল, আমি মনে করি অগুলা পাকিস্তানের বংশদর আছিল। কাজেই ওগো নিয়া আমি কান্দি না।
তাইলে দোষ যা আছে সব ঐ হালার নির্বাচনের। কোন দোষে-কোন কপাল নিয়া যে বেটায় জন্ম নিয়েছিল যে আমাগো না মারলে তার পেটের ভাত হজম হয় না। যদি নির্বাচন না আইত তাইলে একটা কিছুই হইত না। মানুষ মরত না, কাবাব হইত না, ঝলসাইয়া যাইত না। সব দোষ নির্বাচনের, বিশ্বাস করেন ; আমার হাসিনা বুবু আর খালেদা আফায় কিচ্ছু করে নাই, তারা ধুতুরা ফুলের মত নিষ্পাপ।
যুদ্ধাপরাধ বলেও তেমনি কিচ্ছু নাইক্কা। গোলাম-সাইদী-নিজামীর এক্কেবারে হায়েনার মত নিরাপরাধ , হেতাগু মেলা ক্ষমতা আছিল তাই তারা মানুষ মারছে ধর্ষন করছে। সিং হের ক্ষমতা আছে বইলাইতো তারা অন্যান্য প্রানী মাইরা খায়, সুযোগ পাইলে মানুষও খায়। তাইলে হায়েনার যদি বিচার না হয়, গোয়াজম-নিজামী-সাইদী সাহেব দের বিচার অইব ক্যা রে?? এঈডা বে-ইনসাফ... নির্বাচনের ইস্যু।
যেভাবে উপকার করছেনঃ
আরে আবাল জনগন তোরা মইরা যাস না ক্যা রে?? আমার আফা আর বুবু দুইজনেই এক্কেবারে খাটি কথা বলছেন, তারা দেশের জন্য কাজ-কাম করেন।
ক্যামনে করে আসেন বুঝাইতাছি ঃ-
১, জনসংখ্যা হ্রাসঃ একটি দেশের বড় সমস্যা হল জনসংখ্যা - উনারা আন্দোলনের নামে হরতাল-অবরোধ-প্রতিরোধ নামের মহান থেকে মহানুতর কর্মসুচী দিতাছেন আর তাতে মানুষ মরতেছে। এতে করে দেশের জনসংখ্যা কমছে।
২, বেকার সমস্যার সমাধানঃ গাড়ীপুড়ানো দেইখা যাদের মাথায় হাত, তাদের বলি আরে ভাই, আপনাদের গরম কাপর আছে, তাই এত ফুটানি করেন, যাদের কিছু নাই তারা গাড়ীর আগুনে গা গরম করে। তাছাড়া গাড়ী পোড়াইলে টাকাও দেয়। নতুন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, বেকার সমস্যার সমাধান।
এইটা আফা ও বুবুজানের তেলেস্মাতি কারবার বেকার সমস্যা সমাধানে। আপনার কাজের সুযোগ আছে, পরিবার নিয়া নাইমা পরেন।
৩,অলিম্পকের প্রস্তুতিঃ যারা পুলিশের উপর ঢিল মারছেন, তাদের দিয়ে টার্গেট প্র্যাক্টিস করাইতাছি। পরেরবার অলিম্পকে পাঠামো। পুরস্কার নিশ্চিত।
৪, আয় বৃদ্ধিঃ মানুষ আজাইরা বলে আয় কমতেছে। এইডা ডাহা মিথ্যা কথা। আগুন দিয়ে মানুষ ঝলসাইয়া, ইটপাটকেল মাইরা মানুষ হাস্পাতালে পাঠাইতাছেন। এতে করে ডাক্তারদের আয় বারতাছে। আপনের কুনু সমস্যা??? পরের সুখ সহ্য না হইলে নিজে যাইয়া কাবাব হউন।
৫,পরিস্কার অভিজানঃ যারা গাছ কাটা নিয়া চোখের জল আর নাকের পানি এক কইরা ফালাইতাছেন তাদেরকে বলি, দেশ পরিস্কার করা কি খারাপ?? দেশের গাছপালা কাইটা দেশ পরিস্কার করতাছেন। এইডাতে দোষের কিছু নাই। আপনারা অপরিস্কার মানুষ তাই পরিস্কার কিছু দেখতে পারেন না। নাইলে অন্তত এটাতে সাপোর্ট দিতেন।
৬,ব্যবসার প্রসারঃ দেশের চাহিদার জন্য প্রচুর ককটেল দরকার।
