হিন্দু না ওরা মুসলিম ঐ জিজ্ঞাসে কোনজন, কান্ডারি বলো ডুবিছে মানুষ সন্তান মোর মা'র
হোরাস একটা পোস্ট দিছেন আজকে , বিবর্তনবাদ নিয়া। বিবর্তন বিষয়ক পোস্ট, তর্ক বিতর্ক হবেই, সেইটাই স্বাভাবিক। কয়েকজন ভালোই তর্ক করলেন। তবে ঝামেলা শুরু হইল একবারে প্রথম থেইকাই, সার্জন নামক একজন ব্লগার হোরাস'কে গ্রাম্য ডাক্তার, মূর্খ এই জাতীয় আক্রমনাত্বক বিশেষনে বিশেষিত করলেন এবং মেডিকেল সাইন্সের ছাত্র না হয়েও হোরাস এই জাতীয় পোস্ট দেয়ায় ঐ পোস্ট গুরুত্ব হারাইছি এহেন দাবি তুললেন। হোরাস শুরুতেই বিনয়ের সাথে বললেন, তিনি মেডিকেল সাইন্সের ছাত্র না ইহা সত্য তবে মূল প্রবন্ধ যেই ব্যাক্তির লেখা তিনি একজন বিশেষজ্ঞ বিজ্ঞানী, হোরাস নামও উল্লেখ করে দিলেন।
এবং তিনি এও বললেন, এপেন্ডিক্সএর কোন গুরুত্ব নাই, এহেন বক্তব্য তিনি দেন নাই, বরং বলছেন যে এই জিনিসের সুবিধার চেয়ে অসুবিধা বেশি।
যাই হোউক, পোস্টের পরিবেশ আর ভালো থাকলো না, কিছু গালিগালাজ হইল। সার্জন সাহেব নিজেকে বর্ষিয়ান এবং মুরব্বি ব্যাক্তি বইলা দাবি করলেন, সেই হিসাবে কেউ কেউ তার সাথে বেয়াদপি করলো। মাঝখান থেইকা এস এম রায়হান আইসা হোরস’কে মিথ্যাবাদী এবং পুরোহিত বইলা গালি দিল। নাস্তিক ব্যাক্তিদের কাছে এইটা অবশ্যই খারাপ গালি।
রায়হান মিয়াও গালি খাইলেন কিছু ব্লগারের কাছে।
কিন্তু এইগুলা আসল কাহিনি না। আসল কাহিনি সার্জন সাহেবের এই পোস্ট । এই পোস্টে তিনি বললেন, ঐ পোস্ট দেইখা তিনি খোচাইতে গেছিলেন, নাস্তিকদের খোচাইতে নাকি তার মজা লাগে। এবং তিনি দাবি করলেন ঐ পোস্টের পক্ষের মন্তব্যকারীরা প্রায় সবাই মাল্টিনিক ধারী এবং তিনি গালিগালাজএর প্রমান স্বরুপ বেশকিছু স্ক্রিনশট দিলেন।
পোস্টের শুরুতেই আবারো তিনি আবারো এমন একটা দাবি করলেন, যেটা ঠিক না। হোরাস যা দাবি করে নাই, সেই দাবির দাবিদার তিনি হোরাসকে বানাতে চাইলেন। আমি তার ব্লগে গিয়ে প্রতিবাদ করলাম, বললাম, হোরাসতো এমন কোন দাবি করে নাই, সেইটা সে আপনার মন্তব্যের জবাবেও পরিস্কার করেছে, তাও আপনি এই দাবি কেন করছেন? তিনি যে আক্রমনাত্বক বক্তব্য আগে দেয়া শুরু করেছেন সেটাও বললাম। জবাবে তিনি আমাকে যা বললেন তা দেখে আমি মোটামুটি স্তদ্ধ হয়ে গেলাম। নিচে স্ক্রিনশট দেখেন।
অর্থাৎ, তিনি ঐ পোস্টে গেছেন, এবং আক্রমনাত্বক মন্তব্য করেছেন শুধুমাত্র কিছু ব্লগারকে খুচিয়ে গালিগালাজ করানোর জন্য। উনি এও বললেন উনি যুক্তি তর্ক করতে যান নাই, ওটা তার উদ্দেশ্যও ছিল না। তাহলে যা দাঁড়ালো তা হলো, উনি শুধু কিছু গালিবাজ ব্লগারের মুখোস উম্মোচন করার জন্য এই কাজ করেছেন, তবে গালি দেয়ার প্ররোচনাটা আবার তিনিই জুগিয়েছেন। অর্থাৎ, উনি একজন অত্যন্ত সুশীল ব্লগার, যিনি গালি দেন না, এবং গালিগালাজ সহ্য করেন না। কিন্তু তার একটা মন্তব্য দেখে যতদুর বুঝলাম ব্যাপারটা তাও না, স্ক্রিনশট নিচে দেখন।
আর উনি আমাকে এইভাবে অসভ্যের মতো, “১টা গ্যাং মেম্বার” বলে ব্লগারদের কাছে কেন পরিচয় করিয়ে দিলেন সেটা আমার কাছে বোধগম্য না।
লাল রঙে আন্ডারলাইন করা আছে। উনি নিজেই একজন গালিবাজ। গালিবিরোধী বক্তব্য দিতে গেলেও নিজের আসল রুপ লুকাতে পারেন নাই। তাহলে, ওনার মূল উদ্দেশ্য কি? উনি এমন কেন করছেন? বাকি থাকে ওনার আরেকটা দাবি, আর সেটা হচ্ছে, উনি মাল্টি নিকের মুখোস খুলতে চান।
এই বিষয়ক কোন প্রমান অবশ্য তিনি এখনো দেন নাই। তাহলে বাকি থাকে কি? আমার কাছে পরিস্কার না। উনি কি করতে চাইছেন। খামোখা ঝগড়া লাগাচ্ছেন কেন? অভিনয়, প্রতারণা এইসবের আশ্রয় নিচ্ছেন কেন?
জনাব সার্জন, আমি একজন মানুষ, কোন বস্তু না। আমি একজন, ১টা না।
মুরুব্বি মানুষ নাকি আপনি। একজন মানুষকে কিভাবে সম্বোধন করতে হয় জানা থাকা উচিত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।