মুহুর্তকে বিনোদন ভাবতে চাই!
২৬ তারিখ, রাত ১১টা। ঘন কুয়াশায় চারদিক সাদা, রাস্তার কিছুই দেখা যাচ্ছে এবং অাস্তে অাস্তে সিএনিজি চালক অবশেষে আমাকে নিয়ে পৌঁছল চাটমোহর রেল ষ্টেশনে। রাত ১টার 'ধুমকেতু' র এসি টিকিট করা ছিল আগেই। এখন শুধুই অপেক্ষা।
রাত সাড়ে ১২টার দিকে ষ্টেশনে অাসল খুলনা থেকে 'চিত্রা' গাড়ির সবগুলো দরজাই বন্ধ ছিল, ষ্টেশনে অপেক্ষারত কোন যাত্রীই উঠতে পারছিলো না।
রীিতমত শুরু হলো হইচই, দরজা ধাক্কাধাক্কি, কিন্তু কিছুতেই কিছু হলো না। ট্রেন এর সময় অনুযায়ী ট্রেন ছেড়ে দিল। এইদিকে ক্ষুব্ধ যাত্রীরা ষ্টেশন মাষ্টারের অফিস ভাংচুর শুরু করলো। অবাকভাবেই ২০/৩০ গজ গিয়েই ট্রেনটা অাবার থামলো।
বিক্ষুব্ধ যাত্রীবৃন্দ যথারীতি ইট পাথর দিয়ে দরজা ভেঙ্গে দরজা খুলে সবাই উঠলো, তার বেশকিছুক্ষণ পর ট্রেনটি ষ্টেশন ত্যাগ করলো।
দর্শকের ভূমিকা অামি ভলোই পালন করছিলাম।
আবারো অপেক্ষা...
রাত ১ টা, খবর নেই....
রাত ২ টা কোনো খবর নেই...
রাত অাড়াইটা...
ষ্টেশনে অাসল রংপুর খেকে 'রংপুর এক্সপ্রেস' দাঁড়িয়ে থাকলো ২০ মিনিটের মতো। হঠাত খবর হলো অাজকের ' ধুমকেতু' বন্ধ করা হয়েছে, অাসবে না! যারা যেতে চায় এই ট্রেন এ যেতে পারে। কি আর করা! উঠে পরলাম। কিন্তু...
এসি দুরের কথা, দাঁড়িয়ে থাকার জায়গাও খুঁজে পেতে কষ্ট হচ্ছিল! কোনো উপায় নেই, আমাকে যে যেতেই হবে।
:-( একটা ট্রেনকে ক্রসিং দিয়ে এক ঘন্টা অর্থাত রাত সাড়ে ৩ টায় যাত্রা শুরু করলো মহামান্য ' রংপুর এক্সপ্রেস'।
সকাল ৭টা, ট্রেনসহ অামার অবস্থান যমুনা সেতু পূর্ব। ৮টা বাজে, ৯ টা বাজে, ১০টা বাজে, কিন্তু বাবু ট্রেনতো অার নড়েনা!
অবশেষে সাড়ে দশটায় খবর হলো; টাঙ্গাইলে অাগের দুটো ট্রেন চেকিং চলছে... চেকিং শেষে অনুমতি মিললে এই ট্রেন ছাড়বে।
বেলা তখন ১২ টা! খবর জানা গেলো, টাঙ্গাইলের দুটা ট্রেন ফেরত দেয়া হয়েছে এখন এটাও এখান থেকে আর যাবে না। আমরা কি করবো কোনো উপদেশ নেই।
অগত্য কি অার করা, ঢাকা যে অমাকে অাসতেই হবে! গাড়ি খুঁজতে বের হলাম। অনেক খোঁজাখুঁজির পর সিনজি পাওয়া গেলো, ১০০০ টাকার বিনিময়ে ' চান্দুরা' যাওয়া যাবে। একটুও দেরি না করে উঠে পরলাম।
বিকেল সাড়ে ৩ টায় পৌঁছলাম চান্দুরা। তারপর টেম্পুযোগে গাজিপুর চৌরাস্ত।
কোন বাসই আসতে পারছিলো না ঢাকার দিকে। আবারো সিএনজি যোগে ৫০০ টাকার বিনিময়ে রামপুরা আমার বাসায়। তখন সময় সন্ধ্যা ৭ টা।
অমার জীবনের ২০ টা ঘন্টা...
ভুলতে সময় লাগবে বুঝতে পারছি....
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।