স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে লিভারপুলকে ২-১ গোলে হারায় ‘ব্লুজ’ নামে পরিচিত চেলসি।
ঘটনার সুত্রপাত ম্যাচের ৮৩ মিনিটে। লিগে এ পর্যন্ত ১৪ ম্যাচে ১৯ গোল করা সুয়ারেস বল নিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন চেলসির পেনাল্টি বক্সের ভেতরে। উরুগুয়ের এই স্টাইকারের আক্রমণ রুখছিলেন স্পেনের ডিফেন্ডার সেসার আসপিলিকুয়েতা। তবে অতর্কিতে এসে সুয়ারেসকে বাধা দেন ক্যামেরুনের স্ট্রাইকার স্যামুয়েল এতো।
গ্যালারিতে লিভারপুলের সমর্থকসহ প্রতিটি খেলোয়াড় পেনাল্টির আবেদন করলেও রেফারি হাওয়ার্ড ওয়েব তা এড়িয়ে যান।
ঐ প্রসঙ্গে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মরিনিয়ো বলেন, “ওটা কোনো ফাউল ছিল না। আসপিলিকুয়েতার বিপক্ষে লড়াইয়ে হেরেই গিয়েছিল সুয়ারেস। আর তখনই পেনাল্টি আদায় করতে ডাইভ দেন সুয়ারেস, ঠিক যেভাবে সুইমিং পুলে অ্যাক্রোবেটিক স্টাইলে ডাইভ দেন সাঁতারুরা। ”
স্বঘোষিত ‘স্পেশাল ওয়ান’ নামে পরিচিত মরিনিয়ো আরো বলেন, “সে খুব চালাক কারণ সে জানতো (মাঠের) নির্দিষ্ট ঐ জায়গাটার পেছনেই লিভারপুলের সমর্থকরা রয়েছে।
”
মরিনিয়োর মতে, রেফারি ওয়েব ১০ মিটার দুরে থাকায় উল্টো হলুদ কার্ড পাওয়া থেকে বেঁচে গেছে সুয়ারেস।
তবে অন্য দলের খেলোয়াড়ের বিপক্ষে মরিনিয়োর এমন অভিযোগ এবারই প্রথম নয়। কদিন আগে বার্সেলোনার ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমারের বিরুদ্ধেও ‘ইচ্ছাকৃত ডাইভ’ দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন জোসে মরিনিয়ো।
অবশ্য সুয়ারেসের প্রশংসাও কম করেননি রিয়াল মাদ্রিদ ও এসি মিলানের সাবেক এই কোচ। তার মতে, সুয়ারেস দলের প্রতি নিবেদিত প্রাণ।
কোচ ব্রেন্ডন রজার্সের অধীনে বর্তমানে সে দারুণ খেলছেও। আর আগের ‘মাথা গরম’ সুয়ারেস যে এখন পাল্টে গেছে তাতেও কোনো সন্দেহ নেই তার।
গত মৌসুমে চেলসির ডিফেন্ডার ব্রানিস্লাভ ইভানোভিচের হাতে কামড়ানোর অপরাধে ১০ ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। তখন অবশ্য চেলসিতে ছিলেন না মরিনিয়ো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।