ছল-চাতুরির রাজনীতির চেয়ে সত্য সব সময় বড় ও চির অর্নিবান- এ কথা সবায়কে মানতে হবে
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে ভানু মতির খেলা। ক্ষমতাসীন সরকার গো-ধরেছে নির্বাচন তারা করবেই। আর বিরুধী দল বিএনপি নির্বাচনকে প্রতিহত করতে মরিয়া। দুই দলের পাল্টা-পাল্টি কর্মসূচীতে বিকার গ্রস্থ্য সাধারন মানুষ। সরকার জনগনকে মাইনাস করে ক্ষমতায় আসতে চায়, আর বিরুধী দল জনগনের অধিকারের কথা বলে তাদেরকে উস্কানী দিয়ে সংঘাত সৃষ্টি করতে তৎপর।
দুই দলের তেলেসমাতি খেলায় অকাতরে প্রাণ হারাচ্ছে দীন-দরিদ্র খেটে খাওয়া সাধারন মমনুষ। যাতা কলে পৃষ্ঠ হচ্ছে দেশের অর্থনীতি। ভূ-লণ্ঠিত হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধাদের স্বাধীনতা অর্জনের প্রত্যয় ও প্রত্যাশা।
স্বাধীনতা অর্জনের মাত্র ৪২বছর পার হতে না হতেই দেশ আজ দলে-দলে, ছাত্রে-ছাত্রে, বুদ্ধিজীবি-বুদ্ধিজীবি,ও মুক্তিযুদ্ধা-মুক্তিযুদ্ধায় বিভক্ত। মতার্দশের কথা বলে তারা দলীয় ছাত্র-ছায়ায় করছে লটতরাজ/লুণ্ঠন।
মেতে উঠছে ব্যক্তিক দ্বন্দে। ক্রমে ক্রমেই এই দ্বন্দ জড়িয়ে পড়ছে ক্ষুদ্র থেকে রাষ্ট্রের কর্তাব্যক্তিদের মধ্যেও। রাজনীতির নাম করে- জাতীয় স্বার্থের সিদঁ কেটে ব্যক্তি স্বার্থ চরিত্রার্থ করাই যেন তাদের মূল উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। দলীয় ছত্র-ছায়ায় তারা টেন্ডারবাজী, নলবাজী, দলবাজী করে অল্প দিনেই বিশাল বিত্ত ভৈরবের মালিক বনে যাচ্ছে। তাহলে সাধারন মানুষের মুক্তি ও দেশ স্বাধীনের অর্থ কোথায়???
স্বাধীনতাত্তর বাংলাদেশে শুরু থেকেই ক্ষমতাসীন সরকারের ছত্র-ছায়া অধিকাংশ হারে রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিক সম্পদ লুট-পাটের মহরৎ চলে আসছে।
স্বাধীনতার জনক বাংলার প্রানের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিব তাই অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলেছিলেন ‘স্বাধীনতাত্তর অনেক দেশ স্বর্ণের খনি, হীরার খনি পেলেও আমি পেয়েছি চোরের খনি। মহান নেতার এই উক্তি আজ যথার্থ ভাবেই সত্য প্রমানিত হয়েছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়-পালা বদলের এই খেলায় আওয়ামীলীগ/বিএনপির অনেক নেতা/নেত্রীরাই চিগমী থেকে হাঠৎ হঠাৎই আগুল ফুলে কলা গাছ বনে হয়ে যাচ্ছে। আর দেশের জন সাধারনের ভাগ্যে জুটছে বাসী শাকেঁ আটি। গত কয়েক দিন ধরে দৈনিক সাংবাদে প্রকাশিত ক্ষমতাসীন সরকারের এমপি/মন্ত্রীদের অস্বাভাবিক আয়, এই সত্যকে অক্ষরে অক্ষরে বাস্তব প্রমানিত করেছে।
পাঠকদের অবগতির জন্য এই সকল তথ্যের আঙশিক তুলে ধরা হলÑ
১.রনজিত কুমার, ২০০৮ সালে বার্ষিক আয় ছিল ৩ লক্ষ টাকা। ক্ষমতায় থাকার সুভাদে বর্তমানে বার্ষিক আয় পাচঁ কোটি টাকা।
২.রাজিউদ্দিন রাজু ২০০৮ সালে বার্ষিক আয় ছিল ১৭ লক্ষ ২২ হাজার টাকা। ক্ষমতায় থাকার সুভাদে বর্তমানে বার্ষিক আয় পাচঁ কোটি টাকা।
