আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভাগ্যজোরে শেখ রাসেলের জয়

এমনিতেই গ্যালারি থাকে ফাঁকা। তারপর আবার জাতীয় নির্বাচনের আগের দিন খেলা হলে দর্শক যে পাওয়াই যাবে না তা জানা ছিল ফুটবল ফেডারেশনের। কিন্তু করবে কি, লিগ দ্রুত শেষ করতে হবে বলে এমন প্রতিকূল অবস্থায়ও খেলা চালাতে হয়েছে। তাই চ্যাম্পিয়ন দলের খেলা থাকার পরও বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে কেউ ম্যাচ দেখতে তেমন আগ্রহ দেখাননি। পেশাদার ফুটবল লিগে শেখ রাসেল উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল উত্তর বারিধারার বিপক্ষে।

মৌসুমের প্রথম ট্রফি ফেডারেশন কাপে দাঁড়াতে না পারলেও কোচ মারুফ বলেছিলেন লিগে তার শিষ্যরা জ্বলে উঠবে। সত্যিই তাই মিথুনের হ্যাটট্রিকের কৃতিত্বে ৪-১ গোলে বিজয়ের সূচনা করেছিল শেখ রাসেল। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে বিপ্লবদের চিনতে বেশ কষ্টই হয়েছে। প্রতিপক্ষ ছিল চট্টগ্রাম আবাহনী। শক্তির তুলনা করলে উত্তর বারিধারা আর আবাহনীকে একই বলা যায়।

অথচ আগের ম্যাচে কাগুজে-কলমে দেশের সেরা দল শেখ জামালকে যেন কাঁদিয়ে ছেড়েছিল চট্টগ্রামের দলটি। ভাগ্যের জোরে পুরো পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল টপ ফেবারিটরা।

গতকাল তো আরও অপ্রতিরোধ্য ছিল চট্টগ্রাম আবাহনী। সত্যি বলতে কি প্রথমার্ধে যে খেলা হয়েছে তাতে জার্সি ছাড়া বুঝার উপায় ছিল না মাঠে শেখ রাসেল খেলছে। আগের ম্যাচে ছন্দময় খেলা খেলে সমর্থকদের মন জয় করলেও কাল বিপ্লবদের কোনো পজিশনে উজ্জ্বলতার স্বাক্ষর খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এ দলই গত মৌসুমে তিন ট্রফি জিতেছিল তা ভাবতেই অনেকের কষ্ট হচ্ছিল। এতটা খারাপ খেলে যে প্রথমে তাদের গোলও হজম করতে হয়। রক্ষণভাগ এলোমেলো থাকাতে শুরু থেকেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ খুঁজছিল চট্টগ্রাম আবাহনী। ১৩ মিনিটে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড নেপোনিয়ন দুর্দান্ত শটে আবাহনীকে এগিয়ে রাখেন। অবশ্য দুই মিনিট পরেই শেখ রাসেলের ফরাসি মিডফিল্ডার দর্শনীয় ফ্রি কিকে সমতা ফেরান।

চট্টগ্রাম আবাহনী ভালো খেললেও দুর্ভাগ্যক্রমে হার মানতে হয়। ৬৫ মিনিটে রিকার্ডোর পাস থেকে মরক্কো ফরোয়ার্ড ইউনিস গোল করে দলকে দ্বিতীয় জয়ের মুখ দেখান।

 

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.