জীবনে প্রাণ আসুক। প্রতিটা মুহূর্তকে আমরা সুন্দর করে তুলি।
মঙ্গলধ্বনি। নামটা দেখেই ভালো লাগল। মনে হলো ভালো কিছু শুনতে পাচ্ছি।
আমার মার কথা, মেয়ের কথা মনে পড়ল। প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন আর পরিবেশের কথা মনে পড়ল। ঘরের মানুষ আর প্রতিবেশী ভালো থাকলে আমি ভালো থাকব। মঙ্গলধ্বনি এ কথাই বলতে চেয়েছে!
একটা বীজ যখন অংকুরিত হয় তখন মনে হতে পারে বীজের ধ্বংস হলো। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বীজ বেঁচে থাকে গাছ হয়ে, যা ভবিষ্যতে আবারও বীজ উৎপাদনের নিশ্চয়তা দেয়।
মঙ্গলধ্বনিও একটা বীজ। অংকুরিত হয়ে চলেছে। প্রকৃতি, সমাজ, কৃষি, তথ্য ও যোগাযোগ, শ্রম, সাহিত্য-সংস্কৃতি, সুন্দরবন, রাজনীতি ও অর্থনীতির যা কিছু বেশি মানুষের পক্ষে যাবে, তা ধারণ করে, পথ দেখিয়ে একদিন গাছ হয়ে উঠবে। এই বীজের ৩য় বর্ষ ৩য় সংখ্যা এটি। প্রকাশিত হয়েছে ২০১৩ সালের অক্টোবরে।
এই পত্রিকা প্রাণ-প্রকৃতি-প্রতিবেশের পক্ষে।
পৃথিবীর বেশির ভাগ সম্পদ মুষ্টিমেয় কিছু লোকের হাতে থাকতে পারে না। তাদের দ্বারা বেশির ভাগ মানুষের বেঁচে থাকা, রুটি-রুজি, পরিবেশ-প্রতিবেশ ধ্বংস হতে পারে না। এই চেতনা ছড়িয়ে দেওয়া, কীভাবে এর থেকে বাঁচা যাবে, তা বলার চেষ্টাই মঙ্গলধ্বনি করে যাবে।
মনের মাঝে শীতের দুপুর।
আমার মন রোদ খোঁজে। মঙ্গলধ্বনি যেন একখ- রোদ।
মঙ্গলধ্বনি বলছে, ‘মেষ শাবককে খাবার জন্য নেকড়ের কোনো যুক্তির প্রয়োজন হয় না। কিন্তু চিঁ চিঁ ধ্বনির প্রতিবাদ নেকড়েকে প্রতিহত করতে পারে না। নেকড়েকে রুখতে হলে আকাশ বিদীর্ণ করা চিৎকার করতে হবে।
তেমন চিৎকার একক কণ্ঠে সম্ভব নয়-সম্মিলিত কণ্ঠে প্রবল শক্তির নির্ঘোষে হতে হবে। সেই শক্তির আবাহনের কর্তব্যবোধে ‘মঙ্গলধ্বনি’র সকল আয়োজন। ’
এটি উৎসর্গ করা হয়েছে পৃথিবীর তাবৎ মুক্তিকামী মানুষের জীবন সংগ্রামের প্রতি। শেষে এই কথাই বলি, আসুন, আমরা মুক্তির সংগ্রামেই থাকি। যে যেখানে আছি, সেখান থেকেই মানুষের জন্য কিছু করি।
তাহলে নিজের জন্যও কিছু করা হবে।
চাইলে আপনারা ক্লিক করতে পারেন : http://www.mongoldhoni.net
৩১ ডিসেম্বর, দুপুর
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।