৩.বীর বাহাদুর উ,শে, ২০০৮ সালে বার্ষিক আয় ছিল ৮ লক্ষ টাকা।
ক্ষমতায় থাকার সুভাদে বর্তমানে বার্ষিক আয় চার কোটি টাকা।
৪.আব্দুল মান্নান খান, ২০০৮ সালে বার্ষিক আয় ছিল ২৬ লক্ষ টাকা। ক্ষমতায় থাকার সুভাদে বর্তমানে বার্ষিক আয় ১১ কোটি টাকা।
৫.মীর্জা আজম, ২০০৮ সালে বার্ষিক আয় ছিল এক কোটি ৯০ লক্ষ টাকা। ক্ষমতায় থাকার সুভাদে বর্তমানে বার্ষিক আয় ১৫ কোটি সত্তর লক্ষ টাকা।
৬.নূর-ই-আলম, ২০০৮ সালে বার্ষিক আয় ছিল ৪ লক্ষ টাকা। ক্ষমতায় থাকার সুভাদে বর্তমানে বার্ষিক আয় দশ কোটি টাকা।
৭.জাহাঙ্গীর কবির নানক, ২০০৮ সালে বার্ষিক আয় ছিল এক কোটি টাকা। ক্ষমতায় থাকার সুভাদে বর্তমানে বার্ষিক আয় ৯ কোটি টাকা।
৮.ফজলে নূর তাপস, ২০০৮ সালে বার্ষিক আয় ছিল ২০ লক্ষ টাকা।
ক্ষমতায় থাকার সুভাদে বর্তমানে বার্ষিক আয় চার কোটি টাকা ৪২ লক্ষ টাকা।
৯.ইলিয়াস মোল্লা, ২০০৮ সালে বার্ষিক আয় ছিল ২০ লক্ষ টাকা। ক্ষমতায় থাকার সুভাদে বর্তমানে বার্ষিক আয় পাচঁ কোটি ৪২ লক্ষ টাকা।
এই সকল এমপি/মন্ত্রীারা দলীয় ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে রাতা-রাতি সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলছে। শুধু এমপি/মন্ত্রী বলে ভুল হবে।
দলের স্থানীয় নেতা/নেত্রীরাও সুযোগ বুঝে আখের গোছাতে ব্যতি-ব্যস্ত। শুনা যাচ্ছে, এই সকল তথ্য প্রকাশের পর বতমার্ন সরকারের এক কর্তা ব্যক্তি ইতি মধ্যে নিবাচন কমিশনারের সাথে দেখা করে এই সকল তথ্য প্রকাশ না করতে হুশিয়ারী দিয়েছে। পত্রিকায় প্রকাশ ক্ষমতাসীন সরকারের এক অষ্টম শ্রেনী পাশ এমপি, ক্ষমতার জোড়ে বর্তমানে পদবিতে লিখছেন বিবিএ। আর মানিকগঞ্জের মহিলা সংরক্ষিত আসনের এমপি মমতাজ পঞ্চম শ্রেনী পাশ করেই সরকারের নজর কাড়েন। এলাকাবাসীর দাবী মমতাজের ‘বুকটা ফ্রাইটা যায়, গানটিকে জনসেন্টিমেন্টে ব্যবহার করার জন্য মূলতঃ তাকে এমপি বানানো হয়েছে, রাজনীতি করার জন্য নয়।
আমার মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানার ২নং দিঘলীয়া ইউনিয়নের কথাই বলি, এই ইউনিয়নের অনেক আওয়ামীলীগের নেতা/কর্মী ছেড়াঁ কাথাঁ থেকে লখপতি/কোটি পতি হয়েছেন। এমপির নাম ভাঙ্গিয়ে টেন্ডারবাজী , ক্ষমতাবাজী করছেন। কাজের বিনিময়ে খাদ্যও টেষ্ট রিলিপের হদিস নাই। শুধু আওয়ামীলীগের কথা বললে ভুল হবে বিগত বিএনপিজোট আমলের চালচিত্র ছিল করুন, নষ্ট-পথ ভ্রষ্ট।
গণতান্ত্রিক রাষ্ট ব্যবস্থায় বিরুধী দল সরকারের আলোচনা-সমালোচনা করবেই।
সরকার তাদেরকে যদি ভয়ভীতি দেখান তাহলে গণতন্ত্রেও ভিত্তি কি? বাংলাদেশ যদি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হয়ে থাকে, তাহলে সরকারকে এই সহিংস পথ থেকে সরে আসতে হবে। জনগনকে ভোটের অধিকার দিতে হবে। আমরা সাধারন জনগন বিরুধী দল ও সরকারী দলকে যথাযথ আলোচনায় দেখতে চাই। সকল দলের যৌথ প্রয়াসে গড়ে তুলতে চাই এই স্বনির্ভর সোনার বাংলাদেশ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।