আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মর্জিনা আক্তার থেকে হয়ে গেল মার্জিয়া রাহমান

কোথাও যদি হারিয়ে আমি যাইগো কোন দিন , যেও ভুলে , আমায় যেও ভুলে

আমার এক ক্লাসমেট আবার মামাতো বোন। ছোট বেলা থেকেই জানি ওর নাম মর্জিনা আক্তার। স্কুলে সবাই ওকে ডাকি মর্জিনা বলেই। দেখতে যথেষ্ট সুন্দরী তবে মাথায় গোবরের পরিমাণ একটু বেশী থাকায় ক্লাসে ওকে নিয়ে হাসা হাসি একটু বেশীই হতো। আর হান্নাল(হান্নান ) স্যারে কমন ডায়লগ ""মর্জিনারে মর্জিনা তর জ্বালায় আর পারিনা""।

ক্লাসের সবাই ও ওকে নিয়ে একটু বেশী মজা করত বিশেষ করে ওর নাম নিয়ে না ধরনের খেতাব দেওয়া হতো। এটা ওকে যথেষ্ট পীড়া দিত বৈকি। যখন ক্লাস সেভেনে উঠলাম ওর আব্বা বাইরে চলে গেল আর ওরা চলে গেল ঢাকাতে। অনেক দিন দেখা নেই। প্রায় ৫ বছর পরে একদিন।

তখন আমি আমার মামার সাথে ফুল টাইম ব্যবসার সাথে পার্ট টাইম পড়াশুনা হিসেবে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। বিকালে দোকানে বসে আছি, সেই মামা আর সাথে চরম সুন্দরী একটা পরী। শুধু একটা কারণেই পরী হওয়া বাকি ছিল চোখে চশমা। মামা দেখেই সালাম দিয়ে হাত টাত মেলালাম। আর কৌতুহলি দৃষ্টিতে মর্জিনার দিকে তাকাচ্ছি।

আমি মর্জিনাকে চিনলেও ও আমাকে চিনতে পারেনি তখন। (কারণ কালা রাজন থেকে শ্যামলা রাজন আর লম্বু আর মাথায় বিশাল চুলের সমাহার হওয়াতে নাকি চিনতে পারেনি) । কৌতুহল আর ধরে রাখতে না পেরে জানতে চাইলাম "তুমি মর্জিনা না?" আমার কথা শেষ হওয়ার আগেই " আপনি ভুল করছেন আমি মার্জিয়া রাহমান"। আর যাই কোথায় ফস কর বলে ফেলাম হ্যা সেই গোবর মাথা মর্জিনা ঢালা গিয়ে মার্জিয়া রাহমান হয়েছে। কেউ আমারে ধর।

বলে যেন নিজের পায়ে নেজেই কুড়াল মারলাম । এক ঝটকায় উঠে গাড়িয়ে নিয়ে ফো করে বেড়িয়ে গেল ওর আব্বুকে রেখেই। আমি থমকে গেলাম আর মামা হাসছে ওর কান্ড দেখে। পড়ে জানলাম ঢাকাতে গিয়ে নিজেই নাম পাল্টেছে স্কুলে ভর্তি হবার সময়। তার পর থেকে কেউ ওকে মর্জিনা ডাকলে কষ্ট পায় খুব।

এরপর আবার মর্জিনা আক্তার ওরফে মার্জিয়া রাহমানকে দেখেছিলাম তিন বছর পর বধু বেসে।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     বুকমার্ক হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।