কেবল ওহাবী ফেরকা নয় বরং বাতিল যত মতবাদী রয়েছে তাদেরকে হাদীসের পরিভাষায় আহলে বিদআত বলা হয় অর্থাৎ বিদআল ফিল আক্বায়েদ তথা আক্বীদাগত ভ্রান্ত। সুতরাং এদের সাথে সকল ঈমানদার মুসলমানদের কোন সম্পর্ক থাকতে পারে না। এ ব্যাপারে পবিত্র হাদীস শরীফে নিষেধাজ্ঞা এসেছে।
যেমন সহীহ মুসলিম শরীফে আহলে বিদআত হতে দূরে থাকার হাদীস বর্ণিত রয়েছে। হযরত আবু হুরায়রা (রা হতে বর্ণিত নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন,, তোমরা তাদের থেকে দূরে থাক আর তারাও যেন তোমাদের থেকে দূরে থাকে, যেন তোমাদেরকে বিভ্রান্ত করতে না পারে এবং তোমাদেরকে ফিতনায় জড়াতে না পারে।
আবু দাউদ শরীফে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা হতে বর্ণিত নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন,,
তারা অসুস্থ হলে তাদের দেখতে যেয়ো না, তারা মৃত্যুবরণ করলে জানাযায় উপস্থিত হয়ো না।
হযরত আনাস (রা আনহু হতে বর্ণিত রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,, তোমরা তাদের বসতে দিও না , তাদের কিছু পান করতে দিও না, তাদেরকে আপ্যায়ন করিও না এবং তাদের সাথে বৈবাহিক সম্পর্কও স্থাপন করিবে না।
ইবনে হিব্বান (রা হতে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,, তাদের সাথে নামাজ পড়িও না,, আর গুনিয়াতুত তালেবীন কিতাবে রয়েছে,, তাদেরকে সালাম দেয়া যাবে না।
এভাবে অসংখ্য বর্ণণা রয়েছে, যাতে বাতিল মতবাদীদের সাথে সম্পর্ক রাখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যেহেতু তাদের ভ্রান্ত আক্বীদা, আল্লাহ এবং আল্লাহর নবী-রাসুলগণের শানে কটুক্তি ও বেআদবীসমূহ কুফরে পরিণত হয়েছে।
সুতরাং কোন প্রকৃত ঈমানদার জেনে শুনে তাদেরকে কোন ভাবেই সমর্থন করতে বা তাদের সাথে সম্পর্ক রাখতে পারে না।
তাই এই রকম বাতিল ফেরকা থেকে সবসময় আমাদের কে আল্লাহ তায়ালা হেফাজত থাকার তাওফীক দান করুণ।
আমিন, আমিন , আমিন
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।