তাই এর যোগান দিতে গড়ে উঠছে কল-কারখানা, ঘটছে শিল্পের প্রসার। সৃষ্টি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান। চাহিদা বাড়লে যোগান বাড়ে। সুতরাং ককটেলের যোগান বাড়াইতে ককটেলের বড় বড় শিল্প গড়ে উঠবে। /
৭, চিত্তবিনোদনের সুযোগঃ উনাদের দুইদলের এমপি-মন্ত্রীরা সফলতা-আর বিফলতা নিয়ে যে হারে মন্তব্য দেব, তাতে করে জনগন মানে আপনাদের ব্যাপক চিত্তবিনোদন যে চড়ম মাত্রায় হয় তা আমরা বুঝতে পারি।
তাছাড়া রাস্তায় গাড়ী না থাকায় ঢাকা শহরের রাস্তাগুলো সব মাঠ হয়ে গেছে। পোলাপাইন আনন্দে খেলাধুলা করবার পারতেছে । এইডা আপনারা চান না?? তাইলে আপনারাই খারাপ, পোলাপাইনের কথা আপনারা না ভাবলেও আমার আফা আর বুবুজান তা ভাবে।
৮, বিজ্ঞানের প্রসারঃ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রেও অবদান অনস্বীকার্য। গান-পাউডার দিয়ে আগুনের বিক্রিয়া, পেট্রোলের সাথে কি পরিমান শলতে যুক্ত করলে পেট্রোল বোমা হবে।
এগুলার আবিস্কার করে বিজ্ঞানের বিয়াপক উন্নতি করেছেন।
সুদখোর যদি নুবেল পায়, তাইলে এইবার আমরা নিশ্চিত নুবেল পাইব। আপনারা নুবেল না চাইলে মুড়ি খান।
৯,শিক্ষা অবকাশঃ সারাডা বছর আমাগো পোলাপাইন পইড়া বিদ্যার উড়োজাহাজ হইলেও তাদের ছুটি নাই বললেই চলে। স্কুল বন্ধ থাকলেও প্রাইভেট আর কোচিং এ যাইতে যাইতে বাবুগোলানের দিকে তাকাইতে পারি না।
এই হরতাল-অবরোধে তাহারা সেই কাংখিত ছুটি পাইছে। আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাশে।
পরিশেষ, শালার আমজনতা এখনো বুঝলানা , আমার আফা আর বুবুজান চায় কি?? জনগনের শান্তি। জনগনের শান্তি।
বুবুজান-আফাজান আপনারা বড় মেহেরবান
উপকার করছেন আমাদের, কাইরা আমাদেরই প্রান।
বুবুজান-আফাজান, আপনাদের আছে গদির টান
উপকার করছেন আমাদের, কাইরা আমাদেরই প্রান।
বল জয় হে, বল জয় হে
সবশেষে বলব, people deserve the govt কাজেই এই মানুষগুলো যতদিন অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে না। যতদিন এই জনগন সকল ভুল মেনে নিয়ে বলবে, আমার আফা আর বুবুজান চায় কি?? জনগনের শান্তি। জনগনের শান্তি। ততদিন এদেশের কোন উন্নতি হবেনা।
দেশটা পুরাই বাশের উপর থাকবে।
যেদিন দেশটাকে মা ভাবতে শিখবে, দলের থেকে দেশকে প্রধান্য দিবে, সেদিন আর কিছুই করতে হবেনা। উন্নতির জোয়ার আর হালের ডিজিটাল এমনিতেই হবে, আমারদেশ গড়ে উঠবে সোনার বাংলাদেশ।
আমি সেইদিনের আশাতেই আছি...
যদি কোন হৃদয়বান ব্যক্তি আমার রচনায় ভুলত্রুটি খুইয়া পান, তাইলে সেইডা নিজের কাছেই রাখেন। ধরায়া দিলে ধন্যবাদ ছাড়া কিছু দিতে পারুম না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।