বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে নাখোশ হবার নব্বই ডিগ্রীতে অবস্থান করছেন। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনায় বিশ্বাসী আওয়ামী লীগ সরকারকে দীর্ঘ পাঁচ বছরের মধ্যে বিভিন্নভাবে ক্ষমতাচ্যুত করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিকে কাছে টেনে ফায়দা হাসিল করতে গিয়ে বুমেরাং খেয়েছেন। একদিকে তেঁতুলতত্ত্ব যেমন কাজে লাগেনি তেমনি যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার ফাঁসিতে পাকিস্তানী রাজনৈতিক নেতা ইমরান খানের বক্তব্যে স্পষ্টতই তাদের শক্তির উৎস ও খুঁটি জাতি জানতে পেরেছে। এখন তাদের চাপার জোর ছাড়া জাতি আর তেমন কিছুই দেখতে পাচ্ছে না।
বিগত পাঁচ বছর আগের নির্বাচনে ভরাডুবির পর তারা মাঠে এসে বক্তব্য রাখার সুযোগ পেয়েছে কেবল আওয়ামী লীগের অতি গণতান্ত্রিক মনমানসিকতা ও উদার রাজনৈতিক সহনশীলতার জন্য।
আওয়ামী লীগ বিগত ৫ বছরে শিক্ষা, কৃষি, বিদ্যুত, স্বাস্থ্য, তথ্যপ্রযুক্তি ও অবকাঠামোগত
উন্নয়নে যে যুগান্তকারী সফলতা দেখিয়েছে তা দীর্ঘ
ত্রিশ বছরেও হয়নি। আওয়ামী লীগের দুর্বলতা শুধু প্রচারণায়। দলটি প্রচারবিমুখ। বর্তমানে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যদি তারা এগিয়ে যেত তবে খালেদা জিয়া ম্যাডামের মাথা আরও খারাপ হয়ে যেত।
একজন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, একটি বৃহৎ বিরোধী দলের নেত্রী হয়ে তিনি তাঁর দেশের একটি জেলার অধিবাসীকেই অপমানিত করেছেন। তিনি গোপালগঞ্জের ওপর কেন এত গোস্বা তা এবার প্রকাশ পেয়েছে। সেখানে বঙ্গবন্ধু ঘুমিয়ে আছেন যিনি তাঁকে মেয়ের স্নেহে জেনারেল জিয়ার কাছে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি তো কৃতজ্ঞ বঙ্গবন্ধুর কাছে নন, তিনি কৃতজ্ঞ পাকিস্তানীদের কাছে; তা এবার স্পষ্ট হলো।
আর তাই তিনি গোপালগঞ্জের নামই বদলে দিতে চান।
তাহলে কি পিরোজপুরের ইন্দুরকানিকে জিয়ানগর বানানোর মতো গোপালগঞ্জকে নিজের কোন আত্মীয়ের গঞ্জ বানানোর পাঁয়তারা করলেন? এ যেন মগের মুল্লুক! নাম যদি বদলাতে চানই তবে তিনি কি নাম রাখতে চান তা নিয়ে ভাবনা শুরু হয়েছে সবার মধ্যে। গোপালগঞ্জবাসী এবার সাবধান আপনারা এদেশের নাগরিকত্ব রাখতে পারবেন কিনা তাই নিয়ে। ‘গোপালী’ নামের কুরুচিপূর্ণ ভেংচি মানুষ দেখেছে। প্রধানমন্ত্রী হবার আগেই এমন অবস্থাÑপ্রধানমন্ত্রী হলে কি হবে তা সবাই দেখার অপেক্ষায় এদেশবাসী এতটা নির্বোধ নয়। সব শেষে বলতে চাই, ম্যাডাম অত রাগ ভাল না, রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন।
রাজনীতি করতে গেলে রাগ কমাতে হয়। কারণ, আপনাদের মতো আধাশিক্ষিত নেতা- নেত্রীর উত্থান সাধারণ মানুষেরই সমর্থনে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।